‘কোচিং ব্যবসায়ীদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে' | পাঠক ভাবনা | DW | 30.01.2013
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

পাঠক ভাবনা

‘কোচিং ব্যবসায়ীদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে'

‘বন্ধ করা যাচ্ছে না শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য' – দারুণ সময়োপযোগী এই প্রতিবেদনটি খুব ভালো লেগেছে৷ বাংলাদেশের এমন কোনো জেলা নেই যেখানে কোচিং ব্যবসা হচ্ছে না৷ এমনকি গ্রামেও চলে গেছে এর রেশ, তবে সেখানে পরিবেশ ভিন্ন৷

অনেক গ্রামে শিক্ষিত বেকার ছেলে-মেয়েরা নিজেদের পড়াশোনার খরচ জোগাতে কোচিং দিয়ে থাকেন৷ কিন্তু শহরের কথা, বিশেষ করে ঢাকা শহরের তো বেহাল অবস্থা৷ পাড়ার মোড়ে মোড়ে একটি করে কোচিং সেন্টার৷

অভিজাত এলাকার কথা বাদই দিলাম৷ ঢাকার সেরা স্কুলের শিক্ষকরাই বেশির ভাগ সময় নামি কোচিংগুলোকে পৃষ্ঠপোষকতা করে থাকেন৷ তাঁদের সরব উপস্থিতি অভিভাবকদেরকে একটু হলেও আশস্ত করে৷ যাঁদের টাকার কোনো অভাব নেই তাঁরা তো ভালো শিক্ষকদের কিনেই নেন নিজের ছেলে বা মেয়ের জন্য৷

আগামী বছর আমার ছেলে মুগ্ধকে স্কুলে দেবার কথা ভাবছি৷ আমি ভেবে পাইনা ওকে কোথায় পড়াবো৷ মাঝে মাঝে ভাবি গ্রামের স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিই৷ যাই হোক, এই শিক্ষক-কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করতে না পারলে সাধারণ মানুষ ছেলে-মেয়েদের নিয়ে বিপদে পড়বে৷ অচিরেই নকলের মতো এই কোচিং ব্যবসাকে বন্ধ করতে হবে৷

কিন্তু সরকারি বিশেষ তাগাদা না থাকলে তা সম্ভব হবে না৷ তবে কথা হলো, সমাজে যাঁরা উচ্চ শ্রেণির লোক তাঁরা তো নিজের সন্তানেদেরকে ভালো শিক্ষকের কোচিং-এ দিয়েই খালাশ৷ এমনকি ঐ সব কোচিং বাণিজ্যের শিক্ষকের পেছনে রাজনৈতিক মদদও থাকে৷ ছোটখাট শাস্তি দিয়ে এর কোনো সুরাহা হবে না৷ তাই এই কাজে জড়িতদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে৷ মো. সোহেল রানা হৃদয়, ফ্রেন্ডস ডি-এক্সিং ক্লাব, ঢাকা সেনানিবাস, ঢাকা৷

বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী এবং ছাত্র শিবিরের মিছিল থেকে পুলিশের ওপর আক্রমণ ও সহিংস ঘটনা এবং এ সংক্রান্ত বিষয়ে নিয়মিত বিস্তারিত রিপোর্ট প্রচারের জন্য ধন্যবাদ দিয়েছেন শ্রোতাবন্ধু ফয়সাল আহমেদ৷

‘সুরের ভূবন' পর্বে একজন বিখ্যাত রক শিল্পী ফিলিপ ডেভিড কলিন্স-এর পরিচয় পেলাম৷ বার্লিনালের আগাম তথ্যও জানলাম৷ নাচনি শিল্পীদের নিয়ে পরিবেশনাটিও ছিল ভালো৷ বিধান চন্দ্র টিকাদার, জলিরপাড়, গোপালগঞ্জ৷

ইউরোজোন এলাকার অর্থনীতির খবরাখবর নিয়ে বিস্তারিত পরিবেশনাগুলো আমাকে

ভীষণ আকর্ষণ করে৷ ভালো লাগলো জেনে যে ইউরো এলাকার আর্থিক সংকট কঠিন

পরিস্থিতি কাটিয়ে আবারো ঘুরে দাঁড়াচ্ছে৷ এটা কেবল মাত্র ইউরোপের পক্ষেই আশার

কথা নয়, ইউরোপের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির স্থিতিশীলতা বিশ্বের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির

ওপর অনেকটা প্রভাব ফেলে৷ এইমাত্র ‘ইউরোপের অর্থনীতিকে ঘিরে ক্ষীণ আশার আলো' বিষয়ের ওপর একটি মূল্যবান এবং পূর্ণাঙ্গ পরিবেশন পড়ে নিলাম৷ প্রতিবেদনটি সামগ্রিকভাবে একটি অসাধারণ পরিবেশনা৷ পাশাপাশি ‘জার্মানিতে রিকশা ভ্রমণ' নিয়ে ১০টি ছবির উপস্থাপনা বেশ উপভোগ করলাম৷

নতুন আঙ্গিকে সাজানো ছবিঘর দেখে ভালো লাগলো৷ প্রতিটি বিভাগের নতুন নতুন

বিষয় নিয়ে সাজানো ছবিঘর খুবই আকর্ষনীয়, বিশেষ করে ‘পরিবর্তনের মুখে সুমেরু'

নিয়ে ১২টি তথ্যভিত্তিক ছবির পরিবেশনাটি অনবদ্য৷

‘ইনবক্স' অনুষ্ঠানে আমার পাঠানো ক্ষুদ্র উপহার পাঠানোর কথা শুনলাম৷ ওয়েবসাইটের

পাতায় সেই উপহারটির ছবি তুলে ধরা হয়েছে দেখেও ভালো লাগলো৷ সুভাষ চক্রবর্তী, নতুন দিল্লি৷

আদ্যশ্রাদ্ধ ৩০শে জানুয়ারি বুধবার, বিরাম ৩১শে জানুয়ারি বৃহস্পতিবার, নিয়মভঙ্গ ০১লা জানুয়ারি শুক্রবার৷ সময় দুপুর ১টা, স্থান বাসভবন কাশিমনগর, পাইকগাছা, খুলনা৷ সময়োচিত নিবেদন মিদং, বিগত ৪ঠা মাঘ ১৪১৯, ১৮ই জানুয়ারি ২০১৩ শুক্রবার রাত ৯.৫২ মিনিটে আমাদের পরমারাধ্যা মাতৃদেবী শ্রীমতি দূর্গা রাণী ঘোষ ইহলোকের মায়ার বন্ধন ছিন্ন করিয়া সাধনোচিত ধামে গমণ করিয়াছেন৷ অতএব মহাত্মন উক্ত পারলৌকিক ক্রিয়া সম্পাদনে আগামী ১৮ই মাঘ ১৪১৯ ও ১লা ফেব্রুয়ারি ২০১৩ শুক্রবার মদীয় বাসভবনে আয়োজিত নিয়মভঙ্গ মধ্যান্যভোজ অনুষ্ঠানে আপনারা সবান্ধবে অংশগ্রহণ পূর্বক আমাদের স্নেহময়ী মাতার পরলোকগত আত্মার চিরশান্তি কামনা করিয়া বাধিত করিবেন৷ পত্রদ্বারা নিমন্ত্রণ জনিত ত্রুটি মার্জনা করিবেন৷ শোকাহত সন্তানেরা, ডা. বিকাশ রঞ্জন ঘোষ, প্রকাশ রঞ্জন ঘোষ ডা. কমল রঞ্জন ঘোষ৷

গতকাল আপনাদের জার্মানিতে ছাত্রছাত্রীরা কিভাবে থাকে সেই বিষয়ে একটি বস্তুনিষ্ঠ প্রতিবেদন শুনলাম৷ আমার জন্য এ ধরনের প্রতিবেদন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কেননা আমি চিন্তা করছি যে আমি জার্মানিতে চলে আসব৷ আমি বাংলাদেশে একটা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছি৷ দু'বছর পার করেছি কিন্তু খুব বেশি কোর্স আমি পাশ করিনি৷ আমার বয়স ২০ চলছে এবং আমি মনস্থির করেছি যে আমি জার্মানিতে একটি ডিগ্রির জন্য চেষ্টা করব৷

খুব কম বাংলাদেশি এটার জন্য চেষ্টা করে শুধুমাত্র জার্মান ভাষা শেখা লাগবে বলে৷ কিন্তু ভাষাগত বিষয়টাকে আমি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছি৷ কেন না, এটা যে শুধুমাত্র পড়াশোনার জন্য কাজে লাগবে তা না বরং জার্মানিতে আমি যদি একজন বহিরাগত হিসেবে সঠিক মূল্যয়ন আশা করি, তবে অবশ্যই আমাদের সেই দেশের ভাষা এবং সংস্কৃতি সম্পর্কে স্বচ্ছ একটি ধারণা নিয়ে আসা উচিত৷ এক্ষেত্রে গ্যোটে ইন্সটিটিউট এবং মডার্ন ল্যাংগুয়েজ ইন্সটিটিউট অফ ঢাকা ইউনিভার্সিটি একমাত্র ভরসা৷ কিছুদিনের মাঝে আমি যে কোনো একটি ইন্সটিউটে ভর্তি হয়ে যাব৷

একটা বিষয় অবশ্য আমার জন্য বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে৷ আর সেটা হলো, বাংলাদেশে থেকে আমি একই সাথে দুটো বিষয়কে সমান গুরূত্ব সহকারে বিবেচনা করতে পারব না৷ এক, বাংলাদেশে প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় পাশ করে সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি প্রত্যাশা করা৷ দুই, দেশের বাইরে পড়ালেখা বা জীবিকার তাগিদে পাড়ি জমানো৷ আমি দ্বিতীয় লক্ষ্যটাকে গুরুত্ব দিচ্ছি বলে কোনোভাবেই ভাষা না শিখে এসে আমি জার্মানির জন্য বোঝা হতে চাই না বা আমি এশিয়ান বলে জনগণের বিরক্তির শিকার হতে চাই না৷ এতে সঠিক মূল্যয়ন নাও হতে পারে৷ সুতরাং ইউরোপের একটি দেশে আসার আগে আমার যা যা করণীয় তা করতে লেগে যাবে আরও প্রায় চার বছর৷

‘স্টুডিয়েনকোলেগ'-এর বিষয়টা নিয়েও আমি চিন্তা করছি৷ অবশ্য ভাষাগত বিষয়টাতে যদি চার বছর পর ইতিবাচক ফলাফল পাই তবে জার্মানিতে বর্তমান নাগরিক জীবনে যে খরচপাতি হয়ে থাকে তা আমি এক বছর পর্যন্ত বহন করতে পারব৷ আর যদি ‘স্টুডিয়েনকোলেগ'-এর বিষয়টা দেশে থাকতেই অতিক্রম করে যেতে পারি, তবে বিষয়টা আরও সহজ হয়ে যাবে বলে আশা করছি৷

দরখাস্ত করার আগে আমি আমার বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও কিছু কোর্স পাশ করে ফেলব৷ যাই হোক, আপনাদের সহযোগিতা কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ প্রতি মাসে একবার করে ছাত্রছাত্রীর বিষয়গুলো নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করুন এবং পরিবেশন করুন৷ অনেক তরুণ আগ্রহী, কিন্তু কেউ এর জন্য পূর্ব প্রস্তুতি নিতে আগ্রহী থাকে না৷ তাই আমি যতটুকু পারি ভাষাগত বিষয়টাকে ঘিরে যে ভীতি, তা যাতে মানুষ কাটিয়ে উঠতে পারি, তার চেষ্টা করব৷ ধন্যবাদ৷ আমি সিলেটের অতুল৷

- মনযোগ দিয়ে অনুষ্ঠান শুনে ও ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্যগুলো পড়ে মতামত জানানোর জন্য বন্ধুদের সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ৷

সংকলন: নুরুননহার সাত্তার

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ