যার জন্য বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে নিজের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা হলো, তাঁকে নিয়ে নানা সময়ে বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করা অকৃতজ্ঞের সামিল ছাড়া আর কিছুই নয়৷
বিশ্ব যেখানে ড.ইউনূসের কর্মকাণ্ডে মুগ্ধ, অভিভূত ও কৃতজ্ঞ, যার ফলস্বরূপ তারা ড.ইউনূসকে একের পর এক সম্মাননা দিচ্ছে, সেখানে আমরা তাঁকে হেয় করছি৷ এই জন্য বাঙালিরা চিরকাল পিছিয়ে থাকবে৷ কারণ আমি উপরে যেতে চাইলেও আমার দেশের কর্তাব্যক্তিরা তা হতে দেবে না, তারই বরং আমাকে পিছন থেকে টেনে ধরবে৷ এটাই আমাদের দেশের রাজনীতি, কালচার৷ লক্ষ্য করুন – বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে বিএনপি'র হরতাল, অবরোধ ও গাড়ি ভাঙচুর করে৷ দেশের সাধারণ জনগণের জান-মালের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে থাকে৷ সুতরাং আমাদেরকেই সচেতন হতে হবে৷ আসুন, আমরা সবাই মিলে এই দুই দলকেই না বলি৷ এভাবেই মতামত জানিয়েছেন মো.ওবায়দুল্লাহ পিন্টু, রেইনবো শ্রোতা সংঘ, আমলা, মিরপুর, কুষ্টিয়া থেকে৷
প্রিয় ডয়েচে ভেলে, আজ ওয়েবসাইট খুলতেই চোখে পড়ল নোবেলজয়ী বাঙালি অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের উপর ছবিঘরটি৷ খুব ভালো লাগল৷ অধ্যাপক ইউনুস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান ‘কংগ্রেশনাল স্বর্ণপদক' পাওয়ায় বাঙালি হিসাবে আমি গর্ব অনুভব করি৷ রবীন্দ্রনাথ এবং অমর্ত্য সেন ছাড়া তিনিই নোবেলে ভূষিত একমাত্র বাঙালি৷ আবার ইনিই একমাত্র বাঙালি, যিনি নোবেল ছাড়াও ২০০৯ সালে পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রেসিডেন্ট স্বর্ণপদক' আর এ বছর ‘কংগ্রেশনাল স্বর্ণপদক'৷
১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত তাঁর গ্রামীণ ব্যাঙ্কের হাত ধরেই বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রামের লক্ষ লক্ষ মানুষ আর্থিক সচ্ছলতার মুখ দেখেছেন৷ তাঁরই মডেল আজ বিভিন্ন দেশে অনুসৃত হচ্ছে৷ তবে আমার বিবেচনায়, এই ধরণের সর্বজনমান্য মানুষের রাজনীতির জগতে প্রবেশ করার সিদ্ধান্ত ঠিক নয়৷ কেননা, সেক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্যতার পরিধি ছোট হয়ে আসে এবং রাজনৈতিক কারণেই শত্রুসংখ্যা বৃদ্ধি পায়৷ ফলে ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনও হয় বিড়ম্বিত৷ হয়তো সেই কারণেই অধ্যাপক ইউনুস বর্তমানে নিজ দেশে বেশ চাপের মধ্যে আছেন৷ সমৃদ্ধ ছবিঘরটি বেশ ভালো লাগল৷
একই রকম ভালো লাগল বৈজ্ঞানিক নিবন্ধ ‘দক্ষিণ মেরুর বরফ গলছে আরও তাড়াতাড়ি'৷ বিস্তারিত এই নিবন্ধে অনেক বিচিত্র তথ্য জানতে পারলাম৷ যেমন, গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন না কমা সত্ত্বেও বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার কমছে৷ আবার তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার কমলেও মেরু অঞ্চলের বরফ গলছে আরও তাড়াতাড়ি৷ এদিকে জাতিসংঘের আইপিসিসি ইতিপূর্বে ২০৩৫ সালের মধ্যে হিমালয়ের বিভিন্ন শৃঙ্গের উপর জমে থাকা সমস্ত বরফ গলে যাওয়ার পূর্বাভাষ দিলেও সেই পূর্বাভাষ এখন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছে৷ সব মিলিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের সাম্প্রতিক গতিপ্রকৃতি বিজ্ঞানীদেরও বেশ বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলেছে৷ দেখেশুনে কবির কথাই মনে জাগে – ‘বিপুলা এ পৃথিবীর কতটুকু জানি!' সবাই ভালো থাকবেন৷ নমস্কার নেবেন৷ কেকা প্রধান, বিপিএইচএন, পাথরডিহি, বাগমুন্ডী, পুরুলিয়া৷
-বিস্তারিতভাবে মতামত জানানোর জন্য দু'জনকেই ধন্যবাদ৷ অন্য বন্ধুরাও লিখবেন, কেমন৷
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন