‘মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য’ | পাঠক ভাবনা | DW | 26.04.2013
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

পাঠক ভাবনা

‘মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহিউদ্দীন খান আলমগীর বলেছেন, সাভারের রানা প্লাজায় দুর্ঘটনার আগে কিছু মৌলবাদী ও বিএনপির ভাড়াটে লোক সাভারের ভবনটির গেট ও বিভিন্ন স্তম্ভ ধরে ‘নাড়াচাড়া’ করেছিল৷

ভবনটি ধসে পড়ার পেছনে এটিকেও ‘একটি কারণ' হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে৷ বুধবার বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি একথা বলেন৷ তাঁর এ বক্তব্য প্রচারের পর নানা মহলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে৷ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁর এ বক্তব্য ছড়িয়ে পড়ে দ্রুত গতিতে৷ নানা মন্তব্য ও তীর্ষক সমালোচনা শুরু হয় সেখানে৷

বাংলাদেশে ১৯৮০'র দশকে সস্তা শ্রমের ধারণার উপর ভিত্তি করেই গড়ে উঠেছিল তৈরি পোশাক শিল্প৷ তিন দশক পর, এটি এখন দেশটির সবচাইতে বড় রপ্তানি খাত৷ তৈরি পোশাক রপ্তানি করে বাংলাদেশের আয় এখন বছরে প্রায় বিশ বিলিয়ন বা দু'হাজার কোটি ডলার৷ এই তিন দশকে বাংলাদেশে বিরাট অর্থনৈতিক এবং সামাজিক অগ্রগতি হয়েছে, দারিদ্র কমেছে, কিন্তু পোশাক শিল্প খাতে সস্তা শ্রমের কোনো বদল হয়নি৷ লক্ষ লক্ষ শ্রমিক এখনো ন্যূনতম মজুরিতে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে এই শিল্পে কাজ করছেন৷ এই ‘সস্তা শ্রমের' চক্র থেকে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের উত্তরণ আসলে কিভাবে সম্ভব? এই প্রশ্নের সঙ্গে ই-মেল দু'টো পাঠিয়েছেন বন্ধু মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, উথলীবাজার, চুয়াডাঙ্গা থেকে৷

‘সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষ ভবনে ঢুকলেও ঢুকছেন না উদ্ধারকর্মীরা' – এই বীভৎস প্রতিবেদনটি পড়ে মন বড় ভরাক্রান্ত হয়ে গেল৷ কেবলই মনে হচ্ছে সাততলার নীচে যারা চাপা পড়ে আছে, তারা কি অবস্থায় আছে ?আমার মনে হয়, সারা পৃথিবীর শিক্ষা প্রাপ্ত উদ্ধারকারী শিক্ষানবিশের দলের এসে এদের উদ্ধারের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়া প্রয়োজন৷ যাই হোক, এর পরবর্তী পরিস্থিতি সম্পর্কে ব্যাকুল আগ্রহে আপনাদের প্রতিবেদনের অপেক্ষায় থাকলাম৷ সুহৃত বন্দ্যোপাধ্যায়, জৌগ্রাম, বর্দ্ধমান থেকে লিখেছেন৷

সাভার রানা প্লাজার দুর্ঘটনায় আমার পক্ষ থেকে হতাহতদের গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি৷ দেওয়ান রফিকুল ইসলাম রানা, পাটালির মোর, নওগাঁ৷

মানুষ মানুষের জন্য জীবন জীবনের জন্য৷ তাই সাভারের মর্মান্তিক ট্র্যাজেডির জন্য আমরা গভীর শোকাহত৷ ডা. এসএমএ হান্নান, পাবনা৷

ঢাকার অদূরে সাভারে রানা প্লাজা নামের যে বহুতল ভবনটি ধসে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে, সেই ভবনটি অবৈধভাবে নির্মাণ করা হয়েছে৷ ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ বলে নোটিশ দেয়ার পরও লোকজন সরিয়ে নেয়া হয়নি৷ কোন শক্তি বলে এতগুলো প্রাণকে নিস্প্রাণ করা হলো? নাকি এগুলো কিছু ফালতু মানষের সস্তা প্রাণ? অথচ ঐ ভবনেই অবস্থিত ব্যাংকের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের তো কোনো প্রাণ গেল না! তাহলে কি বৈদেশিক রেমিটেন্স আনয়নকারী গার্মেন্টস কর্মীদের প্রাণ প্রদীপ একের পর এক এভাবেই নিভে যাবে? এর শেষ কোথায়? এস এম আনোয়ার কবীর, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, জোনাল কার্যালয়, সিরাজগঞ্জ লিখেছেন এই ই-মেলটি৷

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার অদূরে সাভারে গত বুধবার সকালে রানা প্লাজা নামের একটি দশতলা ভবন ধসে তিন শতাধিক মানুষ মারা যায়৷ এখন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে উদ্ধার কাজ চলছে৷ ধ্বংসস্তূপের ভিতর থেকে উদ্ধারকর্মীরা বের করে আনছে একের পর এক লাশ৷ স্বজনের আহাজারীতে ঐ এলাকার বাতাস ভারি হয়ে উঠছে৷ ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে পড়া মানুষের বেঁচে থাকার আশা ক্ষীণ হয়ে আসছে৷ এ জন্য দেশে রাষ্ট্রীয় শোকও পালন করা হয়েছে৷ আমরা সারা বিশ্ববাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা করছি৷ আপনারা আমাদের পাশে থাকবেন – এই কামনায় সোহেল রানা হৃদয়, ঢাকা সেনানিবাস, ঢাকা৷

বিশ্বের খাদ্য সমস্যার উপর পর পর দু'দিনের দুটি প্রতিবেদন ‘বিশ্বের ক্ষুধা মেটাবে কে' এবং ‘বিশ্বের ক্ষুধা মেটাবে আফ্রিকা' পড়লাম৷ আগামী পৃথিবীর সম্ভাব্য খাদ্যসমস্যার আশঙ্কার কারণগুলির যৌক্তিক বিশ্লেষণ ভালো লাগল৷ এফএওর হিসাব, প্রতিদিন একজন মানুষ ১ কিলো ৪০০ গ্রাম খাবার গ্রহণ করে থাকে৷ অতএব মোট ৭০০ কোটি জনসংখ্যার জন্য প্রত্যহ ৯৮০ কোটি কিলোগ্রাম খাদ্য এখনই প্রয়োজন৷ এর উপর বিশ্ব অর্থনীতির অগ্রগতির সঙ্গে তাল রেখে জ্বালানির চাহিদাও বেড়ে চলেছে৷ সবচাইতে ভয়ের বিষয় যেটা, সেটা হলো, খাদ্যাভাবের প্রথম প্রভাবটা পড়বে দরিদ্র মানুষদের উপর, রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকদের উপর নয়৷ তাই সমস্যা সমাধানে প্রশাসনের ঘুম ভাঙতেও দেরি হবে৷ ফলে আগামীদিনে গরিব মানুষদের সামনে সমূহ বিপদের আশঙ্কা৷এখনই তো প্রতি তিন সেকেন্ডে একজন করে মানুষ খাদ্যাভাবে প্রাণ হারাচ্ছে৷ সুখময় মাজী, গঙ্গাজলঘাটী, বাঁকুড়া, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত৷

- মতামত পাঠানোর জন্য সবাইকে অনেক ধন্যবাদ৷

সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

নির্বাচিত প্রতিবেদন