ভীষণ ভালো লাগে ওয়েবসাইটের বিজ্ঞান পরিবেশ শীর্ষক পাতাটি৷ আমার মনে হয় বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ নিয়ে নিত্য নতুন খবর জানার জন্য এই পাতাটির ও অন্বেষণ অনুষ্ঠানটির কোনো জুড়ি নেই৷ বিশ্বের আর কোনো বেতার কেন্দ্র বিজ্ঞান ও পরিবেশ নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির বার্তা ডয়চে ভেলের মতো এত নিবিড়ভাবে তুলে ধরেছে কিনা, তা আমার জানা নেই৷ সুতরাং, ডয়চে ভেলের সামাজিক দায়বদ্ধতা অন্য যে কোনো বেতার কেন্দ্রের চেয়ে ঢের বেশি৷ ডয়চে ভেলের মতো সংবেদনশীল ওয়েবসাইট আরও জমাট, জমকালো, সর্বাঙ্গীন ও তথ্য সমৃদ্ধ হোক, দিনে দিনে বেড়ে উঠুক পাঠক-পাঠিকার সংখ্যা, এই কামনা রইলো৷ শুভেচ্ছান্তে, সুভাষ চক্রবর্তী, নতুন দিল্লি থেকে৷
-
পাউরুটির দেশ জার্মানি
পাউরুটির বৈচিত্র্য
সম্ভবত জার্মানিই একমাত্র দেশ, যেখানে প্রায় তিনশো রকমের পাউরুটি রয়েছে৷ রয়েছে প্রায় ১,২০০ রকমের মিষ্টি বা নোনতা বিস্কুট৷ জার্মানদের প্রিয় খাবার বিভিন্ন ধরনের পাউরুটি৷ তবে রুটির জন্ম কিন্তু মিশরে, তিন হাজার বছর আগে৷
-
পাউরুটির দেশ জার্মানি
দানা মিশ্রিত পাউরুটি
বিভিন্ন রকমের শস্য দানা দিয়ে নানা স্বাদের, নানা নামে রুটি খেতে যেমন মজা তেমনি স্বাস্থ্যকরও বটে৷ গম বা আটার রুটিতে মেশানো হয় ভুট্টা, গম, তিল, যব জাতীয় বিভিন্ন দানা৷ তাছাড়াও সূর্যমুখী ফুলের বীজ, বিভিন্ন কুমড়ার বীজের পাউরুটিগুলো খেতে খুবই স্বাদ৷ রুটিতে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে দেওয়া গাজরের টুকরা বেশ রসালো স্বাদের৷
-
পাউরুটির দেশ জার্মানি
নানা উপলক্ষ্যে রুটি
জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে, ভালোবাসা, নববর্ষ – এ সব উপলক্ষ্যে বানানো হয়ে থাকে স্পেশাল পাউরুটি৷ যদিও এসবের প্রচলন আজকাল আগের মতো তেমনটা নেই৷
-
পাউরুটির দেশ জার্মানি
জার্মানরা দু’বেলায়ই পাউরুটি খায়
দেশে রুটি যে শুধু সকালের নাস্তায়ই থাকে তা নয়৷ জার্মানরা পাউরুটি দিয়ে রাতের খাবারও সারেন৷ তবে নাস্তার রুটি আর রাতের খাবারের রুটির মধ্যে অবশ্যই পার্থক্য রয়েছে৷ সকালে বেকারিতে রুটি কিনতে গেলে তাজা রুটির গন্ধ আর স্বাদ নিঃসন্দেহে খিদে বাড়িয়ে দেয়৷
-
পাউরুটির দেশ জার্মানি
সবার প্রিয় ব্র্যোটশেন
ব্র্যোটশেন – গোল বা ডিম্বাকৃতির পাউরুটি৷ আর এই রুটি ছাড়া সকালের নাস্তা জার্মানরা ভাবতেই পারেন না৷ একটি ব্র্যোটশেন মাঝখানে কেটে দু’ভাগ করে, ভেতরে মাখন, পনির, জেলি বা এ ধরনের কিছু লাগিয়ে খেতে সত্যিই দারুণ মজা৷ ব্র্যোটশেন এতোটাই প্রিয় যে, জার্মানিতে রোববারে সবকিছুই বন্ধ থাকলেও কিছু এলাকায় শুধুমাত্র ব্র্যোটশেন বিক্রির জন্য বেকারি খোলা রাখা হয়৷
-
পাউরুটির দেশ জার্মানি
জার্মান পাউরুটি দারুণ মজা
জার্মান রুটির প্রশংসা চারিদিকে৷ নিজের দেশে বেকারি খোলার পরিকল্পনা থেকে জার্মানিতে পাউরুটি বানানোর ট্রেনিং নিতে আসেন অনেকেই৷ দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে এসেছে ক্যাথরিন, চীন থেকে চিওচাং লাম এবং দক্ষিণ ভারত থেকে এসেছে এলোমালাই গোপাল৷ ওদের সবারই এককথা, ‘‘জার্মান পাউরুটি দারুণ মজা’’!
-
পাউরুটির দেশ জার্মানি
ভাতের পরিবর্তে রুটি
এশিয়ার দেশগুলোতে ভাত খাওয়ার প্রচলনই বেশি তবে দিন দিন তা বদলে যাচ্ছে৷ জাপানে গত ৩০ বছর ধরে ভাতের জায়গা দখল করছে রুটি৷ তবে তা শুধু শহরগুলোতে, গ্রামে আগের মতোই ভাত খাওয়া হয়৷ একথা বাংলাদেশ বা ভারতের ক্ষেত্রেও কিছুটা প্রযোজ্য৷
-
পাউরুটির দেশ জার্মানি
জার্মানিকে বলা হয় পাউরুটির দেশ
পাউরুটি তৈরির সময় বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখা হয় এতে পুরো খাদ্যগুণ বজায় থাকে কিনা৷ এখানে সাদা রুটি খুবই কম দেখা যায়৷ সাদা টোস্ট পাউরুটি জার্মানিসহ বিশ্বের প্রায় সব দেশেই পাওয়া যায়৷ তবে জার্মানিতে সাদা অর্থাৎ শুধু ময়দায় টোস্ট নয়, এখানে তৈরি করা হয় বিভিন্ন দানাসহ টোস্ট রুটি যা খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর৷
-
পাউরুটির দেশ জার্মানি
পাউরুটি বানানোর কারিগর থেকে ফুটবলার
জার্মানির সুবিখ্যাত ফুটবলার এবং সাবেক জাতীয় দলের কোচ ইয়ুর্গেন ক্লিন্সমান পেশায় একজন ‘বেকার’ অর্থাৎ তিনি পাঁউরুটি বানানো শিখেছেন৷ তবে কখনো রুটি বানিয়েছেন কিনা, তা বলা যায়না৷
-
পাউরুটির দেশ জার্মানি
ছোট থেকে বড়, সবাই পাউরুটি খায়
ছোটবেলা থেকে পাউরুটি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে ওঠে জার্মানদের৷ বাড়ি থেকে বের হবার সময় যার যা ইচ্ছে, অর্থাৎ সালাদ, পনির, মাছ, মাংসের স্লাইস পছন্দমতো পাউরুটির ভেতরে ঢুকিয়ে সুন্দর করে স্যান্ডউইচ বানিয়ে সাথে নিয়ে নেয়৷ স্যান্ডউইচ তাজা রাখার জন্য আলাদা বক্সও রয়েছে৷
-
পাউরুটির দেশ জার্মানি
দেশের কথা মনে পড়ে
জার্মানরা নানা দেশ ঘুরে বেড়াতে ভালোবাসে, সে কথা অনেকেরই জানা৷ ছুটি থেকে ফিরে এলে বহু জার্মানকেই বলতে শোনা যায়, ছুটি উপভোগ করলেও দেশি পাউরুটি তারা মিস করেছে বিদেশে, বিশেষ করে সকালের নাস্তায়৷ আর বিদেশিরা জার্মানিতে এসে জার্মান পাউরুটির বৈচিত্র্য দেখে, খেয়ে আনন্দিত হয়৷
লেখক: নুরুননাহার সাত্তার
প্রিয় ডয়চে ভেলে, অফুরন্ত ভালোবাসা রইল৷ সাপ্তাহিক টিভি প্রোগ্রাম ‘অন্বেষণ' টেলিভিশনের পর্দায় মিস করলেও ডিডাব্লিউ-র ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কষ্ট করে দেখতে হতো৷ কারণ বাংলাদেশের ইন্টারনেটের গতি অত্যন্ত ধীর৷ আবার ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে দেখার সুযোগও ছিল না৷ কিন্তু সম্প্রতি, মেঘ না চাইতে বৃষ্টির মতো হঠাৎই নজর গেলো ইউটিউবে অন্বেষণ৷ এখন খুব সহজে ইউটিউব থেকে ডাউনলোড করে অন্বেষণের বিভিন্ন প্রতিবেদনগুলো দেখতে পাচ্ছি৷ ডিডাব্লিউ-র বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও পরিবেশ বিষয়ে অজানা খবরাখবর এবং তথ্যমূলক অনুষ্ঠান ‘অন্বেষণ' আর মিস হবে না৷ অনেক অনেক ধন্যবাদ ডয়চে ভেলেকে৷
‘অন্বেষণ' কুইজ চালু করার পর অনেক নতুন নতুন ফেসবুক বন্ধু পাচ্ছি৷ আমাদের বন্ধুর সংখ্যাও বাড়ছে৷ আশাকরছি খুব শীঘ্রই ডিডাব্লিউ-র বন্ধুর সংখ্যা ১ লক্ষ হবে৷ এস এম আনোয়ার কবীর, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, জোনাল কার্যালয়, সিরাজগঞ্জ থেকে লিখেছেন এ কথাগুলি৷
- ধন্যবাদ দু'জনকেই৷ অন্য বন্ধুরাও লিখবেন, কেমন?
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ