আত্মহত্যা ও সামাজিক ব্যাধি নিয়ে পাঠকদের কথা | পাঠক ভাবনা | DW | 05.02.2019
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

পাঠক ভাবনা

আত্মহত্যা ও সামাজিক ব্যাধি নিয়ে পাঠকদের কথা

‘‘আকাশ-মিতুর ভালোবাসাকে সামাজিক অসুস্থতা বললে কি অস্বীকার করার উপায় আছে?'' ডয়চে ভেলেতে প্রকাশিত ব্লগে লেখকের এই প্রশ্ন নিয়ে  ফেসবুক পাতায়  উঠে এসেছে পাঠকদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া ৷

যেমন আরমান আহমেদ লিখেছেন,  ‘‘লিখতে হবে তাই কি লিখা, লেখকের ভাতের সাথে নুডলস মেখে খাওয়ার চেষ্টা৷ লেখক নিজেকে ভিক্টিমের জায়গায় কল্পনাই করতে পারেননি৷একজন নারী ধর্ষিত হলে আত্যহত্যা করে৷কেন করে ? সম্মানবোধ চলে যাওয়াতে করে৷ দেনমোহর পরিশোধ করে তালাক দিলেই সমাধান হতো ? যৌতুক আর নারী নির্যাতনের মিথ্যা মামলায় জামিনবিহীন জেলে কে থাকতো ? সারা জীবন সম্মানহীন হয়ে না থেকে মৃত্যুর পথ বেছে নিয়েছে৷ তবে লেখক কাছাকাছি গিয়েছেন, কেউ মানসিকভাবে অত্যাচার করে, কেউবা শারীরিকভাবে অত্যাচার করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়, উভয়ই অপরাধী৷''

তবে মোহাম্মদ দিদারুল আলম মনে করেন, কাবিননামা এক লক্ষ থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ লক্ষ টাকা রাখার রাষ্ট্রীয় বিধি জারি করা এখন সময়ের দাবি৷  কারণ, কাবিনে অতিরিক্ত টাকার অঙ্ক দাম্পত্যজীবনকে জিম্মি করে রাখছে৷ এটি অনেক মেয়ে, তথা কন্যাপক্ষ ব্যবসা হিসেবে নিয়েছে৷''

ডয়চে ভেলের পাঠক মো.নাসির উদ্দীন কিন্তু লেখকের সাথে একমত৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘আমি সহমত আপনার সাথে৷ মেয়ের এত বাজে ছবি পোস্ট করেছিল ছেলেটি, তাহলে সে কেমন মানুষ? এরপরও নিজের বউকে ঘৃণা করতে পারলো না– এটা কি শুধু ভালোবাসা, নাকি মানষিক রোগ? আর মেয়েটাও তো একটা নষ্ট নারী, জাতির কলঙ্ক৷''

তবে মওদুদ আহমেদ কিন্তু একটু  ভিন্নভাবে বিষয়টির আইনি ব্যাখ্যা দিয়েছেন৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘বাস্তবতা ভিন্ন, তালাক দেওয়ার পর নারী, শিশু আইনে জামিন অযোগ্য মামলা হয়, ফলে পুরুষকে জেলে যেতে হয়৷ যৌতুকের মামলা হয়, যা জামিন অযোগ্য৷তাই বাধ্য হয়ে আপোশ করে ‘অসতী' স্ত্রীর সাথেই ঘর করতে হয়৷ তা নাহলে আনলিমিটেড জেল খাটো৷ পুরুষরা কত অসহায়৷ প্রাথমিক তদন্তের আগেই জেল খাটানো বন্ধ করা উচিত৷তদন্তে আসামীপক্ষের বক্তব্য রেকর্ড করে আমলে নেওয়ার নির্দেশনা থাকা উচিত৷ আইনগুলো রিভিউ করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীকে অনুরোধ করছি৷তালাকের পর নারী নির্যাতন আইনে, যৌতুক আইনে করা কোনো মামলা আমলে না নেওয়ার বিধান আইনগুলিতে যুক্ত করলেই সমাধান সম্ভব৷''

এদিকে পাঠক মামুন আবদুল্লাহও কিন্তু  লেখকের সাথে পুরোপুরি একমত৷ আর পাঠক নকসি মামুনও  আত্নহত্যাকে একটি সামাজিক রোগ মনে করেন৷

‘‘সমাজে যে আত্মহত্যার মহামারি শুরু হয়েছে সেটা মানুষের আবেগজনিত সমস্যা৷ সমাজের মানুষের অতি যান্ত্রিক অবস্থাই এর জন্য দায়ী৷ এর জন্য প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানে মনোবিজ্ঞানী ও সমাজকর্মী নিয়োগ করা উচিত৷ এর উপর গুরুত্ব দিয়ে মিডিয়ারও সংবাদ প্রচার করা উচিৎ,'' লিখেছেন ডয়চে ভেলের পাঠক মেহেদি চৌধুরী৷

সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার

সম্পাদনা: আশীষ চক্রবর্ত্তী

নির্বাচিত প্রতিবেদন