‘রোহিঙ্গারা যেন ভাসানচরে বিয়ের কনে দেখতে গেছে!’ | পাঠক ভাবনা | DW | 08.09.2020
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

পাঠক ভাবনা

‘রোহিঙ্গারা যেন ভাসানচরে বিয়ের কনে দেখতে গেছে!’

‘‘রোহিঙ্গা নেতারা এখন দেখবেন, জানাবেন পরে’’ শিরোনামের প্রতিবেদনটি পড়ার পর একজন পাঠক ফেসবুক পাতায় লিখেছেন, ‘‘নিজের দেশের সিংহভাগ নাগরিক দারিদ্রসীমার নীচে, সেখানে রোহিঙ্গাদের নিয়ে এত আদিখ্যেতা বড়ই বেমানান৷’’

বেশিরভাগ পাঠকের মন্তব্য প্রায় একইরকম৷

ভাসানচরে এক লাখ রোহিঙ্গাকে সরিয়ে নিতে চায় বাংলাদেশ সরকার৷ তার আগে ভাসানচরের সার্বিক পরিস্থিতি দেখিয়ে আনতে ৪০ জন রোহিঙ্গাকে নেয়া হয়েছে সেখানে৷ এ সম্পর্কে পাঠক সালাউদ্দিন আহমেদ লিখেছেন, ‘‘জীবন বাঁচাতে এসে আশ্রয় নিয়ে এখন নেতা হয়ে গেছে, আমাদের উদারতার সুযোগ নিয়ে এখন আমাদের ঘাড়ে চেপে বসেছে, এই হলো মানবিকতার প্রতিদান৷’’

আর মোহাম্মদ সাদেকের মন্তব্য, ‘‘ভাসানচরে রোহিঙ্গা নেতারা যেন বিয়ের কনে দেখতে গেছে!'' রোহিঙ্গাদের নিয়ে পাঠক  তারিক শুভর মন্তব্য, ‘‘এদের নেতা আছে! তাহলে মিয়ানমার থেকে পালাইছে কেন? এদের সব দিলেও মন ভরবে না৷’’

ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় পারভেজ প্রধান মন্তব্য করেছেন, ‘‘বুঝলাম না রোহিঙ্গাদের এত নবাবী আচরণ কেন? এমন তো নয় যে, বাংলাদেশ অতি উচ্চ জিডিপি সমৃদ্ধি সম্পন্ন দেশ৷ যেখানে নিজের দেশের সিংহভাগ নাগরিক দারিদ্রসীমার নীচে, সেখানে রোহিঙ্গাদের নিয়ে এত আদিখ্যেতা বড়ই বেমানান৷’’

‘‘তারা পরে কেন জানাবেন, এটা রোহিঙ্গাদের দেশ নয় যে ইচ্ছা হলে যাবে আর না হলে যাবে না’’ -এই মন্তব্য পাঠক রাশেদুল ইসলাম শহিদের৷

রোহিঙ্গারা নিজের দেশে না চলে গেলে কয়েক বছর পরে পরিস্থিতি আরো খারাপ হলে হয়তো নিজেরাই রোহিঙ্গা হয়ে যাবেন ভেবে আতঙ্কিত পাঠক সারোয়ায়৷

রোহিঙ্গা নেতাদের ভাব দেখে পাঠক মতিউর রহমান রানার মনে হচ্ছে, মিয়ানমার থেকে তারা রাষ্ট্রীয় সফরে বাংলাদেশ এসেছেন৷ 

তবে সায়েম মাহমুদ বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সংকটের জন্য দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও দেশের সরকারকে দায়ী করছেন৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘অযোগ্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও একটি ব্যার্থ সরকার৷’’

এছাড়া পাঠক মহিউদ্দিন তার মতামত জানিয়েছেন এভাবে, ‘‘তারা দেখবেন, তারপর জানাবেন! অত্যন্ত উন্নত, সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী শরণার্থী জাতিগোষ্ঠী! দেশ-বিদেশের নানা গণমাধ্যমে যত তথ্য-উপাত্তভিত্তিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, সেখানে এই জাতিগোষ্ঠীর নেতৃবৃন্দ তো নয়ই, সাধারণ মানুষকে পর্যন্ত কোনোপ্রকার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে দেখা যায়নি৷ এত প্রতিকূলতা ও সীমাবদ্ধ সম্পদ ব্যবহারের মাধ্যমে এই অবহেলিত ও অত্যাচারিত জাতিগোষ্ঠীর নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক আশ্রয় নিশ্চিত করে চলেছে বাংলাদেশ৷ এই সম্প্রদায়ের মানুষজনের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ ও মনোভাব পরিহার করে নমনীয় ও কৃতজ্ঞাতাপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসা উচিত৷’’

তবে রোহিঙ্গাদের আচরণ দেখে হোসেন মোহাম্মদের কাছে মনে হচ্ছে  কিছুদিন পর বাংলাদেশে রোহিঙ্গা দল, রোহিঙ্গা লীগ, রোহিঙ্গা জাপা ইত্যাদি দল তৈরি হবে৷

সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার

সম্পাদনা: আশীষ চক্রবর্ত্তী

নির্বাচিত প্রতিবেদন