‘‘শুধু স্বাস্থ্যমন্ত্রী কেন, তথ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে অন্যান্য মন্ত্রীদেরও একই অবস্থা, লাগামহীন কথাবার্তা,'' এই মন্তব্যটিকরেছেন পাঠক রফিকুল আলম৷ আরেক পাঠক শেখ রুশো লিখেছেন, ‘‘অসুস্থ, অস্বাভাবিক মানুষেরা বাংলাদেশে দায়িত্বশীল পদে থাকেন৷ সত্য কথা বলা তো দূরের কথা, স্বীকার করারও সৎসাহস নাই তাঁদের৷''
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মন্তব্য সম্পর্কে পাঠক শরীফ জাকের লিখেছেন, ‘‘এই আশ্চর্য হলেও সত্য যে, এমন বর্ণবাদী লোককে আমরাই মন্ত্রী বানিয়েছি৷ এর দায় থেকে আমরা নিজেদের পরিত্রাণ দিতে পারিনা৷''
ডয়চে ভেলের পাঠক সুজন চন্দ্র মন্ডল দুঃখ করে লিখেছেন, ‘‘এই যদি হয় রোহিঙ্গাদের প্রতি প্রকৃত মনোভাব, তবে তাদের সাদরে আশ্রয় দেয়ার বিষয়টিকে স্রেফ আদিখ্যেতা ছাড়া অন্য কিছু ভাবার কোন অবকাশ নেই৷''
এদিকে, ডেঙ্গু রোগীদের দুঃখ, দুর্দশাকে কষ্টদায়ক মনে না করে উনারা এটাকে নিজেদের হাসির খোরাক বানিয়ে নিয়ে মনগড়া কথাবার্তা বলা শুরু করছেন বলে মনে করছেন মজিবর রহমান৷ আর নাভিদ মোহাম্মদ জাভেদ লিখেছেন, ‘‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী অস্বাস্থ্যকর কথা বলেছেন৷''
ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় করা মন্তব্যে কোন কোন পাঠক স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগও দাবি করেছেন৷ মোহাম্মদ ফরিদুজ্জামান নাঈম লিখেছেন, ‘‘ডেঙ্গুর যা ভয়াবহতা তাতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী পদত্যাগ করেও দায় কমাতে পারেননা৷ ব্যর্থতার দায় নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী নগর কর্তৃপক্ষ এবং দুই নগরপিতা প্রত্যেকেরই উচিত দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়া উচিত৷''
পাঠক তানজিন আহমেদ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মন্তব্যকে ন্যক্কারজনক উক্তি বলেছেন৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘একজন মন্ত্রীর নিকট থেকে এরকম উক্তি আশা করি না৷ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির মশার সাথে তুলনা!''
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম
-
ভয়াবহ সব মশাবাহিত রোগ
লাইশম্যানিয়াসিস
গর্ভবতী নারী মশাদের কামড়ে এই রোগ ছড়ায়৷ ৩০ ধরনের ভিন্ন প্রজাতির লাইশম্যানিয়াসিস জীবাণু রয়েছে৷ এর মধ্যে ১০টি মানবদেহে রোগ ছড়ায়৷ প্রাথমিক পর্যায়ে জ্বর ও মাথা ব্যাথা দেখা দেয়৷ কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্কিন আলসার হয়ে ক্ষত সৃষ্টি হয়৷ তবে দ্রুত ডাক্তার না দেখালে যকৃত, বৃক্কসহ বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ অঙ্গে তা ছড়িয়ে পড়তে পারে৷ চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুও ডেকে আনতে পারে লাইশম্যানিয়াসিস৷
-
ভয়াবহ সব মশাবাহিত রোগ
সিন্ডবিস
কুলেক্স নামের নিশাচর মশা এই রোগের ভাইরাস বহন করে৷ মূলত আফ্রিকায় পাওয়া গেলেও সম্প্রতি ইউরোপের বিভিন্ন স্থানে মানবশরীরে এই জীবাণুর অস্তিত্ব পেয়েছেন৷ এই মশার কামড়ে তীব্র জ্বর ও মস্তিষ্কে প্রদাহ দেখা দেয়৷ আরো ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন হাড়ের সংযোগেও প্রদাহের সৃষ্টি হয়৷ কয়েক সপ্তাহ পর এ রোগ এমনিতেই সেরে যায়৷ এর কোনো ওষুধ নেই৷
-
ভয়াবহ সব মশাবাহিত রোগ
ইয়েলো ফিভার
টাইগার মশা এবং এডিস প্রজাতির আরো কিছু মশার মাধ্যমে ইয়েলো ফিভার ছড়ায়৷ সাধারণভাবে একে ফ্লাভিবাইরাসও বলা হয়ে থাকে৷ আফ্রিকার ৩৪টি এবং দক্ষিণ ও মধ্য অ্যামেরিকার ১৩টি দেশে ইয়েলো ফিভারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি৷ শুরুতে জ্বর এলেও পরে তা বমি, এবং একসময় মেনিনজাইটিসে রূপ নেয়৷ গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যঙ্গ আক্রান্ত হওয়া, এমনকিসম্পূর্ণ নষ্ট হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়৷
-
ভয়াবহ সব মশাবাহিত রোগ
ডেঙ্গু
এডিস ইজিপ্টাই নামের মশার কামড়ে আক্রান্ত হলে শরীরে ব্যাথা হয়, লাল গুটি দেখা দেয়, মাংসপেশী ও হাড়ের জোড়াতেও ব্যাথা হয়৷ চূড়ান্ত পর্যায়ে গেলে রক্তক্ষরণে মৃত্যুও হতে পারে৷ প্রথমবারের ধাক্কা সামলে উঠলেই যে মুক্তি তা কিন্তু নয়৷ ডেঙ্গু রোগে কেউ দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হলে তা প্রথমবারের চেয়েও মারাত্মক হতে পারে৷
-
ভয়াবহ সব মশাবাহিত রোগ
জিকা
এডিস ইজিপ্টাই, টাইগার মস্কিউটো এবং এডিস আলবোপিকটাস জিকা ভাইরাস ছড়ায়৷ ২০১৫ সালে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ে এই রোগ৷ জিকার আক্রমণে ব্রাজিলে অসংখ্য শিশু মাইক্রোসিফেলি নামের ভয়াবহ প্রতিবন্ধিত্ব নিয়ে জন্মায়৷ এর ফলে শিশুদের মাথার আকৃতি বিকৃত হয়ে যায়৷ বিশেষ করে গর্ভবতী মায়েরা জিকায় আক্রান্ত হলে শিশুদের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে বেশি৷
-
ভয়াবহ সব মশাবাহিত রোগ
ওয়েস্ট নাইল ফিভার
বয়স্ক লোক বা দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার মানুষের ক্ষেত্রে এই রোগ ভয়াবহ ক্ষতি বয়ে আনতে পারে৷ এর ফলে মেনিনজাইটিস ও মায়োকার্ডিটিস হতে পারে৷ অন্যান্য মশাবাহী রোগের মতো কাঁপুনি, ঠান্ডা লাগা, জ্বর, মাথা ব্যাথা, ঝিমুনি এবং ব়্যাশ দেখা দিতে পারে৷ এর কোনো ওষুধ এখনো আবিষ্কার হয়নি৷
-
ভয়াবহ সব মশাবাহিত রোগ
চিকুনগুনিয়া
চিকুনগুনিয়ার প্রভাবে জ্বর কাটিয়ে উঠতে তিন-চার দিন লাগে৷ কিন্তু এর পর হাড়ের জোড়ায় ভয়াবহ ব্যথা কয়েক সপ্তাহ স্থায়ী হতে পারে৷ কোনো কোনো ক্ষেত্রে চামড়ায় ক্ষত দেখা দিতে পারে৷ তবে আশার কথা, একবার চিকুনগুনিয়া হয়ে গেলে দ্বিতীয়বার এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারেই কমে যায়৷
-
ভয়াবহ সব মশাবাহিত রোগ
ম্যালেরিয়া
মশাবাহী রোগের মধ্যে ম্যালেরিয়া সবচেয়ে বেশি পরিচিত৷ অ্যানোফিলিস নামের মশার মাধ্যমে এই রোগ ছড়ায়৷ এই রোগে আক্রান্ত হলে স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি হতে পারে৷ ম্যালেরিয়ার কার্যকর ওষুধ এখনো আবিষ্কার হয়নি৷ তবে আগে থেকে সতর্ক থাকলে এতে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা কমানো যেতে পারে৷