তিনি মনে করেন, ইবোলার ভ্যাকসিন আবিষ্কারে অনেক প্রাণ বেঁচে যাবে৷ তাই তিনি বিজ্ঞানীদের প্রাণঢালা অভিনন্দন জানিয়েছেন৷
তোফাজ্জল হোসেন তপু লিখেছেন, ‘ঘুরে এলাম জার্মানির পাহাড় থেকে' খুব ভালো লাগলো৷ হ্যামিলন শহর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাই৷ হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা গল্পটি মনে পড়ে এখনো৷
– বন্ধু তপু ‘হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা' নিয়ে আমাদের ছবিঘরটি দেখুন৷ -
হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা
ঐতিহাসিক পুরনো শহর
৩০টিরও বেশি ভাষায় হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা গল্পটি অনুবাদ করা হয়েছে৷ পায়ে হেঁটে হ্যামিলন শহরটি ঘুরে বেড়ালে দেখা যাবে এর সব জায়গাতেই রয়েছে বাঁশিওয়ালার গল্পের চিহ্ন৷ রয়েছে অসংখ্য বিশিষ্ট ভবন এবং রেনেসাঁ শৈলীর নমুনা৷
-
হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা
বিয়ে বাড়ি
এই বাড়িটি ঐতিহাসিক ‘বিয়ে বাড়ি’ নামে পরিচিত৷ যা ১৬১০ থেকে ১৬১৭ সাল পর্যন্ত ইট আর বালি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে৷ হ্যামিলনবাসীদের জন্য এই বাড়িতে নানা রকম উৎসবের আয়োজন করা হতো সে সময়৷ তবে এখন এখানে বিয়ে রেজিস্ট্রি করা হয়৷ প্রতিদিন সকাল ৯.৩০ মিনিটে বাঁশিওয়ালার গানের সুরে ৩৭ বার বাজানো হয় ঘণ্টা৷
-
হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা
পুতুল নাচ
পুতুল নাচের মাধ্যমে প্রতিদিন তিন বেলা বাড়ির ছাদের নীচের এই ঘরটিতে দেখানো হয় বাঁশিওয়ালার গল্প৷ ১২৮৪ সালে হ্যামিলন ইঁদুরের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে উঠেছিল৷ তাই যে ইঁদুর তাড়াতে পারবে তাকে মোটা অঙ্কের টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করা হয়৷ তখনই আবির্ভাব ঘটে অদ্ভুত এক বাঁশিওয়ালার৷ সত্যি সত্যিই যখন তিনি মধুর সুরে তাঁর বাঁশি বাজাতে থাকে, তখন শহরের সব ইঁদুর তাঁকে অনুসরণ করতে করতে নদীতে ডুবে মরে৷
-
হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা
বাঁশিওয়ালার গল্প
হ্যামিলনবাসী পুরস্কারের প্রতিশ্রুতি দিলেও কাজ শেষে বাঁশিওয়ালার প্রাপ্য টাকা দিতে অস্বীকার করে৷ তারপর আর কী? বাঁশিওয়ালা ফিরে এসে আবারো শুরু করেন বাঁশি বাজানো৷ এবার ইঁদুর নয়, হ্যামিলনের ছোট ছোট শিশুরা অনুসরণ করে তাঁকে৷ আর একটা সময় অদৃশ্য হয়ে যায়৷ হ্যামিলনবাসীদের জন্য বাঁশিওয়ার এ এক নিষ্ঠুর শাস্তি৷ জার্মান চিত্রকর গুস্তাভ স্পাঙেনব্যার্গ ১৮৯০ সালে শিশুদের চলে যাওয়ার দৃশ্যটা এভাবেই কাঠে খোদাই করেন৷
-
হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা
জাদুঘর
‘প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা না রাখার ফল হতে পারে ভয়ংকর’ – সম্ভবত এটাই ঐতিহাসিক এই ‘হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা’ গল্পটির মূল বিষয়৷ এই জাদুঘরটিতে লেখা রয়েছে হ্যামিলনের রহস্যময় বাঁশিওয়ালার কাহিনি সম্পর্কে আরো নানা কথা, তথ্য৷
-
হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা
ইঁদুর ধরা বাঁশিওয়ালার বাড়ি
হ্যামিলন শহরের পুরনো এলাকার ভেতর দিয়ে যাওয়া যায় রেনেসাঁ শৈলীতে তৈরি করা বাঁশিওয়ালার বাড়িটিতে৷ বাড়ির বারান্দায় পাশে খোদাই করে লেখা রয়েছে, ‘‘রংচঙে পোশাক পরা এক বাঁশিওয়ালা ১৩০ জন শিশুকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল৷’’
-
হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা
ইঁদুরের স্মারক
হ্যামিলন শহরের প্রতিটি রাস্তার মোড়েই দেখা যায় ‘সুভেনিয়র’ বা স্মারকের দোকান৷ সেখানে সব রকম স্মারক, অর্থাৎ কাপ, গ্লাস, টি-শার্ট – সব কিছুর গায়েই রয়েছে বাঁশিওয়ালা গল্পের কোনো না কোনো চিহ্ন৷
-
হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা
জীবন্ত বাঁশিওয়ালা
মে মাস থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত প্রতি রবিবার বাঁশিওয়ালার গল্পটিকে পথ নাটকের মাধ্যমে দেখানো হয়৷ সেখানে ৮০ জন প্রাপ্তবয়স্ক হ্যামিলনবাসী ও শিশুরা বিশেষ পোশাক পরে ৩০ মিনিট ধরে বাঁশিওয়ালার গল্পের নানা কিছু সুন্দরভাবে তুলে ধরেন৷ গড়ে ২,০০০ পর্যটক যা মন্ত্রমুগ্ধের মতো দেখেন৷
লেখক: নুরুননাহার সাত্তার
পরের ইমেল পাঠিয়েছেন নতুন দিল্লির পাঠক সুভাষ চক্রবর্তী৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘জানতে পারলাম যে, জার্মানি দেশের কোম্পানির বোর্ডে মহিলাদের জন্য ৩০ শতাংশ কোটা নির্ধারণ করার লক্ষ্যে আইন প্রণয়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ উদ্যোগটি নিঃসন্দেহে নারীর ক্ষমতায়ন অর্জনের লক্ষ্যে একটি কার্যকরী পদক্ষেপ৷ যেখানে মহিলা নেত্রী থাকা সত্ত্বেও এবং ফেডারেল মন্ত্রিসভায় প্রায় ৪০ শতাংশ মহিলা প্রতিনিধি থাকা সত্ত্বেও জার্মানির কর্মক্ষেত্রের উচ্চপদে নারীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কম, সেখানে এই আইন ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতির কর্মক্ষেত্রে বৃহত্তর লিঙ্গসমতা আনতে সহায়তা করবে৷ তবে নতুন কিছু করতে গেলে যে-কোনো দেশের সরকারকে সমালোচনার সম্মুখীন হতেই হয়৷ উপরোক্ত বিষয়টির ওপর প্রতিবেদন এবং সংবাদভাষ্য পড়ে বিস্তারিত জানতে পারলাম৷ ভালো লাগলো বিশ্বের সেরা উঁচু ভবনের ছবি সহ তালিকাটি দেখে৷''
– লেখার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ৷ এভাবেই সাথে থাকবেন বন্ধুরা, কেমন ?
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: জাহিদুল হক