‘বিচারপতি অন্যায় করলে সরকার তদন্ত করবে, বিচার ও শাস্তি দেবে' | পাঠক ভাবনা | DW | 18.10.2017
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

পাঠক ভাবনা

‘বিচারপতি অন্যায় করলে সরকার তদন্ত করবে, বিচার ও শাস্তি দেবে'

প্রধান বিচারপতির ছুটি নেয়া, বিদেশে যাওয়া এবং প্রায় একই সাথে তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশ করা হয়েছে৷ এই বিষয়গুলো ডয়চে ভেলের পাঠকদের মনেও নানা ভাবনার খোরাক জুগিয়েছে এবং তা তাঁরা ফেসবুকপাতায় তুলে ধরেছেন৷

পাঠক হাসান মনে করেন, বিচারপতি সিনহা বাংলাদেশের নোংরা রাজনীতির শিকার৷

হাসানের মতো শামসুজ্জামানও মনে করেন, ‘‘বাংলাদেশের রাজনীতি খুব নোংরা এবং মি. সিনহা নোংরা রাজনীতির শিকার৷'' তবে তিনি মনে করেন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ৷

‘‘প্রধান বিচারপতিকে দিয়ে সরকার অনেক অনৈতিক কাজ করিয়ে নিয়েছে৷ তাঁকে দিয়ে আর কিছু করাবার নেই৷ কিন্তু সিনহা সাহেব এর বিনিময়টা যথাযথ পাননি, '' এমনটাই মনে করেন এস কে আলম৷

বিচারপতি সিনহা কোনো অন্যায় করলে সরকার তদন্ত করে বিচার ও শাস্তি দেবে–'' এই ধারণা সালেক মাহমুদের৷

‘‘প্রধান বিচারপতিকে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার বলির পাঠা হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে৷ এখন উনার কাজ শেষ, তাই সরিয়ে দেয়া হয়েছে, কারণ, উনি এখন সত্য বলতে শুরু করেছেন৷'' ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় এই মন্তব্য জলিলুর রহমানের৷

তবে ইউসুফউন নবী জানতে চান , ‘‘এতদিন আমরা দেশের মানুষ ওনার এই ১১টি অভিযোগের বিষয়ে জানলাম না কেন? সত্য হচ্ছে, সরকারী দল শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছেন৷''

সুমন সরকারেরও একই প্রশ্ন,‘‘প্রধান বিচারপতি দেশে থাকাকালীন কেন এসব অভিযোগ তোলা হলো না? ''

আবুল হোসেন তাঁর বক্তব্য জানিয়েছেন এভাবে, ‘‘প্রধান বিচারপতিকে ব্যবহার করে জামাত এবং বিএনপির নেতাদের অনেককে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছে সরকার৷ এখন প্রয়োজন ফুরিয়েছে, তাই ছুড়ে ফেলা হচ্ছে৷''

‘‘এটা আর নতুন কী? সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললে গুম, খুন, মামলা''  মন্তব্য মোহাম্মদ আরজুর৷

‘‘সাধারণ জনগণের চোখ থাকতেও অন্ধ, মুখ থাকলেও বোবা, পা থাকলেও ল্যাংড়া, বুদ্ধি থাকলেও নির্বোধ, আশায় থেকে থেকে হতাশ, ভাবনা থাকলেও কামনাই শূন্য৷'' এ কথা কথার মধ্য দিয়ে পাঠক মোহাম্মদ আসগর আলী বাংলাদেশের রাজনীতি সম্পর্কে তাঁর হতাশার কথা জানিয়েছেন৷

বাংলাদেশে এখন আইন-আদালত, ন্যায়-নীতি বলে কিছু আছে বলে বিশ্বাস করেন না পাঠক কামরুল হাসান৷

তবে পাঠক এমএ কাজি এবং হাসান মিয়া প্রধান বিচারপতির  এই বিষয়টি নিয়ে তাঁদের নিজস্ব কোনো মতামত জানাতে রাজি নন৷ কারণ, তাঁরা দেশের  ‘৫৭ ধারা'কে ভীষণ ভয় পান৷

অন্যদিকে পাঠক বজলে কাদের, মোশারফ হোসেন এবং কানিজ মরিয়ম  পুরো ব্যাপারটাকেই মনে করছেন ‘সাজানো নাটক'৷

সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার

সম্পাদনা: আশীষ চক্রবর্ত্তী

 

 

নির্বাচিত প্রতিবেদন