ডয়চে ভেলের ব্লগওয়াচে ‘আইন করে হরতাল নিষিদ্ধ করা হোক’ – এই লেখাটি নিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে৷ ফেসবুকে অনেকেই নানা মন্তব্য করেছেন৷
বাংলাদেশে এখনো চলছে বিরোধী দলের অবরোধ কর্মসূচি৷ বরাবরের মতো এই কর্মসূচি পালনের সময়েও গাড়ি-বাড়ি পোড়ানো এবং হতাহতের ঘটনা ঘটেছে৷ তাই হরতাল নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে ফেসবুকে সোহেল রানা লিখেছেন গাড়ি পোড়ানো, মানুষ হত্যা ও সম্পদ ধ্বংস করা, এগুলো আইনবিরোধী কাজ৷ এগুলো কি বন্ধ আছে? সুতরাং আইন করে এগুলো ঠেকানো যাবে না৷
রফিকুল ইসলাম লিখেছেন, হরতাল নয় হরতালের নামে জ্বালাও পোড়াও, নৈরাজ্য ও সন্ত্রাসী তাণ্ডব বন্ধ করা দরকার৷ এর জন্য আইন করা দরকার৷ যে বা যারাই হরতাল ডাকবে তাদের হরতাল কর্মসূচির আওতায় পড়ে যদি কোনো সাধারণ নাগরিকের জানমালের ক্ষতি হয় তার দায়ভার হরতাল আহ্বানকারীদের নিতে হবে এবং বিচারের সম্মুখীন হতে হবে৷
তিনি আরো লিখেছেন, প্রতিটি রাজনৈতিক দলের হরতাল ডাকার যেমন গণতান্ত্রিক অধিকার আছে, ঠিক তেমনি সাধারণ জনগণের হরতাল না মানারও গণতান্ত্রিক অধিকার আছে৷ কিন্তু আমাদের দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল যখনই হরতাল ডাকেন তখনই তাঁরা রাজপথে সাধারণ নাগরিকের জানমালের উপর হামলে পড়ে ত্রাস সৃষ্টি করেন৷ এটি দুঃখজনক ও অগণতান্ত্রিক৷
সুখময় মাঝি লিখেছেন, হরতালের বিরুদ্ধে প্রবল জনমত তৈরি না হলে হরতাল নিষিদ্ধ করা অসম্ভব৷
জসীম উদ্দীন রাজু লিখেছেন, হরতাল নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে একমত নন তিনি৷ তাঁর মতে, বিরোধী দলের ক্ষমতায় যাওয়ার পথ সংকুচিত হলে নয়, বরং ক্ষমতাসীন দল ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার পায়তারা করলে তা রুখতে হরতাল দেয়া হয়৷
শামসুল হক লিখেছেন, এ ছাড়া তাদের আর কোনো পথ থাকে না৷ এটাই পূর্বে আমরা দেখেছি, ক্ষমতায় থাকতে সবাই বলে হরতাল ঠিক না৷ কিন্তু বিরোধী দলে গিয়ে ঠিকই হরতাল করেন৷ আমরা আবার তাদেরই নির্বাচিত করি, বিকল্প কিছু পাই না বলে৷
সংকলন: অমৃতা পারভেজ
সম্পাদনা: জাহিদুল হক