ওপরের মন্তব্যটি করেছেন ডয়চে ভেলের পাঠক সৈয়দ বাহাবুল৷ তিনি আরো বিস্তারিতভাবে তাঁর বক্তব্য প্রকাশ করেছেন এভাবে, ‘‘এখন বাংলাদেশে অনেকগুলি সরকারি মেডিকেল কলেজ আছে৷ এরা যদি আন্তরিকভাবে চেষ্টা করে, তবে অসংখ্য রোগীর জীবন,অর্থ ও সময় বাঁচবে৷ এবং এই রোগীরা ঢাকামুখী হবে না৷ আর ঢাকা ও এর আশপাশের সবগুলো হাসপাতাল যদি তাদের কতগুলো সিট খালি আছে, তা একটা কমন ওয়েবে নিয়মিত আপডেট দেয়, তবে কাউকে রোগী নিয়ে অহেতুক দৌড়াতে হবে না৷''
তাছাড়া ‘‘প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষাগুলো এরা ইচ্ছাকৃতভাবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের হাতে পাঠানোর জন্য আন্তরিকভাবে চেষ্টা করেন৷ এই ক্ষেত্রে অশিক্ষিত দালাল কিংবা শিক্ষিত চিকিৎসক সবাই সমান অংশীদার৷ সামগ্রিক চিকিৎসাব্যবস্থায় একটা অস্বচ্ছ ভাব আছে৷ এর মাঝে ধীরগতি, অভদ্র ব্যবহার অন্যতম৷ এবং এর একটাই উদ্দেশ্য– রোগীকে বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর৷ এক্ষেত্রেও দালাল ও চিকিৎসক একই রকম ভূমিকা রাখে৷''
-
ঢাকা মেডিক্যালের করুণ দশা
বহু পুরনো হাসপাতাল
ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল৷ ১৯৪৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এ হাসপাতালটি বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল৷ সরকারি এ হাসপাতালটি ২০১৫ সালে প্রায় আট লক্ষ রোগীকে সেবা প্রদান করেছে৷
-
ঢাকা মেডিক্যালের করুণ দশা
জরুরি বিভাগ
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে প্রতিদিন ভিড় করেন অসংখ্য রোগী৷
-
ঢাকা মেডিক্যালের করুণ দশা
ভিড় লেগেই থাকে
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের টিকেট কাউন্টারের সামনে চিকিৎসা নিতে আসা মানুষের ভিড়৷ স্বল্প খরচে চিকিৎসার জন্য এ হাসপাতালটি একটি ভালো জায়গা৷ মাত্র ১০ টাকা টিকেট এবং ১৫ টাকা ফি দিয়ে এ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি হতে পারেন একজন রোগী৷
-
ঢাকা মেডিক্যালের করুণ দশা
ব্যস্ত চিকিৎসক
ঢাকা মেডিক্যালের জরুরি বিভাগে চিকিসায় নিয়োজিত দু’জন চিকিৎসক৷ প্রয়োজনের তুলনায় চিকিৎসকের সঙ্কট রয়েছে হাসপাতালটিতে৷
-
ঢাকা মেডিক্যালের করুণ দশা
প্রাথমিক চিকিৎসার পর...
জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা৷ এখানে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা দেয়ার পর নির্দিষ্ট বিভাগে পাঠানো হয় রোগীদের৷
-
ঢাকা মেডিক্যালের করুণ দশা
মেঝেতে রোগী
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের একটি ওয়ার্ডের চিত্র৷ বিছানা না পাওয়ায় হাসপাতালের মেঝেতে শুয়েই চিকিৎসা নিতে হয় অনেককে৷
-
ঢাকা মেডিক্যালের করুণ দশা
প্রতিদিন চারশ’ নতুন রোগী
এটি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আরেকটি ওয়ার্ড৷ প্রতিদিন এ হাসপাতালটিতে কমপক্ষে চারশ নতুন রোগী ভর্তি হন৷
-
ঢাকা মেডিক্যালের করুণ দশা
বারান্দায় রোগীর ভীড়
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ডগুলোতে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত রোগী থাকায় হাসপাতালের বারান্দায়ও রোগীদের অবস্থান নিতে হয়৷ ২৬০০ শয্যার এ হাসপাতালটিতে দিনে ৩৬০০-৪০০০ রোগীর সেবা দিতে হয়৷
-
ঢাকা মেডিক্যালের করুণ দশা
নিম্নমানের খাবার সরবরাহের অভিযোগ
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রোগীদের জন্য সরবরাহ করা হচ্ছে খাবার৷ তবে এ খাবারের মান নিয়ে রোগীদের অনেক অভিযোগ আছে৷ অনেক রোগী অভিযোগ করেছেন, তাদের যে খাবার দেয়া হয়, তা খুবই নিম্নমানের৷
-
ঢাকা মেডিক্যালের করুণ দশা
গরমে স্বস্তির সন্ধান
ওয়ার্ডের ভেতরে গাদাগাদি অবস্থা আর অস্বাভাবিক গরম৷ এই রোগীকে তাই তার স্বজনরা স্যালাইনসহ বাইরে নিয়ে এসেছেন একটু স্বস্তি দিতে৷
-
ঢাকা মেডিক্যালের করুণ দশা
দালালদের খপ্পরে পড়েন অনেকে
প্যাথোলজিক্যাল বিভিন্ন পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিক্যালে সঠিক সেবা পান না রোগীরা৷ সেজন্য অনেক সময় দালালদের খপ্পরেও পড়তে হয় তাঁদের৷
তিনি আরো জানিয়েছেন, ‘‘তারপরও সব কিছুই নষ্টদের দখলে সেই দাবিও করছি না৷ ভালো চিকিৎসক আছেন, চিকিৎসাব্যবস্থাও ভালো-মন্দ নিয়েই টিকে আছে৷ চিকিৎসকেরা মেধাবী৷ আফসোসের জায়গাটা হলো, নীতি, সততা ও আন্তরিকতা থাকলে বর্তমানে যতটুকু রিসোর্স আছে এটা নিয়েই খুবই উন্নত মানের চিকিৎসা বাংলাদেশের মানুষদের দেওয়া সম্ভব হতে পারে৷''
পাঠক আলি হোসেন মনে করেন, ডাক্তাররা হলেন মানুষের সেবার জন্য ‘সৃষ্টিকর্তার প্রতিনিধি'৷
বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের চিকিৎসার অন্যতম ভরসাস্থল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ সম্পর্কে পাঠক আফরিন আক্তার ব্যঙ্গ করে লিখেছেন, ‘‘আহারে, বাংলার বোকা মানুষেরা বোঝেই না, এটাই তো আমাদের ডিজিটাল চিকিৎসার উন্নয়ন৷''
অন্যদিকে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা দানকারীদের চিকিৎসাজ্ঞান সম্পর্কেই পাঠক মো.আবদুল মিয়ার তেমন আস্থা নেই৷
বাংলাদেশের চিকিৎসাসেবায় অব্যবস্থার কারণেই হয়তো বহু বাংলাদেশি চিকিৎসা করাতে ভারতে গিয়ে থাকেন৷ ডয়চে ভেলের ফেসবুক বন্ধু প্রণব পাল বাংলাদেশিদের চিকিৎসার জন্য ভারতে না যাওয়ার অনুরোধ করেছেন৷
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: আশীষ চক্রবর্ত্তী
-
বাংলাদেশে ই-হেলথ ও ই-স্বাস্থ্য সেবাসমূহ
মোবাইল ফোনে স্বাস্থ্য সেবা
প্রতিটি জেলা ও উপজেলা হাসপাতালে সরকার একটি করে মোবাইল ফোন দিয়েছে৷ রোগীরা সেখানে দিনের যে-কোনো সময় ফোন করে সরকারি চিকিৎসকের কাছ থেকে সেবা ও পরামর্শ নিতে পারবেন বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে৷ আপনার এলাকার ফোন নম্বর পাবেন এই লিংকে... http://app.dghs.gov.bd/inst_info/mobile_search.php
-
বাংলাদেশে ই-হেলথ ও ই-স্বাস্থ্য সেবাসমূহ
এসএমএস-এর মাধ্যমে প্রসূতি পরামর্শ
একজন মা গর্ভধারণ করলে তিনি এসএমএস-এর মাধ্যমে প্রসূতি পরামর্শ নিতে পারেন৷ এজন্য তাঁকে আগে নিবন্ধিত হতে হবে৷ তাহলে তিনি নিয়মতিভাবে প্রসূতি বিষয়ক বিভিন্ন পরামর্শ পেতে থাকবেন৷ নিবন্ধনের নিয়মের জন্য যেতে হবে এই লিংকে.. http://www.dghs.gov.bd/index.php/bd/e-health/2013-06-18-09-06-38/279-pregnancy-care-advice-by-sms
-
বাংলাদেশে ই-হেলথ ও ই-স্বাস্থ্য সেবাসমূহ
‘আপনজন’
সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি পর্যায়েও প্রসূতি মায়েদের মোবাইলের মাধ্যমে পরামর্শ ও সেবা দেয়ার ব্যবস্থা চালু আছে৷ এমন একটি সেবার নাম ‘আপনজন’৷ এর মাধ্যমে গ্রাহকরা বার্তা পাওয়ার পাশাপাশি কম খরচে টেলিফোনে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে পারেন৷ এই লিংকে (http://aponjon.com.bd/Content.php?MId=36&SubMId=25) গেলে গ্রাহক হওয়ার নিয়ম জানা যাবে৷
-
বাংলাদেশে ই-হেলথ ও ই-স্বাস্থ্য সেবাসমূহ
টেলিমেডিসিন
টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে দূর থেকে স্বাস্থ্য সেবা দেয়া ও পাওয়ার নাম টেলিমেডিসিন৷ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট বলছে, দেশের ১৮টি হাসপাতালে টেলিমেডিসিন সেবা চালু আছে৷ শিগগিরই আরও ১০টি হাসপাতালে এই সেবা শুরু হবে বলেও জানানো হয়েছে৷
-
বাংলাদেশে ই-হেলথ ও ই-স্বাস্থ্য সেবাসমূহ
বিশেষজ্ঞ পরামর্শ
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, প্রতিটি উপজেলা ও জেলা হাসপাতাল এবং মেডিকেল কলেজ ও ইনস্টিটিউট হাসপাতালে ওয়েব ক্যামেরা প্রদান করা হয়েছে৷ ফলে নিম্ন পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি রোগীদের জন্য উচ্চ পর্যায়ের হাসপাতালসমূহে কর্মরত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ নেয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে৷
-
বাংলাদেশে ই-হেলথ ও ই-স্বাস্থ্য সেবাসমূহ
কমিউনিটি ক্লিনিকে টেলিমেডিসিন
কমিউনিটি ক্লিনিকে টেলিমেডিসিন সেবা চালুর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে৷ ইতিমধ্যে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে ওয়েব ক্যামেরাযুক্ত মিনি ল্যাপটপ কম্পিউটার সরবরাহ করা শুরু হয়েছে৷
-
বাংলাদেশে ই-হেলথ ও ই-স্বাস্থ্য সেবাসমূহ
ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্রে টেলিমেডিসিন
দেশের ২২টি ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্রেও স্কাইপে ভিডিও কনফারেন্সিং ব্যবহার করে টেলিমেডিসিন সেবা দেয়া হচ্ছে৷ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বসে চিকিৎসকগণ বিনামূল্যে প্রতি কর্মদিবসে এই সেবা দিচ্ছেন বলে অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে৷
লেখক: জাহিদুল হক