বাচ্চু মিয়া অন্য কেউ না, আমাদেরই একজন প্রতিনিধি৷ খেটে খাওয়া মানুষ৷ প্রতিবেদনটি খুব খুব খুব ভালো লেগেছে৷ এ ধরণের আরো প্রতিবেদন ডয়চে ভেলে শুনতে চান এ কথা সোহেল রানা হৃদয় তাঁর ই-মেলে জানিয়েছেন৷
অনেকদিন পর খেটে খাওয়া মানুষের কথা ডয়চে ভেলে থেকে শুনে অভিভূত হয়েছেন বন্ধু মঞ্জু দাস একথা তিনি জানিয়েছেন ফেসবুকে৷
এই একই কথা ফেসবুকে লিখেছেন শ্রোতাবন্ধু ধীরেন বসাক, মাহফুজুর রহমান ও এনামুল হক৷ তাঁদের সবারই একই অনুরোধ ‘আগামীতেও এ ধরণের প্রতিবেদন চাই'৷
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়েত ইসলামীর রুকন আবুল কালাম আযাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারের ফাঁসির আদেশ পরবর্তী বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া ও এ সংক্রন্ত বিস্তারিত খবর প্রচারের জন্য ধন্যবাদ দিয়েছেন শ্রোতাবন্ধু ফয়সাল আহমেদ৷
শক্তির বিকল্প উত্স নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়ে লেখা প্রতিবেদনগুলো থেকে পাওয়া বিস্তারিত তথ্য সাধারণ মানুষ থেকে বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ প্রত্যকেরই উপকারে আসবে৷ বিজ্ঞানের ছাত্র না হয়েও এই ধরণের প্রতিবেদন পড়তে ও বিষয় সম্পর্কে জানতে আমি খুব আগ্রহী৷
জার্মানির নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার বাড়ানোর অগ্রগতি এবং নতুন জ্বালানি নীতির বাস্তবায়ন নিয়ে প্রতিবেদন ডয়চে ভেলের ওয়েবসাইটের পাতায় আগেও পেয়েছি৷ যদিও উদীয়মান শক্তিধর ও উন্নয়নশীল দেশগুলিতেই নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিকাশ ঘটছে সবচেয়ে বেশি, কিন্তু আর্থিক ও প্রযুক্তিগত কারণে বিশ্বের স্বল্পোন্নত দেশগুলির পক্ষে শক্তির বিকল্প উত্সকে পুরোপুরি কাজে লাগানো বেশ কঠিন৷ সুভাষ চক্রবর্তী, নতুন দিল্লি থেকে পাঠিয়েছেন এই ই-মেলটি৷
জৌগ্রাম, বর্দ্ধমান, ভারত থেকে সুহৃৎ বন্দ্যপাধ্যায় লিখেছেন ‘নিরামিষাশীদের দেশ ভারতে মাংস খাওয়ার প্রবণতা' এই প্রতিবেদনটি সততার উপর ভিত্তি করে আমার কিছু বক্তব্য জানালাম৷
ভারতে বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িষ্যা, আসাম রাজ্য বাদ দিয়ে আনান্য রাজ্যে প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ মাংস খান না৷ এমন কি মাছ পর্যন্ত ঘরে ঢোকে না তাঁদের৷ যাঁরা মাছ মাংস খান তাঁদের নিরামিষাশীরা অবজ্ঞার নজরে দেখে৷ এর জন্য রোগ ব্যাধি হওয়ার কারণ নয়৷ ভারতে রোগ ব্যাধি হয় একমাত্র আপুষ্টিজনিত কারণে৷
ফাস্ট ফুড খেলে শিশুদের হাঁপানি, একজিমা বা চর্মরোগ এবং নাকের সমস্যার ঝুঁকি বেড়ে যায়৷ প্রতিবেদনটি পড়ে খুবই ভড়কে গেলাম৷ আজকের দিকে নগরের প্রায় সকল শিশুই ফাস্টফুড নির্ভর হয়ে পরছে৷ বিভিন্ন সময় শিশু-কিশোররা ফাস্ট ফুডের দোকানে ভিড় জমায়, এমনকি স্কুলের টিফিনের সময় অনেক বাচ্চা দৌড়ায় ফাস্ট ফুড রোস্তোঁরায় চলে যায়৷ কিন্তু ডিডাব্লিউ'র প্রতিবেদন থেকে জানলাম ‘থোব়্যাক্স' জার্নালে সম্প্রতি যে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, যে সব অল্প বয়সি শিশু-কিশোর সপ্তাহে তিন বা তার বেশি বার ফাস্ট ফুড খায়, তাদের হাঁপানি হওয়ার আশঙ্কা অন্যদের চেয়ে ৩৯ শতাংশ বেশি৷ ছয় থেকে সাত বছর বয়সিদের মধ্যে এই শঙ্কা ২৭ শতাংশ৷ সত্যিই আতঙ্কিত হবার মতো খবর!
জার্মানির নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার বাড়ানোর অগ্রগতি এবং নতুন জ্বালানি নীতির বাস্তবায়ন নিয়ে প্রতিবেদন ডয়চে ভেলের ওয়েবসাইটের পাতায় আগেও পেয়েছি
বাচ্চাদের স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়াতে ভিডিও গেমস প্রতিবেদনটি ভালো লেগেছে এবং এটি একটি শিক্ষণীয় এবং আশাব্যঞ্জক খবর৷ কারণ লক্ষ্যণীয় যে, প্রায় প্রতিটি বাচ্চাই খাবার খেতে অনিহা দেখায়৷ প্রতিবেদেন থেকে জানলাম, যেসব বাচ্চারা সিরিয়াস ধরণের ভিডিও গেমস খেলে তারা অন্যান্য শিশুদের চেয়ে প্রতিদিন অন্তত একবার ফল এবং শাকসবজি বেশি খায়৷ আর এই খাদ্যাভ্যাস শিশু বয়সের স্থূলতা আটকাতে কাজ করে থাকে৷ উল্লেখিত দুটি প্রতিবেদনই অত্যন্ত সময় উপযোগী এবং শিক্ষণীয়৷ ধন্যবাদ ডিডাব্লিউ'কে এই প্রতিবেদন দুটির জন্য৷ এস এম আনোয়ার কবীর, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, জোনাল কার্যালয়, সিরাজগঞ্জ থেকে এভাবেই তাঁর মতামত লিখে পাঠিয়েছেন ই-মেলে৷
- মতামতের জন্য সব্বাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমরা৷
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ