তিনি তাঁর ইমেলে আরো লিখেছেন, ‘‘অনেক কিছু জানতে পারলাম ‘কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ণ পেশার কথা', ‘সেনাবাহিনীতে জন্তু-জানোয়ার' ইত্যাদি ছবিঘর থেকে৷ এ সব খবর পাঠকদের জানানোর জন্য ডয়চে ভেলেকে ধন্যবাদ৷''
তাঁর কথায়, ‘‘ডয়চে ভেলের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও পরিবেশ বিষয়ক অনুষ্ঠান ‘অন্বেষণ' ৭০তম পর্বে পদার্পণ করতে যাচ্ছে জেনে আমি খুব খুশি হয়েছি৷ এ ধরনের অনুষ্ঠান থেকে আমরা বিজ্ঞানের নানা খবর আর অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে পারছি৷ সেই সাথে পরিবেশের সঙ্গে সম্পর্কিত অনেক বিষয়েরও চুলচেরা বিশ্লেষণ ভিডিও প্রতিবেদনের মাধ্যমে দেখতে পাচ্ছি৷ ফলে আমরা বিজ্ঞান ও পরিবেশ সম্পর্কে অনেক ধারণা পাচ্ছি৷ ধন্যবাদ আপনাদের৷''
-
সেনাবাহিনীতে জন্তু-জানোয়ার
বিশ্বযুদ্ধে পত্রবাহক
গত কয়েক দশকে পাখি থেকে শুশুক, বাদুড় থেকে মৌমাছি – এমন নানা প্রাণী সেনাবাহিনীতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে৷ পায়রাদের গতি এবং দিক নির্ণয়ের ক্ষমতা অসাধারণ৷ এ কারণে দুটি বিশ্বযুদ্ধেই তাদের ব্যাপক ব্যবহার করা হয়েছে খবর আদান-প্রদানের জন্য৷ তাদের কারণে বেঁচেছে বহু মানুষের প্রাণ৷ তাই এই মহান কর্মের জন্য ‘ডিকিন মেডেল’ দেয়া হয়েছে বেশ কয়েকজনকে৷ এই পুরস্কারটি কিন্তু ভিক্টোরিয়া ক্রসের সমমানের!
-
সেনাবাহিনীতে জন্তু-জানোয়ার
ক্যামেরাবাহী পায়রা
পায়রাগুলো কেবল যে পত্রবাহক ছিল, তা কিন্তু নয়৷ জার্মানির জুলিয়ুস গুস্তাভ নয়ব্রোনার যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য পায়রাদের গলায় ছোট্ট একটি ক্যামেরা বেঁধে পরীক্ষা চালিয়েছিলেন৷ এমনকি যুক্তরাষ্ট্র পায়রার মাধ্যমে শত্রু ঘাঁটিতে বোমা হামলার পরিকল্পনা করে তৈরি করেছিল ‘প্রজেক্ট পিজন’৷
-
সেনাবাহিনীতে জন্তু-জানোয়ার
মানুষের প্রাণের বন্ধু
মাটিতে পুঁতে রাখা মাইন অথবা বোমা খুঁজতে সেনাবাহিনীতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় কুকুর৷ ভিয়েতনামে যুক্তরাষ্ট্র ৪,০০০ যুদ্ধ কুকুর ব্যবহার করেছিল৷ এছাড়া ফাঁদ খুঁজে বের করতেও কুকুরের জুরি নেই৷
-
সেনাবাহিনীতে জন্তু-জানোয়ার
বোমা ফেলা বাদুড়
৪০-এর দশকে যুক্তরাষ্ট্র প্রথম বাদুড়ের গলায় বোমা বেঁধে শত্রু ঘাঁটিতে তা ফেলার পরীক্ষা করে৷ সেই থেকে বোমা ফেলতে বাদুড়ের ব্যবহার শুরু হয়৷
-
সেনাবাহিনীতে জন্তু-জানোয়ার
গুপ্তচর বিড়াল
৬০-এর দশকে ‘আকুস্টিক কিটি’ নামে মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ একটি প্রকল্প হাতে নেয়৷ উদ্দেশ্য সোভিয়েত দূতাবাসের কর্মকর্তাদের কথায় আড়িপাতা৷ অস্ত্রপচার করে একটি বাড়ালের দেহে একটি মাইক্রোফোন, ব্যাটারি এবং অ্যান্টেনা লাগানো হয়েছিল৷ তারপর সোভিয়েত কর্মকর্তা যে পার্কে বৈঠক করছিলেন, সেখানে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল সেই বেড়ালকে৷ ১৯৬৭ সালে অবশ্য এই প্রকল্প বাতিল করা হয়৷
-
সেনাবাহিনীতে জন্তু-জানোয়ার
পানির চর
১৯৬০ সাল থেকে ‘নেভি মেরিন ম্যামল’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে মার্কিন সেনাবাহিনীতে সিন্ধু ঘোটক এবং শুশুককে ব্যবহার করা শুরু হয়৷ পানির তলায় শত্রুর চলাফেলার উপর নজরদারি, জাহাজ চলাচল এবং সমুদ্র তলদেশে পুতে রাখা মাইন শনাক্ত করার জন্য এদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া হতো সে সময় থেকে৷
-
সেনাবাহিনীতে জন্তু-জানোয়ার
মৌ-বাহিনী
কুকুরা তাদের ঘ্রাণশক্তির জন্য বিশেষভাবে পরিচিত৷ কিন্তু মৌমাছির ঘ্রাণশক্তি তাদের চেয়েও শক্তিশালী৷ ক্রোয়েশিয়ার গবেষকরা পরীক্ষা করে রেখেছেন যে, বোমা বানানোর উপাদান অনেক বস্তুর সাথে মিশিয়ে দিলেও মৌমাছি ঠিকই সেটা শনাক্ত করতে পারে৷ এমনকি পাঁচ কিলোমিটার দূরে মাটিতে পুঁতে রাখা মাইনও শনাক্ত করতে পারে এরা৷
-
সেনাবাহিনীতে জন্তু-জানোয়ার
প্রাণরক্ষাকারী ইঁদুর
আফ্রিকা মহাদেশে অবস্থিত তানজানিয়ায় বেলজিয়ামের এপিওপিও সংস্থাটি বড় ইঁদুরকে ল্যান্ডমাইন শনাক্ত করার কাজে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে৷ সেখানে ৫৭টি ইদুঁর এই কাজে নিয়োজিত, যাদের বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যুদ্ধের কাজে ব্যবহার করা হয়৷
-
সেনাবাহিনীতে জন্তু-জানোয়ার
নিহতদের স্মরণ
সেনাবাহিনী বরাবরই প্রাণীদের বিশেষ দক্ষতার উপর নির্ভরশীল৷ তবে যুদ্ধের সময় বেশিরভাগ প্রাণীর অবদানই অগোচরে থেকে যায়৷ বিভিন্ন যুদ্ধে যেসব প্রাণী অংশ নিয়ে প্রাণ হারিয়েছে, তাদের স্মরণে লন্ডনের হাইড পার্কে প্রথম একটি স্থায়ী স্মারক নির্মাণ হয়, যার নাম ‘অ্যানিমেল্স ইন ওয়ার মেমোরিয়াল’৷ ২০০৪ সালে এটা সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেয়া হয়েছিল৷
লেখক: নাটালি ম্যুলার/এপিবি
নাটোর, বাংলাদেশ থেকে বন্ধু রাজীব কুমার মন্ডল ইমেল মারফত ঢাকা মেডিকেল হাসপাতাল থেকে শিশু চুরি যাওয়ার ব্যাপারে লিখেছেন, ‘‘এরকম ঘটনা আমি এর আগেও পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শুনেছিলাম৷ সত্যিই বিষয়টি বেদনাদায়ক৷ আমি মনে করি যথাযথ কর্তৃপক্ষের এ বিষয়ে গুরুত্বের সাথে সর্তকতা অবলম্বন করা উচিত৷''
- বন্ধু রাজীব, আপনি জানেন নিশ্চয় যে চুরি যাওয়া শিশুটিকে বুধবার রাতে গাজীপুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে৷
পুরনো বন্ধু মো. সোহেল রানা হৃদয়, ঢাকা সেনানিবাস, ঢাকা, বাংলাদেশ থেকে লিখেছেন, ‘‘আমার ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা নেবেন৷ আশা করছি সবাই ভালো আছেন৷ কয়েকদিন আগে চুয়াডাঙ্গার শ্রোতাবন্ধু হায়দার মাস্টার আমাকে ফোন করেছিল৷ তিনি আইপড বিজয়ী হয়েছেন৷ তাই সেটা হাতে পেলে কিভাবে কী করতে হবে সে ব্যাপারে জানার জন্য ফোন করেছিলেন তিনি৷ আমি সাধ্যমতো বলেছি৷ এরপর গতকাল ‘বাংলাদেশ অ্যামেচার রেডিও লীগ' বা বিএআরএল-এর কার্যকরী পরিষদের সাধারণ নির্বাচন ছিল৷ আমি বিএআরএল-এর একজন গর্বিত মেম্বার৷ নির্বাচনস্থলে যাওয়ার পথে হায়দার মাস্টার সাহেব আবারো আমাকে ফোন করে জানালেন যে, তিনি তাঁর আইপডটি হাতে পেয়েছেন বিনা ডাকমাশুলে৷ আগামী সোমবার তিনি কুষ্টিয়াতে সেটি নিয়ে যাবেন গান ‘লোড' করতে৷ কারণ তাঁর আশেপাশে তেমন সুব্যবস্থা নেই৷ আমি বললাম, কুষ্টিয়াতে নিয়ে গেলে আমি আমার পরিচিত কোনো দোকান থেকে গান লোড করার ব্যবস্থা করে দেবো৷''
‘‘...এছাড়া প্রতিদিনই আমার কারো না কারো সাথে কথা হয়৷ আপনাদের কথাও তখন বাদ যায় না৷ আজকের ওয়েবসাইটের সবগুলো প্রতিবেদন ভালো লাগলো৷ তবে পৃথিবীর সুন্দরতম ফুল নিয়ে সাজানো ছবিঘরটি আমাকে সত্যিই মুগ্ধ করেছে৷''
- মতামত দেয়ার জন্য সবাইকে অনেক ধন্যবাদ৷ ভালো থাকবেন বন্ধুরা৷
সংকলন: দেবারতি গুহ
সম্পাদনা: জাহিদুল হক