‘‘সম্প্রতি আমার লেখা পাঠক ভাবনায় ছাপা হচ্ছে না৷ তাতে আমার মন খারাপ নেই৷ কারণ আমি ডয়চে ভেলের একজন ক্ষুদ্র পাঠক৷ তাছাড়া সব পাঠকের লেখাকেই তো ডয়চে ভেলেকে গুরুত্ব দিতে হবে৷.''
‘‘আমিই তো আর একা ডয়চে ভেলের পাঠক নই৷ আপনাদের অসংখ্য পাঠক রয়েছে৷ সব পাঠককেই আপনাদের সমান চোখে দেখতে হবে৷ এটাই আমি মনে করি৷ আর এ জন্য আপনাদের আমার ভীষণ ভালো লাগে৷ আমি চাই আপনারা নতুন পাঠকদের লেখা পেলেই ‘পাঠক ভাবনায়' তা তুলে ধরবেন, যাতে ঐ পাঠক বন্ধু আরো উৎসাহিত হয়৷ আর যেসব পুরনো বন্ধু আপনাদের লেখেই না, তাঁদের প্রতি আমার অনুরোধ –আপনারা কিন্তু অনেক কিছু মিস করছেন৷ কাজেই লেখা শুরু করুন৷ অন্তত মাসে একটি ই-মেল করুন, ভালো লাগবে৷''
এভাবেই লিখেছেন আমাদের নিয়মিত পাঠক ও লেখক এমএ বারিক, ভাটরা, সিহালী, শিবগঞ্জ, বগুড়া থেকে৷ তিনি আরো লিখেছেন, ‘‘বাইরে বিদ্যুৎ চমকালে টিভি, ফ্রিজের প্লাগ খুলে রাখুন৷ নিরাপদ থাকবেন৷ এ রকম আরো টিপস দিয়ে ভরা ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনগুলি তার প্রিয় পাঠককে সচেতন করে৷ হ্যাঁ, বাইরে বিদ্যুৎ চমকালে ঘটতে পারে বড় ধরনের কোনো দূর্ঘটনা, যা আমাদের মৃত্যুরও কারণ হতে পারে৷ তাই এমন প্রতিবেদনের জন্য ডিডাব্লিউকে ধন্যবাদ জানাই৷
তবে গত দু'দিন ডয়চে ভেলের ওয়েবসাইটে কোনো ভালো প্রতিবেদন দেখা যায়নি৷ এই দুই দিন তুলনামূলকভাবে কম প্রতিবেদন পোস্ট করা হয়েছে বলে আমি মনে করি৷ জানি না এমন কেন ঘটলো৷ ডয়চে ভেলেকে সবার কাছে পৌঁছে দিতে আমি আপনাদের পেজটি শেয়ার করেছি৷ বেশ কয়েকদিন হয়ে গেল ডয়চে ভেলের পাঠক ভাবনা ‘আপডেট' হচ্ছে না৷ পাঠকদের নতুন কোনো লেখা নেই৷ যদিও আমি কয়েকটি ই-মেল পাঠিয়েছি৷ বিষয়টা লক্ষ্য করবেন আশা করি৷''
পরের ই-মেলটি পাঠিয়েছেন পুরনো বন্ধু ডা. অসিত কুমার দাশ মিন্টু চট্রগ্রাম থেকে৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘গাজা সমস্যা সমাধানে কেউ তেমন কোনো উদোগ নিচ্ছে না, যা দুঃখের বিষয়৷'' এছাড়া ডা. অসিতের অভিযোগ তাঁর ই-মেল নাকি আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয় না৷ কেন করা হয় না সেটাই তিনি জানতে চেয়েছেন আমাদের কাছে৷
- ভাই মিন্টু, আপনার এই ই-মেলটি দু'দিন আগেই আমরা পেয়েছি৷ আজকাল আপনি খুবই কম লিখছেন, আমাদের মনে পড়ছে না শেষ কবে লিখেছিলেন৷ একেবারে ছোট ই-মেলগুলো যে কখনও কখনও বাদ পড়ে যায় না, তা নয়৷ গত কিছুদিন থেকে আপনারা অবশ্যই লক্ষ্য করে থাকবেন যে সোমবার থেকে শুক্রবার প্রতিদিনই ‘পাঠক ভাবনা'-র পাতাতে অনেক বন্ধুদের পাঠানো মতামতই উঠে এসেছে৷ পাঠক বন্ধুদের জন্যই আমাদের এই পাতাটি৷ তাই এটা চালু রাখতে হলে চাই আপনাদের পাঠানো ই-মেল৷
- আর পাঠক বারিককে বলছি, আপনি যেমন নিয়মিত মতামত জানাচ্ছেন তেমন আপনার মতামত নিয়মিতই আমাদের ওয়েবসাইটে তুলে ধরা হচ্ছে৷ তবে দু-একদিন তো বাদ যেতেই পারে৷ ধন্যবাদ আপনাদের দু'জনকে৷ শুভেচ্ছা রইলো সবার জন্য৷ অন্যরাও লিখবেন কিন্তু!
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ