আমি একটি বিষয় ভেবে অবাক যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলীয় নেত্রীর কাছে শান্তির লক্ষ্যে ফোন করার পরও কেমন করে টানা ৬০ ঘণ্টার হরতাল দিলেন? আমার বোধগম্য হচ্ছে না, তাহলে কি বিদ্রোহী মনোভাব নিয়ে সমঝোতা সম্ভব?
-
দরিদ্র দেশ, বিলাসবহুল গাড়ি
গিনি বিসাউ-এর সব ট্যাক্সিই মার্সিডিজ
গিনি বিসাউ আফ্রিকা মহাদেশের সবচেয়ে ক্ষুদ্র রাষ্ট্রগুলির একটি৷ এটি বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র দেশগুলিরও অন্যতম৷ এখানে সকল ট্যাক্সি চালকেরই রয়েছে মার্সিডিজ বেনৎস-এর গাড়ি৷ বিশ্বের দরিদ্রতম দেশ হলেও তাঁরা চালান জার্মানির ডাইমলার বেনৎস কোম্পানির বিলাসবহুল মার্সিডিজ গাড়ি৷
-
দরিদ্র দেশ, বিলাসবহুল গাড়ি
দীর্ঘদিন চলে ডিজেল মডেলের মার্সিডিজ
মালিক এবং চালকদের কাছে মার্সিডিজের এই পুরনো মডেলের গাড়ি খুবই পছন্দের, যেগুলোতে আজকের দিনের অত্যাধুনিক সুযোগসুবিধা নেই এবং সহজে মেরামত করা যায়৷ বলা যায় বিসাউ-এর চার লক্ষ জনসংখ্যার যানবাহন বাস এবং ট্যাক্সি – প্রায় সবই মার্সিডিজ কোম্পানির গাড়ি৷
-
দরিদ্র দেশ, বিলাসবহুল গাড়ি
আমাদু ১৯৯৯ সাল থেকে এই মার্সিডিজটিই চালাচ্ছে
জার্মান প্রবাসী এক ব্যক্তি ১৯৯৭ সালে এই মার্সিডিজটি পাঠিয়েছিলেন তাঁর পরিবারকে সাহায্য করার জন্য পূর্বের শহর বাফাটাতে৷ ‘‘১৯৯৯ সালে গাড়িটি বিসাউ এ আনা হয়েছে , তারপর থেকেই আমি চালাই৷ আমি এটা চালিয়ে যা পাই তা দিয়ে আমার পরিবারের দু’বেলার খাওয়া-দাওয়া চলে যায়৷’’
-
দরিদ্র দেশ, বিলাসবহুল গাড়ি
যৌথ বিনিয়োগ
মার্সিডিজ ট্যাক্সির মালিক মোট ৭ জন৷ ৪২-১১-সিডি ট্যাক্সির এই নম্বরটি শহরের সবাই এক কথায় চেনে৷ গাড়ি চালানোর ব্যবসা ভালো চললে মাসে ৭৫ ইউরো রোজগার হয়, যা বিসাউবাসীদের জন্য অনেক টাকা৷ কারণ গড়ে তাঁদের আয় মাসে ৫০ ইউরোর কম৷
-
দরিদ্র দেশ, বিলাসবহুল গাড়ি
নির্দিষ্ট রুটের জন্য মার্সিডিজ ট্রাক
ট্যাক্সি স্ট্যান্ডের ট্যাক্সিগুলো বিভিন্ন রাস্তায় চলে৷ মার্সিডিজ ট্রাকগুলো ট্রাকের নির্দিষ্ট রুটে চলে৷ তাছাড়া ‘টোকা-টোকা’ নামের এই হলুদ, নীল মিনিবাসগুলোও চলে৷ ১৯৭৭ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত জার্মানির ব্রেমেনে ২১০ ডি মডেলের ৯৭০.০০০ গাড়ি তৈরি করা হয়েছিল৷ বর্তমানে ভারতের কারখানায় এই গাড়ি তৈরি হচ্ছে৷
-
দরিদ্র দেশ, বিলাসবহুল গাড়ি
সেকেন্ডহ্যান্ড গাড়ি আমদানি
মিনিবাস বা ট্যাক্সি যাই হোক না কেন, সব সময়ই সেকেন্ডহ্যান্ড গাড়ি আমদানি করা হয়৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই গাড়িগুলো প্রতিবেশী দেশ জাম্বিয়ার বন্দর হয়ে ইউরোপ থেকে আফ্রিকায় আনা হয়৷ আফ্রিকায় আসার পর সেনেগাল হয়ে বিসাউ এ আসে৷ এবং সেখানেই আফ্রিকান নাগরিকদের পছন্দমতো গাড়ির রং বদলানো হয়৷
লেখক: ইয়োহানেস বেক, ব্রাইমা ডারামে/ এনএস
এবার আসি অন্বেষণ অনুষ্ঠান সম্পর্কে কিছু বলতে৷ গত পর্বের অন্বেষণ ছিল আমার মনের মতো বিষায়বলী নিয়ে – রান্না, গাড়ি এবং পরিবেশের নানা তথ্য৷ আমি প্রস্তাব রাখছি মঙ্গলগ্রহের নানা তথ্য অন্বেষণে সংযোজন করবেন৷ ডা. এস এম এ হান্নান, হরিপুর, পাবনা থেকে পাঠিয়েছেন এই ই-মেলটি৷
- ভাই হান্নান, আমাদের ওয়েবসাইট ভলো করে পড়ে থাকলে আপনি নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন যে ‘নারী দেশে দেশে'-র পাতায় নারীদের নানা বিষয় নিয়ে রয়েছে অনেক তথ্য৷
আশা ও বিশ্বাস ভালো আছেন বিভাগীও সকলে৷ ক্লাবের পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন৷ আজ ডয়চে ভেলের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞান বিষয়ক একটা প্রতিবেদন পড়ে আপনাদের কাছে চিঠি না লিখে থাকতে পারলাম না৷ পরিবেশনার বিষয়টি ছিল বুদ্ধিমান গাড়ি৷ গাড়িরও যে বুদ্ধি আছে, এটা আজ প্রথম ডয়চে ভেলে থেকেই জানতে পারলাম৷ আসাধারণ গাড়ি যে কিনা স্বয়ংসম্পূর্ণ৷ যে কিনা কোনো বিপদ আসলে নিজে থেকে বুঝতে পারে৷ এমনকি ড্রাইভার যদি ক্লান্ত হয়, সেটিও বুঝতে পারে সে৷ সত্যি খুব ভালো লাগল এই পরিবেশনাটি৷ কিন্তু আফসোস, এই ধরনের গাড়ি কি আমাদের মতো অনুন্নত দেশে কোনো দিনও তৈরি হবে? হয়ত হবে, কিন্তু কবে? যা হোক, এই অসাধারণ পরিবেশনাটির জন্য ডয়চে ভেলেকে অসংখ্য ধন্যবাদ৷ বাপি দেবনাথ৷
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ