সাংবাদিকদের উপর কী ধরনের নির্যাতন হচ্ছে, ডয়চে ভেলের এমন এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি দিয়েছেন কিছু উদাহরণ: ‘‘বেসরকারি চ্যানেল দিগন্ত টিভি টক'শো-তে সরকারের খারাপ দিকগুলি তুলে ধরাতে, বন্ধ করে দেয়া হয় তাদের চ্যানেল! একুশে টিভির স্ট্রিট শো-তে কনক সারোয়ার তুলে ধরে ছিল সরকারের প্রতি সাধারণ মানুষের অনীহা৷ তাই তাঁকেও চাকরি হারাতে হয়েছিল৷ বাংলাভিশন-এ মতিউর রহমানের উপস্থাপনায় সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরা হলে, তা-ও বন্ধ করা হয়৷ মতিউর রহমানের উপস্থাপনার টক'শো-তে, ‘আমার দেশ' পত্রিকা ভোট জালিয়াতির তথ্য প্রকাশ করায় তাঁর অফিসে ভাঙচুর চালিয়ে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় মাহমুদুর রহমানকে৷ শুধু তাই নয়, এখনো সাংবাদিক দম্পতি সাগর রুনি হত্যার বিচার হয়নি৷''
বর্তমান সরকারের কার্যকলাপে অসন্তুষ্ট ডয়চে ভেলের ফেসবুক বন্ধু ইসলামও৷ মাহমুদুর রহমানের তিনি বছরের কারাদণ্ডের রায়ে তাঁর মন্তব্য, ‘‘সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যই মামলার রায় দেওয়া হয়েছে!!
-
‘আসুন আমরা সাগর-রুনিকে ভুলে যাই’
ছবিতে বর্বোরোচিত হত্যাকাণ্ড
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনির বর্বোরোচিত হত্যাকাণ্ডের তিন বছর পূর্তিতে এই প্রদর্শনীটির আয়োজন করেছে সাগর-রুনির পরিবার, বন্ধু-বান্ধব ও শুভানুধ্যায়ীরা৷ প্রদর্শনীটি চলবে ২৬শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত৷
-
‘আসুন আমরা সাগর-রুনিকে ভুলে যাই’
স্থান পেয়েছে কবরের ‘এপিটাফ’
সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের তিন বছর পূর্তিতে আয়োজিত আলোকচিত্র প্রদর্শনীর দুই দরজায় সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনির কবরের এপিটাফ-এর একটি আলোকচিত্র৷
-
‘আসুন আমরা সাগর-রুনিকে ভুলে যাই’
‘আমরা তোমাদের ভুলবো না’
‘সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করি’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনীটিতে সাংবাদিক দম্পতির কর্মস্থলের পরিচয়-পত্র৷ ঢাকায় মাছরাঙা টেলিভিশনে যোগ দেয়ার আগে সাগর সরওয়ার কাজ করতেন ডয়চে ভেলেতে আর মেহেরুন রুনি কাজ করতেন বাংলাদেশের বেসরকারি টেলিভিশন ‘চ্যানেল আই’-এ৷
-
‘আসুন আমরা সাগর-রুনিকে ভুলে যাই’
ছোটবেলার সেই দিনগুলো...
সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনির পরিচয়-পত্রের পাশে রুনির ছোটবেলার আলোকচিত্র৷ মেহেরুন রুনির পারিবারিক অ্যালবামের এ সব ছবিও স্থান পেয়েছে প্রদর্শনীতে৷
-
‘আসুন আমরা সাগর-রুনিকে ভুলে যাই’
‘আজও বড় ভালোবাসি তোমায়’
সাগর-রুনি ও তাঁদের একমাত্র শিশুপুত্র মেঘের একটি মর্মস্পর্শী ছবি৷ ছবিটির বামদিকে মেঘের আঁকা বাবার ছবি আর ডানে মায়ের ছবি৷ কোনো এক ‘মা দিবসে’ ছবিটি এঁকেছিল মেঘ, যার পাশে কাঁচা হাতে লেখা – ‘‘ভালোবাসি মা’’৷
-
‘আসুন আমরা সাগর-রুনিকে ভুলে যাই’
চঞ্চল মেঘের প্রশ্নবিদ্ধ চোখ
প্রদর্শনী জুড়ে সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ে মাহির সরওয়ার মেঘের চঞ্চলতা৷ পুরো গ্যালারি জুড়ে আপন মনে খেলে চলা ছোট্ট এই শিশুটির দু’চোখেই যেন বাবা-মা হত্যার বিচারের আকুতি৷ মেঘ কি পাবে বর্বর এ হত্যাকাণ্ডের বিচার?
-
‘আসুন আমরা সাগর-রুনিকে ভুলে যাই’
ছোট্ট মেঘের হাতের কাজ
ডয়চে ভেলেতে কাজের সূত্রে মেঘকে নিয়ে সাগর-রুনির বসবাস ছিল জার্মানিতে৷ সে সময়ে স্কুলের জন্য তৈরি করা মেঘের একটি ছবির অ্যালবাম৷
-
‘আসুন আমরা সাগর-রুনিকে ভুলে যাই’
সত্যি কি আমরা ভুলে যায়নি?
সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের পর প্রকাশিত বাংলাদেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকা৷ আর তার সামনে, দেয়ালে লেখা ‘Let’s Forget Sagar-Runi’ – ‘আসুন আমরা সাগর-রুনিকে ভুলে যাই’৷
-
‘আসুন আমরা সাগর-রুনিকে ভুলে যাই’
হারিয়ে যাওয়া বোনের জন্য...
প্রদর্শনীতে মেহেরুন রুনির ছোটবেলার একটি ছবি বোর্ডে লাগাচ্ছেন ভাই নওশেদ আলম৷ চার ভাই-বোনের মধ্যে রুনি ছিলেন দ্বিতীয় সন্তান৷
-
‘আসুন আমরা সাগর-রুনিকে ভুলে যাই’
দোষীদের খোঁজ পাওয়া যাবে তো?
রুনির আরেক ভাই নওশের রোমান৷ তিনি জানান, ‘‘সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করে সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করতেই এ প্রদর্শনীর আয়োজন৷ এতে পুরো ঘটনার ভয়াবহতা ফুটে না উঠলেও, জঘন্যতম এই অপরাধের প্রতি মানুষের মধ্যে এক ধরনের সচেতনতা সৃষ্টি করার প্রয়াস রয়েছে৷’’
-
‘আসুন আমরা সাগর-রুনিকে ভুলে যাই’
কোথায় গেল সাগরের ল্যাপটপ?
প্রদর্শনীতে সাগর সরওয়ারের ব্যবহৃত ল্যাপটপের পাশে তাঁরই লেখা একটি বই৷ মাঝে প্রতীক হিসেবে রাখা হয়েছে একটি খেলনার পিস্তল৷
-
‘আসুন আমরা সাগর-রুনিকে ভুলে যাই’
চোখে চশমা, মুখে সেই অনবদ্য হাসি
সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের তিন বছর পূর্তিতে আয়োজিত প্রদর্শনীতে মেহেরুন রুনি ও সাগর সরওয়ারের ব্যবহৃত চশমা৷ এ আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে সাংবাদিক দম্পতির বিভিন্ন আলোকচিত্র ছাড়াও দৈনন্দিন ব্যবহার্য জিনিসপত্রও স্থান পেয়েছে৷
-
‘আসুন আমরা সাগর-রুনিকে ভুলে যাই’
আজও কেমন জলজ্যান্ত!
প্রদর্শনীতে আলোকচিত্রের পাশাপাশি দেখানো হচ্ছে ভিডিও ক্লিপও৷ সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের পর নানা ঘটনার ভিডিও-চিত্র দেখানো হচ্ছে প্রজেক্টরে৷
-
‘আসুন আমরা সাগর-রুনিকে ভুলে যাই’
নৃশংসতার প্রতীক
নিহত এই সাংবাদিক দম্পতির প্রতি সম্মান জানাতে এবং একই সাথে পুরো রহস্য উদঘাটনের দাবি জানিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো এই আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন৷ ২০১২ সালের ১১ই ফেব্রুয়ারি পশ্চিম রাজাবাজারে নিজেদের ভাড়া করা ফ্ল্যাটে, অজ্ঞাত আততায়ীদের হাতে নৃশংসভাবে খুন হন তাঁরা৷
-
‘আসুন আমরা সাগর-রুনিকে ভুলে যাই’
নীরবে-নিভৃতে কাঁদে...
মেহেরুন রুনির পুরনো ছবির সামনে অশ্রুসজল মা নুরন নাহার মির্জা৷ সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে আজও নীরবে-নিভৃতে চোখের জল ফেলে চলছেন এই মা৷
-
‘আসুন আমরা সাগর-রুনিকে ভুলে যাই’
সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই
প্রদর্শনীতে সাগর-রুনি ও মেঘের ছবির সঙ্গে ‘সেলফি’ তুলছেন এক দর্শনার্থী৷ সাধারণ মানুষের হৃদয়ে স্থান পাওয়া সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনির হত্যাকাণ্ডের বিচার এখন বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের দাবি৷
লেখক: মুস্তাফিজ মামুন/ডিজি
বিরোধী দল নামক হিজড়াদের নিজেদের বাহুতে রেখে আর অন্য সব দলকে কোণঠাসায় রেখে একনায়কতন্ত্র কায়েম করছে সরকার!!! বাকশাল করে মুজিব টিকেনি, ইনশাআল্লাহ হাসিনাও পারবে না টিকতে!''
নাজমুল ইসলাম নাঈমও এ বিষয়ে একমত পেষ করেন আর তিনি বেশ পরিষ্কারভাবেই লিখেছেন সেকথা৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘এটা অবশ্যই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও নিন্দনীয় কাজ....কারণ বিগত সামরিক সরকার থাকা অবস্থায় সকল দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিদেরকে ধরা হচ্ছিল (এমনকি বাংলাদেশের সবচেয় বড় দুই নেত্রীকেও ছাড়া হয়নি)৷ তখন তৎকালীন সামরিক সরকার মাহামুদুর রহমানের বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতির অভিযোগ আনতে পারে নাই এবং দুর্নীতির কোনো প্রমাণও পায় নাই৷'' ‘‘ভালো মানুষ বাংলাদেশে থাকতে পারবে না'' – বর্তমান সরকার সম্পর্কে মোফাজ্জল হকের এই ধারণা৷
তবে ভিন্নমতও রয়েছে৷ উপরের মন্তব্যগুলো পড়ার পর ফেসবুকবন্ধু মোস্তফা কামালের মন্তব্য এ রকম: ‘‘উপরে উল্লেখিত ভাইদের বলছি, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা উসকানি দাতা....ধর্ম বিক্রেতা একজন চিহ্নিত দুনীতিবাজের সাজা সবার কাম্য৷'' তিনি শেষে লিখেছেন, ‘‘তবে একজনকে বলার আগে নিজেকে নিয়ে একটু ভাবুন৷''
-
প্রতিহিংসা আর ধ্বংসের নির্মম রাজনীতি আর কতকাল
হামলার শিকার সাংবাদিক
বাংলাদেশে সাংবাদিক নির্যাতন এবং হত্যার ঘটনা আগেও ঘটেছে৷ এখনো সাগর-রুনি হত্যার বিচার হয়নি৷ তবে বিরোধী দলের কর্মসূচিতে সাংবাদিকের আহত হওয়ার ঘটনা চলমান আন্দোলনেই প্রথম ঘটছে৷ এ বছর হেফাজত-এ-ইসলামের সমাবেশে প্রহৃত হন সাংবাদিক নাদিয়া শারমিন৷ গত দুই সপ্তাহে হরতাল এবং অবরোধের সময় ককটেল হামলায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন সাংবাদিক৷ ছবিতে নাদিয়া শারমিনের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানাতেচ্ছেন নারী সংগঠন কর্মীরা৷
-
প্রতিহিংসা আর ধ্বংসের নির্মম রাজনীতি আর কতকাল
যানবাহনে আগুন, রেললাইন উপড়ানো
হরতাল-অবরোধ মানেই রাস্তায় যানচলাচল বন্ধ৷ কর্মসূচির এ লক্ষ্য পূরণের পথে বাধা হলে গাড়ি ভাঙচুর এবং আগুন লাগানো বাংলাদেশে অনেক দিন ধরেই স্বাভাবিক ঘটনা৷ তবে গত এক বছরে জ্বালাও-পোড়াওয়ের এই ধ্বংসলীলা অন্য মাত্রা পেয়েছে৷ হরতালের আগের রাতেই শুরু হয়ে যায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ৷ তাই বিরোধী দল ঘোষণা অনুযায়ী কর্মসূচি পালন শুরুর আগেই জনমনে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক৷ ছবিতে মোটর সাইকেলে পেট্রোল ঢালছেন জামায়াত কর্মীরা৷
-
প্রতিহিংসা আর ধ্বংসের নির্মম রাজনীতি আর কতকাল
শিশুরাও অসহায়, নিরাপত্তাহীন
যানবাহনে ঘুমন্ত চালক, হেল্পার বা চালকের সন্তানের আগুনে ঝলসে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে৷ ঢাকা শহর দেখতে এসে লাশ হয়ে বাড়ি ফিরেছে কাভার্ডভ্যান চালকের সন্তান মুনির৷ এমন হতভাগ্যদের তালিকায় আরো নাম যোগ হয়েছে৷ স্কুলে, রাস্তায়, এমনকি বাড়িতেও শিশুদের জীবন সংকটাপন্ন দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউনিসেফ৷ছবিতে সর্বশেষ অবরোধ কর্মসূচির প্রথম দিনে রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে স্লোগানরত জামায়াত কর্মীরা৷
-
প্রতিহিংসা আর ধ্বংসের নির্মম রাজনীতি আর কতকাল
নিরাপত্তা কর্মীদেরও নিরাপত্তার অভাব
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের কারণে রায় ঘোষণার পর নেতাদের শাস্তির আদেশ প্রত্যাহার এবং মুক্তির দাবিতে জামায়াত-ই-ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবির পুলিশের ওপর ব্যাপক হামলা চালিয়েছে৷ হামলায় নিহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী৷ রাজশাহীতে দায়িত্ব পালনের সময় পুলিশ সদস্যের মাথা ইটের আঘাতে থেতলে দেয়া হয়৷ বিরোধী দলের সর্বশেষ অবরোধ কর্মসূচিতেও কর্মরত পুলিশ ও বিজিবি সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন দায়িত্বরত অবস্থায়৷
-
প্রতিহিংসা আর ধ্বংসের নির্মম রাজনীতি আর কতকাল
সংখ্যালঘুদের বাড়ি-মন্দিরে আগুন
সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনায় স্থানীয়ভাবে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদেরও জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে অনেক সময়৷ তবে শীর্ষ নেতাদের শাস্তি ঘোষণার পর জামায়াত ও শিবিরের কর্মীরা সংখ্যালঘুদের বাড়ি-ঘর-মন্দির-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক হামলা চালায়৷ ছবিতে নিজের শিশুসন্তান কোলে সাতক্ষিরার অমিয় দাশ৷ ঘরবাড়িতে লুটপাট, অগ্নিসংযোগের সময় শিশুটিকে আগুনে ছুড়ে মারতে চেয়েছিল শিবির কর্মীরা৷
-
প্রতিহিংসা আর ধ্বংসের নির্মম রাজনীতি আর কতকাল
কবে হবে অবসান!
প্রধান বিরোধীদল বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিকে অগ্রাহ্য করে আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টি ও মহাজোটের শরিক কয়েকটি দল নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করেছে৷ ফলে রাজনীতির মাঠে উত্তেজনা বেড়েছে৷ ৫ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা নিয়ে তফশিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন৷ তারপর থেকে বিরোধী দলের হরতাল, অবরোধ চলছে প্রায় বিরামহীনভাবে৷
লেখক: আশীষ চক্রবর্ত্তী
অন্যদিকে সাজ্জাদ হোসেন সাকু কিন্তু মাহমুদুর রহমানকে দুর্নীতিবাজ হিসেবেই দায়ী করছেন এবং তাঁর সাজা হওয়ার পক্ষেই মত দিয়েছেন৷ ইব্রাহিম নিপু মনে করেন, ‘‘সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা উসকানি দাতা হিসেবে ‘মাহমুদুর রহমানের ফাঁসি হওয়া উচিত৷''
ডয়চে ভেলের ফেসবুক বন্ধু আবদুর রহিম বলছেন, ‘‘মাহমুদুর রহমান একজন কলম সৈনিক আর এই কলম সৈনিক হওয়াই তাঁর জন্য কাল হয়ে দাড়িয়েছে৷''
তিনি আরো জানিয়েছেন, ‘‘যেসব সংবাদমাধ্যম বর্তমান সরকারের পক্ষে কথা বলে, তারা অপরাধ করলে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয় না৷'' ডা. এমরান হোসেন বাংলাদেশের বর্তমান সরকারকে ‘পাগল' বলে মন্তব্য করেছেন৷
অন্যদিকে বিবর্ণ সিফাত মাহমুদুর রহমানকে সাহস দিয়েছেন এভাবে, ‘‘মাহমুদুর রহমান, ভয় নাই, ইতিহাস কাপুরুষ ও বেহায়াদের জন্য নয়৷''
মো. মামুনের কথায়, ‘‘মাহমুদুর রহমান একজন সৎ ও নিখুঁত মানুষ এবং তাঁর সাহসিকতার জন্য তাঁকে সেলুট জানাই৷'' আকবর হোসেনও অনেকের মতো বলছেন যে, মাহমুদুর রহমানের তিন বছরের কারাদণ্ডের রায় একটি রাজনৈতিক মামলা৷
মেনন রাশেদের মতেও এটা রাজনৈতিক ইস্যু৷ ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় তিনি জানিয়েছেন, ‘‘মাহমুদুর রহমান আসলে একজন নীতিবান মানুষ৷ হাসিনা নিজে বেআইনি কাজ করেন এবং তাঁর সরকারের কর্মকাণ্ডও বেআইনি৷''
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ