ই-মেলে তিনি আরো লিখেছেন, ‘‘গতকাল ডয়চে ভেলের কয়েকটি প্রতিবেদন পড়ে আমার ভীষণ ভীষণ ভালো লেগেছে৷ এসব প্রতিবেদন সত্যিই অসাধারণ হয়েছে এভাবেই আগামীতেই সমসাময়িক বিষয়ে নতুন নতুন অনেক প্রতিবেদন চাই৷ যেগুলো পড়ে আমাদের হৃদয় ও মন জুড়াবে৷''
জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহতা নিয়ে হিমবাহের কান্না শিরোনামে ছবিঘরটিও বারিকের খুব ভালো লেগেছে জানিয়েছেন৷ এ সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য ‘‘এ ধরনের প্রতিবেদন অত্যন্ত সময়োপযোগী এবং প্রশংসার দাবিদার৷ গোটা বিশ্বের খবরাখবর মুহূর্তের মধ্যে জানাতে ডয়চে ভেলের ভূমিকা অপরিসীম৷
-
শীতের আগমনি সবজি মিষ্টি কুমড়ো
মিষ্টি কুমড়োর মিষ্টি ছবি
মিষ্টি কুমড়ো কে না চেনে? মিষ্টি কুমড়ো যে নানাভাবে খাওয়া যায় এবং খেতেও ভালো, তা আমরা কম বেশি সবাই জানি৷ উচ্চ খাদ্যগুণ সম্পন্ন এবং সুন্দর রং ও সুন্দর আকৃতির এই সবজি জার্মানিতে শুধু খাওয়াই হয় না, জার্মানরা বাড়ি সাজাতেও ব্যবহার করেন মিষ্টি কুমড়ো, বিশেষ করে এই হেমন্তকালে৷
-
শীতের আগমনি সবজি মিষ্টি কুমড়ো
নানাভাবে খাওয়া হয়
মিষ্টি কুমড়ো হচ্ছে মাটিতে চাষ করা সবজিগুলোর মধ্যে একটি৷ নানা ধরনের, বিভিন্ন দেশের মিষ্টি কুমড়ো পাওয়া যায় জার্মানিতে৷ এতে রয়েছে বেশ কয়েকটি ভিটামিন এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট৷ মাত্র ১০০ গ্রাম কুমড়োতে রয়েছে ১৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন ‘সি’৷ আছে ভিটামিন ‘এ’ এবং ‘ই’-ও৷ এছাড়া, কম ক্যালরি থাকায় অনেকেরই পছন্দ এই সবজি৷
-
শীতের আগমনি সবজি মিষ্টি কুমড়ো
স্যুপ
মিষ্টি কুমড়োর স্যুপ জার্মানদের খুবই পছন্দের একটি খাবার৷ এখন, অর্থাৎ যখন শীত আসে আর গ্রীষ্ম বিদায় নেয় – ঠিক এ সময়টাতে মিষ্টি কুমড়োর স্যুপ খাওয়া হয়৷ ডয়চে ভেলের ক্যান্টিনেও তৈরি করা হয় এই মজার স্যুপ৷ রং-এর কারণে মিষ্টি কুমড়োর স্যুপ দেখতে অনেকটা আমাদের ডালের মতো৷
-
শীতের আগমনি সবজি মিষ্টি কুমড়ো
মিষ্টি কুমড়োর মিষ্টি খাবার
মিষ্টি কুমড়ো দিয়ে স্যুপ ছাড়া জার্মানরা বেশিরভাগই মিষ্টি খাবার তৈরি করে থাকেন৷ একেবারে শেষপাতে সেসব খাওয়া হয়৷ এগুলি মূলত কেক বা বিভিন্ন মিষ্টি জাতীয় খাবার৷ তবে মিষ্টি কুমড়োতে ক্যালরি খুব কম বলে সবাই এইসব মিষ্টি খেতে পারেন৷ মিষ্টি কুমড়ো উচ্চ রক্তচাপ কমাতেও ভূমিকা রাখে৷
-
শীতের আগমনি সবজি মিষ্টি কুমড়ো
মিষ্টি কুমড়োর প্রদর্শনী
জার্মানিতে মিষ্টি কুমড়োর প্রদর্শনী হয়েছিল বন শহরের কাছাকাছি অবস্থিত ‘লোমার’ এলাকার এক খামার বাড়িতে৷ জার্মানিতে শীত আসার আগে খেত থেকে সব ধরনের সবজি তুলে ফেলা হয় এবং তখনই এই উৎসব পালন করা হয়, যা বর্তমানে জার্মানির ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে৷
-
শীতের আগমনি সবজি মিষ্টি কুমড়ো
কী সুন্দর!
প্রথম দেখা, তারপর খাওয়া – তাইনা? এভাবে মিষ্টি কুমড়ো দেখলে কারই বা খেতে ইচ্ছে করবে না বলুন? তবে বেশি মিষ্টি কুমড়ো খেলেও কিন্তু কোনো ভয় নেই৷ কারণ, ক্যালরি কম থাকার পাশিপাশি মিষ্টি কুমড়োর তেল নাকি কোলেস্টোরেল কমাতেও সাহায্য করে৷
-
শীতের আগমনি সবজি মিষ্টি কুমড়ো
মিষ্টি কুমড়োর রুটি
জার্মানিতে এক ধরনের রুটিতে মিষ্টি কুমড়োর বিচি দেওয়া হয় এবং সেই রুটি খেতে খুবই সুস্বাদু৷ সাধারণত, এই রুটি মেয়েদের চেয়ে পুরুষরাই বেশি পছন্দ করে খেয়ে থাকেন৷ তাছাড়া ডাক্তারদের মতে, মিষ্টি কুমড়োর বিচি পুরুষদের বেশি উপকার করে এবং প্রোস্টেট ক্যানসার মোকাবিলায় সহায়তা করে৷
-
শীতের আগমনি সবজি মিষ্টি কুমড়ো
মিষ্টি কুমড়ো যখন ‘ডেকোরেশন পিস’
হেমন্তকাল আসার আগে থেকেই অনেক বাড়ির বাগানে বা বাড়ির সামনেই সুন্দর করে সাজিয়ে রাখা হয় মিষ্টি কুমড়ো৷ তবে সাজানো বা ডেকোরেশনের জন্য এই মিষ্টি কুমড়োগুলোকে বিশেষ এক নিয়মের মাধ্যমে প্রক্রিয়াজাত করা হয়, যাতে তা দীর্ঘদিন টিকে থাকে৷
-
শীতের আগমনি সবজি মিষ্টি কুমড়ো
হ্যালোউইন
গত বেশ কয়েক বছর যাবৎ অ্যামেরিকার মতো বিশ্বের অন্যান্য দেশেও ‘হ্যালোউইন’ উৎসব উদযাপন করা হয়৷ এই উৎসবেও কিন্তু ব্যবহার করা হয় মিষ্টি কুমড়ো৷ গত কয়েক বছর থেকে জার্মানিতেও শুরু হয়েছে এই উৎসব পালন৷ ছোটদের মধ্যে এরই মধ্যে একটি জনপ্রিয় উৎসবে পরিণত হয়েছে ‘হ্যালোউইন’৷
লেখক: নুরুননাহার সাত্তার
শুধু তাই নয় এ সব প্রতিবেদনের ছবিঘর আমাদের মুগ্ধ করে, এর ফলে আমরা সহজেই বুঝতে পারি৷ ‘ম্যান ইজ মর্টাল কিন্তু কেউ কেউ মরেও আমাদের মাঝে বেঁচে আছেন এবং থাকবেন' এমনই একজন ব্যক্তি হলেন
ফিলিস্তিনের ইয়াসির আরাফাত৷ তার দশম মৃত্যুবার্ষিকীতে ডয়চে ভেলে শ্রদ্ধার সাথে তাঁকে স্মরণ করার জন্য ডিডাব্লিউকে ধন্যবাদ জানাই৷ আর এই মহান নেতার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি৷'' এমএ বারিক, ভাটরা, সিহালী, শিবগঞ্জ, বগুড়া থেকে৷
এবারও নিয়মিত ই-মেল প্রেরক সুভাষ চক্রবর্তীর মন্তব্য৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘ছবিঘরের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে পরিবেশনা যদিও প্রশংসনীয়, তবুও বিস্তারিত প্রতিবেদনের মধ্য দিয়ে গভীরভাবে আলোকপাত আরও যথাযথ ও অর্থবহ হয়ে উঠবে৷''
তিনি আরো জানিয়েছেন, ‘‘প্রাকৃতিকভাবে এবং মানুষের অবহেলার কারণে বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তন আমরা দেখতে পাচ্ছি৷ বিশ্বব্যাপী বন্যপ্রাণী, পশু, গাছপালার বাসস্থান ও আচরণ যে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হচ্ছে তার অনেক অকাট্য প্রমাণ ইতিমধ্যে আমরা পেয়েছি৷
-
হিমবাহের কান্না
বৈশ্বিক উষ্ণায়ন
বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে মহাসাগরগুলোর উষ্ণ স্রোত এসে পৌঁছাচ্ছে অ্যান্টার্কটিকায়৷ এর সংস্পর্শে এসে গলে যাচ্ছে পশ্চিম, পূর্ব এবং অ্যান্টার্কটিকা উপদ্বীপের গ্লেসিয়ার বা হিমবাহগুলো৷ বরফ গলার এই হার ক্রমশ দ্রুততর হচ্ছে৷
-
হিমবাহের কান্না
গলছে বরফ
অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশকে ঢেকে রাখা বরফের স্তর কীভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে – তার ওপর বিজ্ঞানীরা নজর রাখছেন ইউরোপীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের মহাকাশযান ক্রাইয়োস্যাটের মাধ্যমে৷ ক্রাইয়োস্যাটের পাঠানো ছবি পরীক্ষা করে তাঁরা বলছেন, সেখানে বরফ স্তরের উচ্চতা প্রতিবছর গড়ে দুই সেন্টিমিটার করে কমছে৷
-
হিমবাহের কান্না
যাবে না থামানো!
‘জিওগ্রাফিক্যাল রিসার্চ লেটার’ জার্নালে প্রকাশিত সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যান্টার্কটিকার ছয়টি হিমবাহ যেভাবে গলে যাচ্ছে তা আর থামানো সম্ভব নয়৷ বরফের এই নদীগুলো হয়ত কয়েকশ বছরের মধ্যে সম্পূর্ণ অদৃশ্য হয়ে যাবে৷
-
হিমবাহের কান্না
নিমজ্জন
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকরা জানিয়েছিলেন, ১৯৫০ থেকে এখন পর্যন্ত অ্যান্টার্কটিকার তাপমাত্রা বেড়ে গেছে ২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷ পশ্চিম অ্যান্টার্কটিকায় যে পরিমাণ বরফ রয়েছে তার সব যদি গলে যায়, তাহলে সমুদ্রের পানির উচ্চতা ১১ ফুট বেড়ে যাবে৷
-
হিমবাহের কান্না
বিপদ উত্তরেও
উত্তর মেরুর সাগরে বরফের পরিমাণ ২০১২ সালের অক্টোবরের তুলনায় প্রায় ৫০ শতাংশ বাড়লেও ১৯৮০ সালের তুলনায় বরফের পরিমাণ এখন প্রায় অর্ধেক৷ যুক্তরাজ্যের গবেষকরা বলছেন, ১৯৮০ সালের অক্টোবরে উত্তর মেরুর সাগরে বরফের পরিমাণ ছিল ২০ হাজার ঘন কিলোমিটার৷ সেখানে গতবছর বরফ পাওয়া গেছে মাত্র নয় হাজার ঘন কিলোমিটার এলাকায়৷
-
হিমবাহের কান্না
ইতিহাসের সাক্ষী
অস্ট্রিয়ার আল্পসে পাস্টেয়ার্সে হিমবাহ গলে যাওয়ার হার সাম্প্রতিক সময়ে নাটকীয় হারে বাড়ছে৷ ফলে হিমবাহে বরফের উচ্চতা বছরে প্রায় ৫০ ফুট করে কমছে৷ ১৯৬৮ সালে হিমবাহটি কোন উচ্চতায় বইতো – তা দেখানো হয়েছে ২০০৬ সালে তোলা এই ছবিতে৷
-
হিমবাহের কান্না
প্রকৃতির প্রতিশোধ
মানুষ্যসৃষ্ট দূষণেই বদলে যাচ্ছে পৃথিবীর জলবায়ু৷ এর প্রভাব কতটা ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনছে – তা এক প্রদর্শনীর মাধ্যমে দেখিয়েছেন ব্রাজিলের শিল্পী নেলে আজেভেদো৷ ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ড লাইফ ফান্ডের সহযোগিতায় ২০০৯ সালে জার্মানির বার্লিনে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়৷
লেখক: জাহিদুল কবির
যদি না গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন অধিক পরিমাণে হ্রাস করা হয়, তাহলে অনেক পরিযায়ী ও অপারিযায়ী পশুপাখি, গাছপালার প্রজাতি অদুর ভবিষ্যতে বিলুপ্ত হয়ে যাবার আশংকা আছে৷ বিভিন্ন প্রজাতির উপর উষ্ণায়নের প্রভাব এতটাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে যে তাদের প্রতিবিধি ও আচরণকে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের সূচক হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে৷ মানুষের অবহেলায় তারা কি পৃথিবীর জলবায়ু পরিবর্তনের নীরব সাক্ষী হয়েই থাকবে? এই প্রশ্ন রেখেই সুভাষ চক্রবর্তী তাঁর ই-মেলটি শেষ করেছেন৷
– দুজনকেই আন্তরিক ধন্যবাদ৷ এই দুইজন পাঠকের পাঠানো মতামত ছাড়া পাঠক ভাবনায় দেবার মতো আর কোন ই-মেল আমরা আজও পাইনি৷ তাই নিয়মিত পাঠকদের পাঠানো মতামতই আজও এখানে তুলে ধরা হলো৷ মাঝে মাঝে অন্য বন্ধুরা মতামত জানালে কিছুটা পরিবর্তন আসবে বলেই আমরা মনে করি? প্রিয় বন্ধুরা, আপনারা কী বলেন? সবাই ভালো থাকুন – এই কামনায়, আমরা সকলে৷
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন