আমিও কি একটি ‘আইপড’ পেতে পারি? | পাঠক ভাবনা | DW | 24.08.2012
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

পাঠক ভাবনা

আমিও কি একটি ‘আইপড’ পেতে পারি?

‘আইপড সম্পর্কে জানতে চাই এবং আইপডের একটি ছবিও দেখতে চাই’ - এই আবদার করেন রাসেল শিকদার৷

আইপড সম্পর্কে ইনবক্স-এ জেনে রাসেল খুব খুশি৷ তবে ওয়েবসাইটে ছবি দেখতে না পেয়ে মন খারাপ করেছেন৷

আশা করবো এবার বন্ধু রাসেলের মন ভালো হয়ে যাবে এবং তিনি নিয়মিত অনুষ্ঠান এবং ওয়েবসাইট সম্পর্কে মতামত জানাবেন৷

ভয়েস অফ জার্মানি লিসনার্স ক্লাব, জলিরপাড়, গোপালগঞ্জ থেকে শ্রোতাবন্ধু কানন রানী টিকাদার লিখেছেন, দুই নারী মুক্তিযোদ্ধা, আলো রানি এবং মধুমিতার কথা ডয়চে ভেলে থেকে পাঠানো নিউজলেটারে পড়ে খুব ভালো লাগলো৷ আরো লিখেছেন, মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলির কথা আপনার কিছুটা মনে আছে৷ নারী মুক্তিযোদ্ধাদের কথা তুলে ধরার জন্য ডয়চে ভেলেকে ধন্যবাদ দিয়েছেন বোন কানন রানী৷

ঢাকার ডয়চে ভেলে ফ্যান ক্লাব থেকে শ্রোতাবন্ধু মাহবুবুর রহমান এবং আহসান উল্লাহ লিখেছেন, বার্লিন ওয়াল এবং গ্লোবাল ভয়েস অনলাইন নিয়ে পরিবেশনাটি খুব ভালো লেগেছে৷

ডিএম ইন্টারন্যাশনাল ক্লাব, গ্রীনরোড ডাকা থেকে ডাকে পাঠানো চিঠিতে শ্রোতাবন্ধু ডাব্লু আনোয়ার বিভিন্ন পরিবেশনা সম্পর্কে মতামত জানিয়েছেন৷ আরো লিখেছেন, অনুষ্ঠানে শুনি কেউ বলেন চিঠির উত্তর পাননা৷ কেউবা পুরস্কার পাননা, এধরণের নানা অভিযোগ৷ প্রতিদেনের অনুষ্ঠানেই ২-৩ জন শ্রোতাবন্ধু চিঠির উত্তর দেওয়া হচ্ছে, সেকথা কি সব শ্রোতারা জানেন? অনুষ্ঠান নিয়মিত না শুনলে তো এ ধরণের কথা আসতেই পারে৷ শ্রোতাবন্ধুদের ভালোভাবে জানিয়ে দিন সেকথা৷

- শ্রোতাবন্ধুরা আগে বহুবারই অনুরোধ করেছেন যে সপ্তাহে শুধু একদিন লম্বা ইনবক্স নয়, প্রতিদিনই ছোট আকারে হলেও বন্ধুদের মতামত দেওয়া হোক৷ তাদের অনুরোধেই এখন প্রতিদিন চিঠিপত্রের উত্তর দেওয়া হচ্ছে৷ ক্লাবের বন্ধুদের আমরা অনুরোধ করবো, আপনারাই ক্লাবের পক্ষ থেকে অন্য বন্ধুদের জানিয়ে দিতে পারেন একথা৷

সৌম্য সরকার, গাইবান্ধা থেকে লিখেছেন, আমি পুরোনো শ্রোতা৷ বিভিন্ন কারণে কিছুদিন অনিয়মিত হয়ে পরেছিলাম৷ কিন্তু এফএম'এ সম্প্রচার শুরুর পর থেকে আবার নিয়মিত হয়েছি৷ এবং সম্প্রতি কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে একটি সুন্দর রেডিও পুরস্কারও পেয়েছি৷ সৌম্য সরকার আরো লিখেছেন, বতর্মানে ইন্টারনেট'এর ব্যবহার বাংলাদেশে অনেক বেড়েছে৷ সে কারণে যদি মোবাইলের উপযোগী জাভা সমথির্ত অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করা হয়, তাহলে বাংলা ভাষাভাষীরা পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে বসেই ডিডাব্লিউ'র বাংলা অনুষ্ঠান শুনতে পারবেন৷ অনু্গ্রহ করে বিষয়টি ভেবে দেখবেন৷

- এর উত্তর পেতে অনুগ্রহ করে আমাদের শনিবারের ইনবক্স'টি শুনুন৷

দক্ষিণ দিনাজপুরের নিয়মিত বন্ধু রতন কুমার পালের৷ তিনি জানিয়েছেন, ইন্টারনেটে অনুষ্ঠান শুনছেন এবং ওয়েবসাইটে তথ্যবহুল সব আপডেট খবরাখবর পাচ্ছেন৷

বাগের হাট থেকে শ্রোতাবন্ধু তানভিরুল ইসলাম, যে মাসের ধাঁধা সে মাসেই তার ফলাফল অর্থাৎ বিজয়ীর নাম প্রচার করার অনুরোধ করেছেন তিনি৷

- এটা কি করে সম্ভব? কারণ ধাঁধায় অংশগ্রহণকারীরা যে শুধু ই-মেল এবং এসএমএস'এ ধাঁধার উত্তর পাঠিয়ে থাকেন, তা কিন্তু নয়৷ ডাকেও প্রচুর উত্তরপত্র আসে৷ আর সেকথা ভেবে আমাদের অপেক্ষা করতেই হয়৷

এই ই-মেলটি পাঠিয়েছেন বাহাদুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মধুপুর বাজার, যশোর থেকে জাহাঙ্গীর আলম৷ লিখেছেন, ডিডাব্লিউ'র ওয়েবসাইটে ‘বিষ দিয়ে নিরাময়' নামের প্রতিবেদনটা পড়লাম৷ চমৎকার৷ বিশেষ করে ছবিগুলো খুবই আকর্ষণীয় হয়েছে৷

জাপানের সিজুওকা থেকে ওয়েবসাইট ভিজিটার নজরুল ইসলাম ‘প্রবালদ্বীপ-সেন্টমার্টিন রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি' প্রতিবেদনটি ভালো লেগেছে বলে জানিয়েছেন৷

জার্মান তরুণ শ্যামল সংঘ, সিলেট থেকে দুই বোন প্রিয় পাল মৌমিতা এবং গৌরি পাল লিখেছেন, ডয়চে ভেলে থেকে প্রচারিত বাংলাদেশের খবরসহ বিশ্বের নানা প্রান্তের খবরাখবর পেয়ে খুবই খুশি তাঁরা৷ ডাকে পাঠানো চিঠিপত্র অনুষ্ঠানে তেমন নেওয়া হচ্ছেনা বলে একটু অভিযোগও অবশ্য রয়েছে চিঠিতে৷

গত বছর জুলাই মাসের ২২ তারিখে বোমা হামলা ও এলোপাথাড়ি গুলি করে ৭৭ জনকে খুন করার প্রায় ১৩ মাস পর বিচার হলো আন্ডার্স বেরিং ব্রাইভিকের৷ রায়ে তাকে ২১ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে৷ নরওয়েতে এটাই সর্বোচ্চ সাজা৷ এ সম্পর্কে লেখা প্রতিবেদন পড়ে ফেসবুকে মন্তব্য করেছেন শেখ আবদুল রশীদ৷ লিখেছেন, সবসময় বিভিন্ন মিডিয়াতে বলা হয়ে থাকে ইসলামি জঙ্গি হামলা করেছে, কিন্তু এতে কোনো সংগঠনের নাম নেই৷ তার লক্ষ্য ইসলাম সংস্কৃতিকে নষ্ট করা৷

ব্রাইভিককে নিয়ে একটি ছবি ঘরও করা হয়েছে৷ সেটা ফেসবুকের পাতায় পছন্দ করেছেন শাহ সাজেদুর রহমান শাকিল এবং কাঞ্চন কুমার চ্যাটার্জি৷

‘মেইড ইন জার্মানি' কথাটা ১৮৮৭ সালে ২৩শে আগস্ট ব্রিটিশরা জার্মানির বাজার নষ্ট করার জন্য কৌশলে ব্যবহার করেছিল৷ এই ঐতিহাসিক তথ্যটা ডয়চে ভেলের মাধ্যমে জেনে খুব ভালো লাগলো৷ তাই ডয়চে ভেলেকে ধন্যবাদ দিয়েছেন শ্রোতাবন্ধু সাইফুল ইসলাম থান্দার, পুরান তাহিরপুর, রাজশাহী থেকে ৷

হাট সিমলা, বর্ধমান থেকে শ্রোতাবন্ধু প্রদীপ বসাক লিখেছেন, ‘ওসুধ শিল্পকে এগিয়ে নিতে সরকারকে আরো কঠোর হতে হবে' - এই চমৎকার প্রতিবেদন ওয়েবসাইটের পাতায় পড়ে অনেক তথ্য জানলাম৷ যতগুলি ভণ্ড কোম্পানি আছে সেগুলোর লাইসেন্স বাতিল করতে হবে৷ জীবন রক্ষার জন্য যে ওসুধ তা যদি মানুষের প্রাণহানি ঘটায়, তাহলে মানুষ কোথায় যাবে?

- প্রিয় বন্ধুদের সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ নিয়মিত মতামত জানিয়ে আমাদের সহযোগিতা করার জন্য৷

সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ