অক্টোবরে ঢাকায় ‘জার্মান ট্রেড শো’ অনুষ্ঠিত হবে জেনে ভীষণ ভালো লাগলো৷ এছাড়া, চলতি মাসে জার্মানি সফরে যাচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ আর জার্মানির রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশে আসছেন নভেম্বরে৷
আশা করি এর ফলে বাংলাদেশ-জার্মানির সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক এখন আরো মজবুত হবে৷ বিশেষত জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে জার্মানির বিশেষজ্ঞ ভল্ফগাং ক্রামার'এর অংশ গ্রহণ বাংলাদেশকে জার্মানির প্রত্যক্ষ সাহায্য-সহযোগিতা পেতে সহায়তা করবে৷ সাত্যকি সরকার, গোল্ডেন ডিএক্স ক্লাব, জিয়াগঞ্জ৷
তোমাদের ওয়েবসাইটটি খুব সুন্দর ও ঝকঝকে৷ দেখলেই পড়তে ইচ্ছে করে৷ তাই আমার খুব ভালো লাগছে৷ ঠিক এভাবেই লিখেছেন বাংলাদেশ থেকে বন্ধু মেসবাহ উদ্দিন৷ অবশ্য ই-মেলে তিনি তাঁর পুরো ঠিকানাটি লেখেন নি৷
শ্রোতাবন্ধু আকিল হাসানও ই-মেলেও ঠিকানা লিখতে ভুলে গেছেন৷ তিনি ডয়চে ভেলের সবাইকে দুর্গা পূজার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন৷ আরো শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রদ্যুৎ কুমার বারিক, সাতৈল, শঙ্করপুর, নওগাঁ থেকে৷
আমি বুঝতে পারছিনা আমার এসএমএস পড়া হয়না কেন? মমিনুল ইসলাম মাহাবুর, নোনামাটিয়াল, দূর্গাপূর, রাজশাহী থেকে জানতে চেয়েছেন৷
- নিয়মিত দু'বেলার অনুষ্ঠান শুনুন, তাহলেই নিজের নাম শুনতে পাবেন৷
বাংলার লোক সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরার লক্ষ্যে ইটালিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যেগে আয়োজন করা হয়েছে ‘লালন উৎসব'৷ এই উৎসবে প্রদর্শিত হবে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘লালন' আর প্রামাণ্যচিত্র ‘অচিন পাখি'৷ বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেনের কথায়, ‘‘এটা একটা যৌথ প্রয়াস৷ ইটালিতে ইন্সটিটিউট অব বেঙ্গলি কালচার-এর সাথে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধশত জন্ম বার্ষিকী আর নজরুল জয়ন্তীর যে আয়োজন - তারই ধারাবাহিকতায় আগামী ১৪, ১৫ এবং ১৬ অক্টোবর আন্তর্জাতিক লালন উৎসব আয়োজন করা হয়েছে৷
আমরাও বিশ্বাস করি - বাংলাদেশের লোক সংস্কৃতিকে তুলে ধরা আর একইসাথে বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী আদর্শের পুরোধা হিসেবে লালনকে বিশ্বের কাছে পরিচিত করা - দু'টোরি প্রয়োজন আছে৷ তাছাড়া পশ্চিমা সমাজে অভিবাসীদের সম্পৃক্তকরণের ক্ষেত্রেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে এই উৎসবের মধ্য দিয়ে৷ এটা অবশ্যই বাঙালি ও পশ্চিমা সংস্কৃতির মিলনমেলা হয়ে উঠবে৷ জার্মানির লালন গবেষক ড. ক্লাউস ব্যার্লে সহ অধ্যাপক ফ্রান্সেসকো জানিনি আর অধ্যাপিকা নীমান সোবহানদের উপস্থিতি অনুষ্ঠানকে পূর্ণতা এনে দেবে বলেই আমাদের বিশ্বাস৷ লিখেছেন চৈতালী সরকার৷
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ