‘লোকাল হিরো' সম্পর্কিত কয়েকটি ই-মেল আমরা পেয়েছি৷ আর তা থেকে একটি ভুল বোঝাবুঝি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে৷ আমাদের আহ্বান ছিল, ‘আপনার চেনা লোকাল হিরোর গল্প বলুন ও পুরস্কার জিতুন'৷ এর অর্থ কিন্তু আপনার ব্যক্তিগত গল্প নয়!
‘লোকাল হিরো' নিয়ে বন্ধু তিতাস সরকারের ই-মেলটি আমরা পেয়েছি৷ তাঁকে আন্তরিক ধন্যবাদ৷ কিন্তু সেই ই-মেলে তিনি নিজেকেই ‘লোকাল হিরো' হিসেবে তুলে ধরেছেন৷ আমরা কিন্তু নিজস্ব, ব্যক্তিগত গল্প লিখে পাঠানোর কথা বলিনি৷ বলতে চেয়েছি, আপনার আশেপাশের মানুষদের মধ্যে যাঁরা সমাজ পরিবর্তনে কাজ করছেন, অবদান রাখছেন, তাঁদের কথা আমাদের জানাতে এবং জিতে নিন স্মার্টফোন সহ অন্যান্য পুরস্কার৷
‘সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে মোরা পরের তরে'
আপনি নিজে সমাজ পরিবর্তনের জন্য ভালো কিছু করে থাকলে সেটাও আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ৷ কিন্তু আপনার সেই গল্প আপনি নয়, অন্য কেউ লিখবেন, তাই নয় কি? আর আপনি জানাবেন আপনার চেনা বিস্ময়কর কোনো প্রকল্প বা ব্যক্তির গল্প৷
তাই আপনার কাছে আমাদের বিশেষ অনুরোধ, আমাদের ওয়েবসাইটে ‘লোকাল হিরো' বিষয়ক প্রতিবেদনটি একটু মনোযোগ দিয়ে পড়ুন, তাহলেই আপনার কাছে পুরো ব্যাপারটা পরিষ্কার হয়ে যাবে৷ লিংকটি আবার দেখে নিন৷
প্রিয় পাঠক, ‘লোকাল হিরো' সম্পর্কিত প্রতিযোগিতায় আমরা কিছু ব্যক্তিগত ই-মেল পেলেও, এখনও পর্যন্ত কোনো সুচিন্তিত ‘হিরোর' কথা পাইনি৷ পাইনি তেমন কোনো সাড়া জাগানো প্রকল্পের সন্ধান৷ তাই বন্ধুরা, একটু ভেবে দেখুন, আপনার আশেপাশে, গ্রামে, শহরে অথবা আপনার বাড়িতেই হয়ত কেউ রয়েছেন যিনি সমাজের উন্নতির জন্য এমন কিছু করেছেন, যা অনেকেরই অজানা৷ যেমন করছেন বাংলাদেশের তথ্যকল্যাণীরা, ভারতের বস্তিতে টয়লেট নির্মাণকারী কলাবতী অথবা ইন্দোনেশিয়ার এক ডাক্তার, যিনি কেউ ময়লা জমা দিলে বিনা পয়সায় চিকিৎসা করেন ৷
সমাজ বদলে দিতে পারে – এমন কোনো গল্প কি আপনি জানেন? তাহলে আমাদের জানান৷ আপনার সেই খোঁজ সারা বিশ্বের কাছে পৌছে দেবো আমরা৷
আপনাদের ই-মেলের অপেক্ষায় রইলাম৷ সবাই ভালো থাকবেন আর ডিডাব্লিউ-র সঙ্গে থাকবেন৷ অনেক শুভেচ্ছা রইলো আপনাদের সকলের জন্য৷
ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগ