‘আ. লীগ ভুলে গেছে ভারত বিশ্বকে শাসন করছে না’ | পাঠক ভাবনা | DW | 24.12.2013
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

পাঠক ভাবনা

‘আ. লীগ ভুলে গেছে ভারত বিশ্বকে শাসন করছে না’

সোমবার ডয়চে ভেলে বাংলার ফেসবুক পাতায় ঢাকা প্রতিনিধির পাঠানো প্রতিবেদন শেয়ারের সময় বিভিন্ন দেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষক না পাঠানোর সিদ্ধান্ত সংক্রান্ত একটি প্রশ্ন করা হয়েছিল৷ বেশ কয়েকজন পাঠক তার উত্তর দিয়েছেন৷

প্রশ্নটা ছিল এরকম, ‘‘অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ মনে করেন, নির্বাচনের সময় পর্যবেক্ষক না পাঠানোর সিদ্ধান্ত জানিয়ে বিভিন্ন দেশ এবং সংস্থা মূলত বাংলাদেশকে সংকেত দিচ্ছে৷ সেটা হচ্ছে, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন পরবর্তী সরকারকে তারা সহযোগিতা না-ও করতে পারে৷ আপনারও কি তাই মনে হয়?''

উত্তরে বেশিরভাগ পাঠককেই অধ্যাপক ইমতিয়াজের সঙ্গে একমত হতে দেখা গেছে৷ রাজীব রায়হান লিখেছেন, ‘‘হ্যাঁ আমি তাই মনে করি...৷'' আহমেদ মোতায়েদ বলেছেন, ‘‘হ্যাঁ, এটা সত্য...৷ আমি বলতে চাই আওয়ামী লীগ মনে করে শুধু ভারত তাদের সঙ্গে থাকলেই তারা যা খুশি করতে পারবে৷ কিন্তু আওয়ামী লীগ ভুলে গেছে ভারত বিশ্বকে শাসন করছে না... ভারতের ওপরেও কেউ আছে যারা কাজটা করছে৷''

মুহাম্মদ মুরশেদুল হকের বক্তব্য, ‘‘সহযোগিতা করার জন্য একটি গ্রাউন্ড লাগে তাও তো আমরা ধ্বংস করতে চলেছি৷ গ্লোবালাইজেশনের যুগে আমাদের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো কতটুকু স্বাধীন থাকতে পারে তা আর কেউ না বুঝলেও শাসকরা অন্তত বুঝেন৷ এরপরও যদি না বুঝার ভান করেন তা হলে কার কী করার থাকে?''

এমএইচ মামুন রশিদের প্রশ্ন, ‘‘ওরা এসে কি করবে? একতরফা ভোট হবে আর যা-ই হোক নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ হবে ১০০ ভাগ নিশ্চিত৷'' জাহাঙ্গীর আলম বাবলুর কথা, ‘‘ওদের স্বার্থে ওরা সহযোগিতা করবে৷ কিন্তু স্বার্থ বা সুবিধা বেশি আদায় করে নিবে৷''

তবে পাঠক বন্ধু মাইক শাকিল আর তমাল আজাদ প্রিন্স সরাসরি বলে দিয়েছেন, ‘না'৷ অর্থাৎ তাঁরা অধ্যাপক ইমতিয়াজের বক্তব্যের সঙ্গে একমত নন৷ কামাল আহমেদও সেই দলে৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘কষ্ট বাড়বে৷ দেশ থাকবে, আমরাও থাকবো৷ একাত্তরে অনেক দেশের বিরোধিতা সত্ত্বেও মুক্তিযুদ্ধে জিতেছি৷ এবার না হয় তারা সহযোগিতা করবে না৷''

এদিকে নুরুল আলম অনিক বিভিন্ন দেশের পর্যবেক্ষক না পাঠানোর সিদ্ধান্তকে ভুল মনে করছেন৷ তাঁর বক্তব্য, ‘‘মনে হচ্ছে, পশ্চিমা বিশ্ব তালেবানকে মদদ দিচ্ছে (স্পন্সরিং তালেবানিজম)৷''

সংকলন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: আশীষ চক্রবর্ত্তী

নির্বাচিত প্রতিবেদন