কুরবানির গরু নিয়ে কত কথা | পাঠক ভাবনা | DW | 28.09.2015
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

পাঠক ভাবনা

কুরবানির গরু নিয়ে কত কথা

ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বিএসএফ সদস্যদের বাংলাদেশে গরু পাচার বন্ধ করতে বলায় গরু আসা প্রায় বন্ধও হয়েছিল৷ কিন্তু ঈদে শেষ পর্যন্ত ভারতীয় গরু এসেছে ৷ আর তা নিয়েই আমাদের ফেসবুকে পাঠকরা নানা মন্তব্য ও কটাক্ষ করেছেন৷

গরু আসা বন্ধ হলেও শেষ পর্যন্ত ঈদে আবার কুরবানির (বানানভেদে কোরবানি) গরু এসেছে৷ তাই মাহবুবুর রহমান মাসুম লিখেছেন, ‘‘বিজেপির পাকনা পাকনা কথার দাম কি রইল?''

মাসরুর আহমেদের মন্তব্য, ‘‘অর্থের কাছে কি মাতাকে বিক্রি করে দিলে, এ লজ্জা রাখবে কোথায় ভারত?''

মির্জা এন হোসের কটাক্ষ মন্তব্য, ‘‘গরু হচ্ছে গড মাদার এবং গড ফাদার, তবে বিক্রির জন্য৷''

নিজের দেশকে স্বনির্ভর করার জন্য মো.ইসমাইল বাংলাদেশিদের ভারতে গরু না কেনার অনুরোধ করে লিখেছেন, ‘‘আমাদের ভারতের গরুর দরকার নেই, ভারত থেকে গরু না আসলে ভালো৷ আমাদের দেশ গরু উৎপাদনে সক্ষম হবে৷ সবাইকে ভারতের গরু এড়িয়ে চলার অনুরোধ করছি, ধন্যবাদ৷''

‘‘ভারত আছে বলে এখনো বাংলাদেশের গরিব-দুঃখীরা কম খরচে কিছু খেতে পারে৷'' বাংলাদেশে প্রতিবেশী দেশের গরু আসা সম্পর্কে লালন খানের এই মন্তব্য৷''

মো. বাপির ভাষায়, ‘‘ভারতীয় হিন্দুরা গরুকে মা বলে, তাই তাঁরা মার গলায় ছুরি দেয়া পছন্দ করে না৷ কিন্তু তাঁরা মাকে বিক্রি করে দিতে পছন্দ করে, এ জন্য আমরা এবারও দেশি গরু দিয়ে কুরবানি দিতে পারলাম না৷''

আবির ওয়াহিদের কথায়, ‘‘গরুগুলো নাকি অসুস্থ, তাই বাংলাদেশে পাচার হচ্ছে৷ আর সে কারণেই বিএসএফ কিছু বলছে না৷ তবে বাংলাদেশে ভালো গরু আনার সময় তাদের বন্দুক ব্যবহার হয়৷

সাফায়েত মান্নানও আবির ওয়াহিদের সাথে একমত৷ তবে পুরোপুরি ভিন্ন মত ডয়চে ভেলের ফেসবুক বন্ধু সুমন নিনদের৷ গরু কোন দেশ থেকে আসে, কিভাবে আসে আর কেনই বা আসে তা তাঁর কাছে কোনো বিষয় নয়৷ তবে তিনি মনে করেন, অনেকের কাছে কোরবানি বা যাকাত দেওয়াটা লোক দেখানো৷ এ ব্যাপারে তিনি তাঁর ব্যক্তিগত মতামত জানিয়েছেন এভাবে, ‘‘খুব সম্ভবত বাংলাদেশ হলো পৃথিবীর একমাত্র দেশ যেখানে যাকাতের শাড়ি হলো একটি ব্র্যান্ড৷ যাকাতের শাড়ি মানে কমদামি শাড়ি, যা বড়লোকরা গরিবদের মাঝে যাকাতের মৌসুম এলে বিলি করে থাকে৷ এটি বড়লোকদের কাছে এক ধরনের ফ্যাশন৷ এক ধরনের ইনভেস্টমেন্টও বলতে পারেন৷ কিংবা বিজ্ঞাপন৷ কোরবানির ঈদে লাখ টাকা খরচ করে বড় গরুটা কোরবানি দেয়াও কিন্তু একইভাবে তাদেঁর কাছে ‘ফ্যাশন'৷ যাঁর গরু যত বড় তিনি তত বড় মানুষ৷ ধর্মীয় অনুভূতি ছাপিয়ে সামাজিক মানসম্মান কিংবা বড়লোকির বিজ্ঞাপনই কিন্তু এক্ষেত্রে তাঁদের কাছে মুখ্য৷ যাকাত কিংবা কোরবানির গুরুত্ব কিংবা ধর্মীয় অনুশাসনকে মোটেও আমলে না নিয়ে আমরা আজ এটাকে ফ্যাশন কিংবা জনপ্রিয়তার বিজ্ঞাপনে পরিণত করেছি৷ গরুর সাইজ আজ আমাদের কাছে মহত্ত্বের মাপকাঠি৷''

সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

নির্বাচিত প্রতিবেদন