‘‘আইনমন্ত্রী খুব ভাল মনের মানুষ কিন্তু তিনি নিজেই বেআইনী কাজ করেন৷ আর অপরাধ জগত তো লাগামহীন''- ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় এই মন্তব্য একজন পাঠকের৷
তাছাড়াও দেশে ধর্ষণ বাড়ার জন্য বেশিরভাগ পাঠকই দেশের শাসনব্যবস্থাকেই দায়ী করেছেন ৷
একের পর এক ধর্ষণের ঘটনায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে বলে মনে করছেন আইনমন্ত্রী৷ আর সেকথাই তিনি উল্লেখ করেছেন ডয়চে ভেলেকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে৷ আইনমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে মো.লিটন লিখেছেন ‘‘হ্যাঁ , অবশ্যই তবে সেটা একনায়কতন্ত্রের কারণে এবং জনগনের কাছে জবাবদিহিতা না থাকায়৷''
আনিসুল হকের মতো আইনমন্ত্রী থাকলে ধর্ষণ কমবো না,বাড়বে বলে মনে করেন পাঠক কাওসার আহমেদ৷ তাছাড়া আইনমন্ত্রীর বক্তব্যকে মানষিক ভারসাম্যহীন বলে মনে করছেন পাঠক তসিবুর রহমান৷
রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় এসব ঘটনা বেশি ঘটে, তাছাড়া ক্ষমতার অপব্যবহার, সুশাসনের মৃত্যু৷ এসবই ধর্ষণ বাড়ার পেছনে কাজ করছে বলে মনে করেন পাঠক জনি৷
মঞ্জুরুল হক ফেসবুক পাতায় লিখেছেন, ‘‘আইন মন্ত্রী খুব ভাল মনের মানুষ কিন্তু সে নিজেই বেআইনী কাজ করেন৷ অপরাধ জগত তো লাগামহীন৷''
‘‘আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রেখে কোন পরিবর্তন সম্ভব না৷ ধর্ষণের পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে আমার কথার সত্যতা পাবেন৷'' মন্তব্য ডয়চে ভেলের পাঠক একেএম ওয়াহিদুজ্জামানের৷
‘‘বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত-সমালোচিত প্রায় প্রত্যেকটা ধর্ষণে সাথে আওয়ামীলীগ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলো এবং আছে সেক্ষেত্রে আইনমন্ত্রীর কথার একটা ভিত্তি তো আছেই৷ '' এই মন্তব্য মাহফুজ আলমের৷
‘‘এইখানে একটু খেয়াল করেন- গত বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত দেশে প্রতিমাসে গড়ে প্রায় ৫৫টি শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে৷ এরপর আগস্ট মাস এলে ধর্ষণের সংখ্যা কমে গেল৷ ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে কি হয়েছিল, মনে আছে তো? হঠাৎ করেই সারাদেশের ছাত্ররা ফুঁসে উঠেছিল সড়কে রাষ্ট্রীয় খুনের বিরুদ্ধে৷ সেই ছাত্রদের পেছনে লেলিয়ে দেয়া হয়েছিল আওয়ামী লীগের ক্যাডারদের৷ যার রেশ ছিল কম-বেশি মধ্য আগস্ট পর্যন্ত৷ তাই এই সময়ে আওয়ামী লীগের কর্মীবাহিনী ছিল ব্যস্ত-তটস্থ৷''
এদিকে ডয়চে ভেলের পাঠক মাহতিম আহমেদ আবির তার মতামত তুলে ধরেছেন এভাবে, ‘‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে কিনা জানিনা কিন্তু ওয়ারীতে যে সাদিয়া নামে ৫ বছরের ছোট মেয়েটি ধর্ষণ হলো সে নার্সারিতে পড়ে৷ আর তার ধর্ষক ও হত্যাকারীর বিচারের দাবি করছে, তার ক্লাসমেট ৫ বছরের ছোট্ট ছোট্ট শিশুরা৷ যারা হয়তো ধর্ষণের অর্থই জানে না৷ এ প্রশ্নের উত্তর আছে কি ?
পাঠক হাবীব চৌধুরীও আইনমন্ত্রীকে দোষারোপ করছেন৷ লিখেছেন, দেশে গনতন্ত্রহীনতা এবং এক দলীয় শাসন ব্যবস্থার জন্যই ধর্ষণ বাড়ছে৷
তবে পাঠক দীপক মিত্রের কিছুটা ভিন্নমত৷ তার মতে ধর্ম ও পারিবারিক কুসংস্কৃতি এবং মাদ্রাসা শিক্ষাই ধর্ষণ বাড়ার কারণ৷
পাঠক মাহফুজ, ইমতিয়াজ, আসিফ ওসমান হোসেন ইকবালসহ অনেকেই আইনমন্ত্রীকেই দোষারোপ করেছেন ধর্ষণ বাড়ার কারণ হিসেবে৷
তবে পাঠক আবদুল আজিজ মনে করেন, ‘‘যারা বিচার করতে ব্যর্থ তারাই এইসব কথা বলেন৷''
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: খালেদ মুহিউদ্দীন