‘দিন বাড়ছে আমাদের এক্সপেক্টেশনও বাড়ছে৷ বাকি দল সামনে যাচ্ছে আমরা শুধু পেছনে কেনো যেতে চাই? মানব জাতির এভুলেশনের পাশাপাশি আমাদের ক্রিকেটের মানেরও এভুলেশন হতে হবে'- মনে করেন পাঠক জ্যাম আর চৌধুরী৷
খালেদ সুজন ক্রিকেট টিমের কোচ হোক তা পাঠক সুবোধ কোনোভাবেই চাননা৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘কখনোই না, এখন বাংলাদেশের যে অবস্থা তা যে কোন দলের জন্য হুমকি৷ সুজন ভাই যদি কোচ হয় তাহলে কেনিয়ার সাথেও হারবে৷ তবে মোর্শেদ চৌধুরী মতে কোচ যদি দেশি হয় তাহলে সালাউদ্দিনকে করতে হবে কারণ তাকে সাকিব এবং তামিমও গুরু মানেন৷''
সুজনকে কোন স্কুল টিমের কোচ করা যেতে পারে-এই মন্তব্য শফিউল আলমের৷ মো.আরিফের ধারনা বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের জন্য বিদেশি কোচই নাকি ভালো৷
এদিকে পাঠক ওমরও সুজনকে কোনোভাবেই কোচ হিসেবে মানতে রাজি নন৷ আর সুজন কোচ হলে নাকি আমিনূর রহমান খেলা দেখাই ছেড়ে দেবেন৷
সুজন কোচ হলে আগামী বিশ্বকাপে বাংলাদেশ খেলার সুযোগ হারাবে বলে মনে করেন পাঠক মো.মোস্তাফিজুর রহমান৷
তুষার বিশ্বাস, সাজ্জাদুর রহমান, দাউদ হোসেন, সৈকত হাসান সোহাগসহ অনেকেই চান না যে সুজন বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের কোচ হোক৷ তবে মাশরাফি নাকি টিমের জন্য শতকরা ১০০ ভাগই ঠিক আর একথা জানিয়েছেন ডয়চে ভেলের পাঠক আকাশ জয়৷
‘যার হাত ধরে সাকিবের মত একজন অলরাউন্ডার হতে পারে, আমরা তাকেই চাই অর্থাত সালাউদ্দিন স্যারকে'- এই মন্তব্য মো.কাদিরের৷
আর নাইমুল ইসলামের মতে হাবিবুল বাশার হলে ভালো হয়৷ তিনি সুজনকে নিয়ে একটু সন্দীহান, প্রশ্ন সুজন কি পারবে?
এদিকে ডয়চে ভেলের পাঠক মোর্শেদ হাসিব হাসান শুধু ছোট্ট করে লিখেছেন ‘জোস' এটা তিনি সুমন সম্পর্কে না ডয়চে ভেলের ফেসবুক লাইভ সম্পর্কে তা ঠিক বোঝা গেলোনা৷
পাঠক মাজেদুল হাসান শিশির লিখেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়া থেকে কোচ আনুক, আর বাংলাদেশি হলে আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে চাই৷'
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: খালেদ মুহিউদ্দীন
-
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ম্যাচ জেতানো নায়কেরা
মিনহাজুল আবেদিন নান্নু, ১৯৯৯
১৯৯৯ সালে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ অংশ নেয় ক্রিকেট বিশ্বকাপে৷ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে যাত্রাটি শুরু হয় ছয় উইকেটের হার দিয়ে৷ বাংলাদেশ প্রথম জয় তুলে নেয় তৃতীয় ম্যাচে, স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে৷ এই ম্যাচে ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ হন মিনহাজুল আবেদিন নান্নু৷ বাংলাদেশের ২২ রানে জেতা ম্যাচে ৬৮ রান (অপরাজিত) করেন তিনি৷ পাশাপাশি ৩ ওভার বল করে ১টি উইকেটও নিয়েছিলেন বিসিবির বর্তমান নির্বাচক৷
-
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ম্যাচ জেতানো নায়কেরা
খালেদ মাহমুদ সুজন, ১৯৯৯
১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে আসরের দ্বিতীয় জয়টিও পেয়ে যায় বাংলাদেশ৷ ৬২ রানে জেতা সেই ম্যাচে ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ হন খালেদ মাহমুদ সুজন৷ ব্যাট হাতে ২৭ রান করার পর বোলিংয়ে ৩ উইকেটও নিয়েছিলেন তিনি৷
-
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ম্যাচ জেতানো নায়কেরা
মাশরাফি বিন মোর্তজা, ২০০৭
১৯৯৯ সালে প্রথমবার বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে দুই ম্যাচে জয় পেলেও বিশ্বকাপে পরের জয়ের জন্য ৮ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে বাংলাদেশকে৷ ২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে সেই জয়ের দেখা পায় টাইগাররা৷ ৪ উইকেট নিয়ে সেবার ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ হয়েছিলেন মাশরাফি বিন মোর্তজা৷
-
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ম্যাচ জেতানো নায়কেরা
মোহাম্মদ আশরাফুল, ২০০৭
২০০৭-এর আসরে বিশ্বকাপের তৃতীয় জয়টিও পেয়ে যায় বাংলাদেশ৷ গ্রুপ পর্যায়ের সেই ম্যাচে বারমুডাকে হারায় টাইগাররা৷ ব্যাট হাতে ৩২ বলে হার না মানা ২৯ রান করায় ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ নির্বাচিহ হন মোহাম্মদ আশরাফুল৷ ম্যাচটি বাংলাদেশ জিতেছিল ৭ উইকেটে৷
-
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ম্যাচ জেতানো নায়কেরা
মোহাম্মদ আশরাফুল, ২০০৭
২০০৭ সালের সেই আসরেই প্রথম বারের মতো সুপার এইটে উঠে সাউথ আফ্রিকাকেও হারিয়ে দেয় বাংলাদেশ৷ ৮৩ বলে ৮৭ রান করে আবার ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ হন মোহাম্মদ আশরাফুল৷ ম্যাচটি বাংলাদেশ জিতেছিল ৬৭ রানে৷
-
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ম্যাচ জেতানো নায়কেরা
তামিম ইকবাল, ২০১১
২০১১ সালে ঘরের মাঠের বিশ্বকাপে তিনটি জয় পায় বাংলাদেশ৷ গ্রুপ পর্যায়ে প্রথমে আয়ারল্যান্ডকে হারায় ২৭ রানে৷ ওই ম্যাচে ৪৩ বলে ৪৪ রান তুলে ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ হন তামিম ইকবাল৷
-
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ম্যাচ জেতানো নায়কেরা
ইমরুল কায়েস, ২০১১
২০১১ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্যায়ের আরেক ম্যাচে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ৷ সেই ম্যাচে ১০০ বলে ৬০ রান করে ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ হন ইমরুল কায়েস৷ বাংলাদেশ জয়ী হয়েছিল ২ উইকেটে৷
-
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ম্যাচ জেতানো নায়কেরা
ইমরুল কায়েস, ২০১১
২০১১ সালের সেই বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্যায়ের ম্যাচে আরেকটি জয়ও পেয়ে যায় সহ-আয়োজক বাংলাদেশ৷ ওই ম্যাচে নেদারল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারিয়েছিল টাইগাররা৷ চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত ওই ম্যাচে ১১৩ বলে ৭৩ রান করে ম্যাচ সেরা হন ইমরুল কায়েস৷
-
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ম্যাচ জেতানো নায়কেরা
মুশফিকুর রহিম, ২০১৫
২০১৫ সালের বিশ্বকাপে তিনটি ম্যাচে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ৷ তবে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে জিতলেও ম্যাচে ম্যান অব ম্যাচ হাতছাড়া হয় বাংলাদেশের৷ তবে আফগানিস্তানকে ১০৫ রানে হারানোয় ৫৬ বলে ৭১ রানের অবদান রেখে ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ হয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম৷
-
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ম্যাচ জেতানো নায়কেরা
মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, ২০১৫
২০১৫ সালের বিশ্বকাপে টাইগাররা দ্বিতীয় জয়টি পায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে৷ ওই ম্যাচে ১৩৮ বলে ১০৩ রান তুলে ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ হন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ৷ বাংলাদেশ ওই ম্যাচ জিতেছিল ১৫ রানে৷
-
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ম্যাচ জেতানো নায়কেরা
সাকিব আল হাসান, ২০১৯
২০১৯ সালে বিশ্বকাপ মিশনের প্রথম ম্যাচে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে জয় পায় বাংলাদেশ৷ ম্যাচে অলরাউন্ডার নৈপুণ্য দেখিয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হন সাকিব৷ ব্যাট হাতে করেছেন ৮৪ বলে ৭৫ রান আর বল হাতে ১০ ওভারে ৫০ রান দিয়ে নেন এক উইকেট৷ বাংলাদেশ জিতে যায় ২১ রানে৷
লেখক: মাসুম বিল্লাহ