‘উৎসবকে খারাপ না বলে অপকর্ম থেকে দূরে থাকুন' | পাঠক ভাবনা | DW | 13.04.2016
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

পাঠক ভাবনা

‘উৎসবকে খারাপ না বলে অপকর্ম থেকে দূরে থাকুন'

বাংলাদেশের চরমোনাই-এর পীর বলেছেন, ‘‘পহেলা বৈশাখের নামে ভারতীয় হিন্দুয়ানি সংস্কৃতির আগ্রাসন শুরু হয়েছে বাংলাদেশে৷'' ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় পহেলা বৈশাখ সম্পর্কে অনেক পাঠকই এর পক্ষে-বিপক্ষে মত দিয়েছেন৷

ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহম্মদ আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরি ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘পহেলা বৈশাখ হিন্দুদের সংস্কৃতি, মুসলামানদের নয়৷ এই দেশের ইসলাম ধর্মের অনুসারীরা পহেলা বৈশাখের নামে কোনো বেলেল্লাপনা ও বেহায়াপনা মেনে নেবে না৷''

এর উত্তরে সাংবাদিক আবেদ খান বলেন, ‘‘এখনো এ দেশের কিছু মানুষ এবং কিছু গোষ্ঠীর মাথায় পাকিস্তানি ভূত রয়েছে৷ কিন্তু বাস্তবে এই ভূতের কোনো অস্তিত্ব নেই৷ তাই এ সব ভূত টিকতে পারবে না৷''

এ বিষয়ে পাঠক এয়ার মাহমুদ ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় লিখেছেন, ‘‘দেখুন, অভিন্ন সংস্কৃতি বলতে কিছু নেই৷ হিন্দু সম্প্রদায় নিজেদের মতো রথযাত্রা, মঙ্গল শোভাযাত্রা আরও কত কী আয়োজন করে!! বৈশাখে তারা ভিন্নভাবে এ সব আয়োজন করে৷ এতে কেউ দোষ দেখছে না৷ কিন্তু বিষয়টি তাদের ধর্মীয় বিষয়েরই মতো৷ তাই আসুন বর্জন করি৷''

তবে পহেলা বৈশাখের উৎসব সম্পর্কে পাঠক হাফিজুর রহমান মনে করেন, যে যা ভালো মনে করেন, তার তাই-ই করা উচিত৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘আমার লাল-সাদা রঙে কোনো অ্যালার্জি নাই৷ কেউ যদি বলে লাল রং মানে সিঁদুর আর সাদা রং মানে শাখা, তাহলে আমি বলবো লাল রং মানে রক্ত আর সাদা মানে কাফন৷ তবে আপনি যদি আমাকে বলেন, ভোরবেলা যখন সূর্য উঠবো উঠবো করছে তখন রমনার বটমুলে বাদ্যযন্ত্র নিয়ে বসে যেতে আর সবাই মিলে ‘এসো হে বৈশাখ' করতে, তাহলে আমার সমস্যা আছে৷ কারণ তখন আমার ফজরের ওয়াক্ত৷ তখন আমার সোজা হয়ে দাঁড়ানোর সময়, সৃষ্টিকর্তার সাথে কথা বলার সময়৷ আপনার যদি সৃষ্টিকর্তার সাথে কথা বলার ইচ্ছা না থাকে আপনি যেতে পারেন৷ আমি শুধু মনে করিয়ে দিতে পারি৷''

পহেলা বৈশাখ উদযাপন সম্পর্কে ডয়চে ভেলের পাঠক মো. সালাউদ্দিন তাঁর মত প্রকাশ করেছেন এভাবে৷ ‘‘আপনি যদি ধর্ম (ইসলাম) বিশ্বাস করেন তাহলে ইসলামের ব্যাখ্যাই মেনে নিতে হবে৷ আর যদি ইসলামে বিশ্বাস না করেন তাহলে অন্য ব্যাখ্যা দাঁড় করাতে পারেন৷''

পাঠক বেলাল বেপারি অবশ্য মনে করেন পহেলা বৈশাক হিন্দু ধর্মের উৎসব৷ আর শওকত আলি বলছেন, ‘‘হিন্দু মূর্তি পূজা বৈশাখী উৎসব বলে কৌশলে বাঙালি মুসলিমদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে৷''

অন্যদিকে ‘‘বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিনটিতে ঘটা করে পান্তা ইলিশ খেয়ে গরিব-দুঃখিদের হাতে কিছু টাকা তুলে দিলে ওরা সুন্দরভাবে বেচেঁ থাকতে পারবে৷'' ফেসবুক বন্ধুদের এই এই অনুরোধ করেছেন রাজু আহমেদ৷

ধীরে ধীরে বৈশাখী উৎসবের চেহারায় পরিবর্তন এসেছে আর সেকথাই মনে করিয়ে দিয়েছেন মোহাম্মদ ফজলে রাব্বি৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘যুগ যুগ ধরে হাল খাতা আর মেলা ছিল৷ বাকি সব ১৯৯৬ সালের পরে যোগ হয়েছে৷''

‘‘বৈশাখী উৎসবকে খারাপ না বলে নিজে অপকর্ম থেকে দূরে থাকুন৷'' সকল ধর্মের মানুষ আনন্দ করতে পারে এমন যে কোনো উৎসবই সমর্থনযোগ্য বলে মনে করেন ডয়চে ভেলের ফেসবুক বন্ধু ফরহাদ হোসেন বাকের৷

সংকলন: নুরুন নাহার সাত্তার

সম্পদনা: দেবারতি গুহ

নির্বাচিত প্রতিবেদন