প্রতিবেদনটির শিরোনাম,‘সমকামিতা নিয়ে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি কি বদলাবে?' তা পড়ে পাঠক মিজানুর রহমান শাহীনের প্রশ্ন, ‘‘ দৃষ্টিভঙ্গি বদলাবে কেন? মানুষ কি দিনে দিনে অসভ্য, বর্বর হচ্ছে? আধুনিক এবং প্রগতিশীল বলতে কি বিকৃত রুচির সব কাজকে বৈধতা দেওয়া বা মন যা চায় তাই করার স্বাধীনতাকে বোঝায়?''
আর পাঠক জিল্লুর রহমানের মতামত এরকম, ‘‘আমি মনে করি, সমকামিতা এক ধরনের ব্যভিচার ও সামাজিক অনাচার৷ আমার জানা মতে মুসলিম, হিন্দু, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ, ইহুদি ইত্যাদি কোন ধর্মই সমকামিতাকে সমর্থন করে না, কারণ, এটি সামাজিক মুল্যবোধের সম্পূর্ণ পরিপন্থি৷''
‘‘বিকৃত যৌনাচার ‘সমকামিতা'কে বৈধতা দিয়েছে ভারতের আদালত৷ ঘৃণা জানাই এই ভ্রষ্ট রায়ের প্রতি৷তার চেয়ে বেশি ঘৃণা জানাই আমাদের দেশের এক শ্রেণির মিডিয়ার প্রতি, যারা এই সংবাদকে এ দেশে ইতিবাচকভাবে দেখানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত৷'' এ মন্তব্য আরিফ মোহাম্মদের৷
তবে মুন্না বলছেন, ‘‘জরিপ কিভাবে হয়েছে জানি না, তবে এই সংবাদের কমেন্টে কেউ ভালো কিছু বলেনি! এমনকি সবারই মত হচ্ছে, এটা করা ঠিক
হয়নি! ''
-
সমকামিতা যে প্রাকৃতিক, তার প্রমাণ এই প্রাণীরা
লম্বা গলার জিরাফ
জিরাফদের সমলিঙ্গের মধ্যে ভালোবাসার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি দেখা যায়৷ এমনকি গবেষকরা বলছেন, জিরাফদের মধ্যে শতকরা ৯০ ভাগই সমলিঙ্গের সঙ্গীর সঙ্গে যৌনকর্মে লিপ্ত হয়৷
-
সমকামিতা যে প্রাকৃতিক, তার প্রমাণ এই প্রাণীরা
বোতলনাক ডলফিন
এই প্রজাতির স্ত্রী ও পুরুষ দুই ধরনের ডলফিনের মধ্যেই সমকামিতা দেখা যায়৷ মুখ এবং নাক দিয়ে স্পর্শ করে সঙ্গীকে আদর করে তারা৷ পুরুষ ডলফিনরা সাধারণত উভকামী৷
-
সমকামিতা যে প্রাকৃতিক, তার প্রমাণ এই প্রাণীরা
সিংহের আনুগত্য
পশু রাজ সিংহের মধ্যেও সমকামিতা খুবই সাধারণ একটা ব্যাপার৷ দুই থেকে চারটি পুরুষ সিংহ একটি জোট গঠন করে, যাতে সিংহীরা তাদের কাছে আসতে না পারে৷ অন্য জোট থেকে বাঁচতে একে অপরের উপর ভীষণ নির্ভরশীল তারা৷
-
সমকামিতা যে প্রাকৃতিক, তার প্রমাণ এই প্রাণীরা
বাইসন
পুরুষ বাইসনদের মধ্যে সমকামিতা খুবই সাধারণ একটা ব্যাপার৷ কেননা স্ত্রী বাইসনদের সঙ্গে বছরে একমাত্র একবার মিলন হয় তাদের৷ তাই প্রজনন মৌসুমে পুরুষ বাইসনরা একে অপরের সঙ্গে দিনে বহুবার মিলিত হয়৷
-
সমকামিতা যে প্রাকৃতিক, তার প্রমাণ এই প্রাণীরা
বানরদের ‘ওয়ান নাইট স্ট্যান্ড’
ম্যাকাক প্রজাতির নারী ও পুরুষ বানর – উভয়ের মধ্যে এই প্রবণতা রয়েছে৷ যেখানে পুরুষরা মাত্র একরাতের জন্য সমলিঙ্গের সঙ্গে মিলিত হয়, সেখানে স্ত্রী বানররা নিজেদের মধ্যে শক্তিশালী বন্ধন গড়ে তোলে এবং একে অপরের সঙ্গে থেকে যায়৷
-
সমকামিতা যে প্রাকৃতিক, তার প্রমাণ এই প্রাণীরা
অ্যালবাট্রসদের বন্ধন
হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের লেসন অ্যালবাট্রসরা তাদের সমকামী বন্ধনের জন্য ভীষণভাবে পরিচিত৷ এরা এতটাই বন্ধনে জড়িয়ে যায় যে পুরো জীবন একসাথে কাটিয়ে দেয়, যেন মনে হবে একটি সন্তান সহ স্বামী-স্ত্রীর সুখি পরিবার৷
-
সমকামিতা যে প্রাকৃতিক, তার প্রমাণ এই প্রাণীরা
যৌন-বিকারগ্রস্ত বনোবো
পিগমি শিম্পাঞ্জী বা বনোবোকে বলা হয় মানবজাতির সবচেয়ে সাদৃশ্যপূর্ণ প্রাণী৷ তারা খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে মিলিত হতে থাকে, এমনকি সমলিঙ্গের সঙ্গে৷ নিজেদের আনন্দের জন্যই এটা করে তারা৷ তবে এটা ঠিক তারা এটাকে নিজেদের মধ্যে বন্ধন দৃঢ় করা এবং দুশ্চিন্তা দূর করার উপায় হিসেবেও মনে করে৷ স্ত্রীদের মধ্যে এই প্রবণতা বেশি৷
-
সমকামিতা যে প্রাকৃতিক, তার প্রমাণ এই প্রাণীরা
প্রতি ৫টির মধ্যে একটি রাজহাঁস সমকামী
অনেক পাখিদের মতো রাজহাঁসরাও একগামী এবং বছরের পর বছর ধরে তারা এক সঙ্গীর সঙ্গে কাটিয়ে দেয়৷ এদের মধ্যে অনেকেই সঙ্গী হিসেবে সমলিঙ্গের হাঁসকে বেছে নেয়৷ শতকরা ২০ ভাগ রাজহাঁস সমকামী এবং তারা প্রায়ই পরিবার গঠন করে৷
-
সমকামিতা যে প্রাকৃতিক, তার প্রমাণ এই প্রাণীরা
সিন্ধুঘোটক
পুরুষ সিন্ধুঘোটক চার বছর বয়সের আগে যৌনসক্ষমতা লাভ করে না৷ এর আগ পর্যন্ত তাদের প্রায় সবাই সমকামী থাকে৷ যখন তাদের চার বছর হয় তখন হয় তারা উভগামী হয়, না হলে কেবল প্রজনন মৌসুমে স্ত্রী সিন্ধুঘোটকদের সঙ্গে মিলিত হয়৷
-
সমকামিতা যে প্রাকৃতিক, তার প্রমাণ এই প্রাণীরা
ভেড়াদের পছন্দ
গবেষণায় দেখা গেছে, একটি পুরুষ ভেড়ার পালের ৮ ভাগ ভেড়াই সঙ্গী হিসেবে পুরুষদের পছন্দ করে, এমনকি প্রজননের সময়ও৷
‘‘এটা সম্পূর্ণ অবৈধ ও অসামাজিক,'' বলে মনে করেন আশরাফ হোসেন৷
‘‘সমকামিতা তো পশুদের মধ্যেও নাই, ওরা তো স্বাধীন৷ এর মানে পশুর চাইতেও খারাপ হতে চাচ্ছে মানুষ,'' লিখেছেন সুলতান আহমেদ চৌধুরী৷
তবে পাঠক উজান চাই মনে করেন, ‘‘মানুষের, স্বাধীনতায় বিশ্বাস করা উচিত৷''
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা আশীষ চক্রবর্ত্তী