মন্দির ভক্তদের ন্যাড়া হওয়া নিয়ে পাঠকরা যা বললেন | পাঠক ভাবনা | DW | 17.01.2018
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

মতামত

মন্দির ভক্তদের ন্যাড়া হওয়া নিয়ে পাঠকরা যা বললেন

ভারতের অন্ধ্র প্রদেশে মন্দির পরিদর্শনে যাওয়ার আগে অনেক ভক্ত মাথার সব চুল কেটে ফেলেন৷ সেই চুল দিয়ে ব্যবসা করে মন্দির৷ এই রীতি সম্পর্কে ডয়চে ভেলের পাঠকরা মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন৷

ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় নুরুল ইসলাম পান্না লিখেছেন, ‘‘তারা তাদের ধর্মের প্রতি সম্মান দেখিয়ে মাথা ন্যাড়া করছে৷ কারো কোনো ক্ষতি হচ্ছে না! তাতে আমাদের সমস্যা কি?''

বিমল কর্মকার লিখেছেন, ‘‘এই চুল বিক্রি করা অর্থ যেহেতু মন্দিরের সম্পত্তি হয়ে জমা হয়েছে, তাই একে ‘ব্যবসা' বলা মূর্খতা৷ কারণ ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের তিরুপতি শহরের ভেঙ্কটেশ্বর মন্দিরটি কারো ভিক্ষায় চলেনা৷''

মহিউদ্দিন বিশ্বাস মনে করেন, ‘‘ভারতে এখন লাভজনক ব্যবসা ধর্ম ব্যবসা৷ যাতে কোনো পুঁজি লাগে না৷ লাগে শুধু মানুষের অন্ধবিশ্বাস ও একটু ধর্মের সুড়সুড়ি৷ ব্যস তারপর গোটা দেশ থেকেই খুব সহজেই লভ্যাংশ আসতে শুরু করে৷''

তবে নাহিদ পারভিনের মতে,  ধর্ম নিয়ে ব্যবসা সবখানেই দেখা যায়,কোথাও কম আর কোথাও বেশি৷

অন্যদিকে পাঠক সম্রাট খুব খুশি হয়েছেন ডয়চে ভেলে এ বিষয়ে তাঁদের মতামত জানতে চাওয়ার জন্য৷

জান মোহাম্মদ লিখেছেন, ‘‘ভারতীয়রা আসলে ধর্মান্ধের অন্ধকার থেকে আজও বেরুতে পারেনি৷ অথচ এই তারাই বড় বড় কথা বলে৷''

তবে আতিকুর রহমান মনে করেন, যাঁদের চিন্তাশক্তি নেই তাঁরাই এসব বিষয় নিয়ে মাতামাতি করেন৷ আর বিশ্বাস কামরুল হাসানের বিশ্বাস, মানুষের বিবেক অন্ধ হলে মানুষ মন্দির পরিদর্শনে যাওয়ার আগে মাথা ন্যাড়া করতে পারেন বা সেই চুল দিয়ে ব্যবসাও করতে পারেন৷

সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার

সম্পাদনা: আশীষ চক্রবর্ত্তী

নির্বাচিত প্রতিবেদন