শিশুর পৃথিবী গড়তে যা প্রয়োজন | পাঠক ভাবনা | DW | 09.12.2016
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

মতামত

শিশুর পৃথিবী গড়তে যা প্রয়োজন

বাংলাদেশে আজকের শিশু-কিশোররা বিনোদনের জন্য কী করছে বা কীভাবে ওরা সময় কাটায়, এমনকি সমাজ ও সরকারের তাদের জন্য কী করা দরকার, তার একটি স্পষ্ট চিত্র ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় তুলে ধরেছেন বেশ কয়েকজন পাঠক৷

শিশুর বিনোদনের জন্য প্রয়োজন মানসিক ও শারীরিক বিকাশ৷ সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের পরিস্থিতি ও পরিবেশে কতটা অনুকুল বা সরকার ও সমাজের কী পরিবর্তন দরকার – তা জানাতে গিয়ে আমাদের ফেসবুক পাতায় বন্ধু আকাশ ইকবাল তাঁর বক্তব্যটি তুলে ধরেছেন এভাবে:

‘‘বাংলাদেশের শিশু-কিশোরদের আলোচনার বিষয় হলো ‘ক্লোজ আপ ওয়ান' কিংবা হলিউড বা বলিউডের গল্প৷ খোলা মাঠে খেলাধুলা আর সুস্থ নির্মল আনন্দের পরিবর্তে আজ শিশু-কিশোরদের বিনোদনের মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে ভিডিও গেমস আর মোবাইল টিভি চ্যানেলের বিজ্ঞাপন ও মুভি৷ একা একা খেতে চাও তবে দরজা বন্ধ করে খাও, এমন বিজ্ঞাপনগুলো বন্ধুবৎসল শিশুদের কোমল মনকে চূড়ান্ত রকমের স্বার্থপরতার শিক্ষা দিচ্ছে৷ আমাদের দেশের শিশু-কিশোররা এখন নিজের দেশ কিংবা দেশের স্বাধীনতা বিষয়ক জ্ঞান  রাখে না, যা টিভি অনুষ্ঠানের প্রশ্নত্তোর অনুষ্ঠান থেকে জানা যায়৷

আগে স্কুলের টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে তিন গোয়েন্দার বই কিংবা শখের স্ট্যাম্প কেনার প্রতিযোগিতা হতো৷ আর এখন টাকা জমানোর প্রতিযোগিতা চলে ভিডিও গেমস খেলা কিংবা অলিতে-গলিতে সহজলভ্য পর্নো পত্রিকা আর সিডি কেনার জন্য৷ টাকা কামানোর অসুস্থ প্রতিযোগিতায় লিপ্ত কোম্পানিগুলো টিভি পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে এমন প্রভাব বিস্তার করছে৷ এখন স্কুল ছাত্রদের বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে মোবাইল বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশুদের মোবাইল ব্যাবহারের ক্ষেত্রে মা-বাবাদের সতর্ক থাকা উচিত৷ কারণ শিশুরা এখন চাইলে আধুনিক মোবাইল ব্যবহার করে কুরুচিপূর্ণ বিজ্ঞাপন কিংবা পর্নোগ্রাফির মতো খারাপ ভিডিও পাচ্ছে৷ এতে শিশু-কিশোররা বন্ধু-বান্ধব কিংবা ভাই-বোনের সম্পর্কে লালন করে বিকৃত অসুস্থ মানসিকতা৷''

তবে পাঠক রিদোয়ান আহমেদ হৃদয় মনে করেন, সবার আগে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা পাল্টাতে হবে৷ একজন যোগ্য ব্যক্তিকে শিক্ষামন্ত্রীর আসনে বসাতে হবে এবং শিক্ষাক্ষেত্রে সকল অনিয়ম-দুর্নীতি দূর করতে হবে৷ তবেই এদেশের শিশুরা সব দিক দিয়ে সুশিক্ষিত হবে৷

অন্যদিকে মো. মুসফিকুর রহমান বাংলাদেশের শিক্ষকদের গুণাগুণ সম্পর্কে সন্দীহান৷ কারণ এখন নাকি শুধু স্কুল-নির্ভর পড়াশোনা করানো হয়৷ ফলে বিনোদনের সুযোগ থাকে না,

যার জন্য ছাত্ররাও নাকি সেরকমই হয়৷ আবদুর রহিমও মনে করেন, শিশুর বিনোদন ও শিশুর সুন্দর পৃথিবীর জন্য সবচেয়ে আগে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা পাল্টানো প্রয়োজন৷

মঈন আহমেদের ধারণা, বাংলাদেশের কোচিং সেন্টারের মালিকেরা নাকি সব ডাকাত৷ আওয়ামী লীগ, বিএনপি আর জামাত-শিবিরের ছাত্র-শিক্ষক নেতারা নাকি কোচিং সেন্টারগুলোর মালিক৷

তবে কামরুল হাসান মনে করেন, ‘‘শিশুকে তার মতো করে বড় হতে দেওয়া হোক৷''

আর পাঠক রবি হাসানের অনুরোধ, বাংলাদেশের শিশুদের জন্য ভালো হবে যদি হিন্দি ভাষার কার্টুনের চ্যানেলগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়৷ এ ব্যাপারে পাঠক ফাতেমা সুলতানা ও সরকার চন্দনও ডয়চে ভেলের পাঠক রবিউল হাসানকে সমর্থন করেছেন৷

সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

 

নির্বাচিত প্রতিবেদন