‘স্ট্রবেরি খুবই সুস্বাদু ফল’ | পাঠক ভাবনা | DW | 22.04.2013
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

পাঠক ভাবনা

‘স্ট্রবেরি খুবই সুস্বাদু ফল’

গ্রিসের স্ট্রবেরি খামারে বাংলাদেশি শ্রমিকদের ওপর গুলিবর্ষণ ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আরও বিস্তারিত রিপোর্ট প্রচারের অনুরোধ করেছেন গোপালগঞ্জের বন্ধু ফয়সাল আহমেদ৷

খুব মন খারাপ করে দেওয়া ছবিঘর ‘মলদোভার নিঃসঙ্গ শিশুরা'৷ ঝকঝকে ১২টি ছবির মধ্য দিয়ে ফুটে উঠেছে মলদোভার দারিদ্র্যপীড়িত শিশুদের নিঃসঙ্গতা আর তাঁদের পিতামাতার অসহায়তা৷ দেখে বুকের ভিতরটা মুচড়ে উঠলো৷ চোখের সামনে ভেসে উঠছে, বাচ্চাগুলো সারা দিনের শেষে অপেক্ষা করছে টেলিফোনটা বেজে ওঠার, আর বেজে ঊঠতেই গভীর আকুতি নিয়ে ছুটে গিয়ে আঁকড়ে ধরছে রিসিভারটা – মায়ের কণ্ঠস্বর শোনার ব্যাকুল আকাঙ্খায়৷ মা-বাবার পাঠানো প্যাকেট এলেই খুলে দেখার আগে বুকে জড়িয়ে ধরে মায়ের স্নেহের ওমটুকু করছে অনুভব৷ সন্তান থেকে ৭ বছর দূরে থাকতে বাধ্য হওয়া লাডমিলার মাতৃহৃদয়ের যন্ত্রনাটা অনুভব করেছি নিজে একজন মা হয়ে৷ আমাকেও কর্মসূত্রে নিজের একমাত্র সন্তানকে ছেড়ে থাকতে হয়েছে দীর্ঘদিন এবং এখনও হচ্ছে৷

আন্দ্রিয়া ডিফেনবাখের আশা, তাঁর তোলা ছবিগুলো পশ্চিম ইউরোপের মানুষদের উৎসাহিত করবে, যাদের বাড়িতে বিদেশি মহিলারা কাজ করেন এবং যাদের সন্তান রয়েছে, তাদের কষ্ট এবং জীবনযাত্রা সম্পর্কে বুঝতে৷ ‘সন্তানকে ভালোবাসেন এমন পিতামাতার প্রতি যে কেউ সহানুভূতিশীল হতে পারেন'৷ ডয়চে ভেলে যেভাবে ছবিগুলি উপস্থাপন করেছে তাতে শুধু পশ্চিম ইউরোপের মানুষই নয়, ভারত ও বাংলাদেশের সংবেদনশীল মানুষেরাও অনুভব করতে পারবেন প্রবাসী মলদোভীয় পিতা-মাতার মানসিক যন্ত্রনার জায়গাটিকে৷ জানি না এই অভাগা শিশুগুলোর শৈশব কীভাবে কাটে, বয়ঃসন্ধিতে মা-বাবার সাহচর্য না পাওয়ার শূন্যতাই বা পূরণ হয় কীভাবে৷ ওলগা, সাবরিনা এবং ক্যারোলিনার মতো ফুলগুলির উপর ঈশ্বর বিশেষভাবে দৃষ্টি দিন যাতে তারা বাধাহীনভাবে অন্য শিশুদের মতোই বিকশিত হতে পারে, এই প্রার্থনা করি ঈশ্বরের কাছে৷ আন্দ্রিয়া ডিফেনবাখ ‘পিতামাতাহীন দেশ' নামক ফটো সিরিজে মলদোভার এরকম শিশুদের ও তাঁদের পিতামাতার কথা জগতের সম্মুখে তুলে ধরে এক অসাধারণ মানবিক কাজ করেছেন৷ ডয়চে ভেলের তাঁদের ছবিঘরের মাধ্যমে ডিফেনবাখের এই কাজকে আমাদের সামনে তুলে ধরার প্রচেষ্টা অত্যন্ত প্রশংসনীয়৷ খুব ভালো কাজ করেছেন৷ সবাই ভালো থাকবেন৷ নমস্কার নেবেন৷ কেকা প্রধান পাঠিয়েছেন এই ই-মেলটি বিপিএইচ.এন, পাথরডিহি বিপিএইচসি, বাগমুন্ডী, পুরুলিয়া থেকে৷

- ধন্যবাদ৷ বন্ধুরা, ছবিঘর সম্পর্কে যদি আপনাদের কোনো প্রস্তাব থাকে জানাবেন৷ আমরা চেষ্টা করবো সে বিষয়গুলো নিয়ে ছবিঘর করার৷ অনেকদিন থেকে হয়ত আপনার ইচ্ছে জার্মানি বা জার্মানদের সম্পর্কে কোনো একটি বিষয়ে জানার, কিন্তু আমাদের কাছে লেখা হয়ে ওঠেনি৷ এবার লিখবেন, কেমন?

‘জার্মান কনসুলেটের বাগানে শৈশবের হুটোপাটি' প্রতিবেদনটি বারবার পড়লাম৷ খুব সুন্দর লাগল৷ জানলাম, কলকাতার জার্মান কনসুলেটের বাগানটি বৃহস্পতিবার সকালে খুলে দেওয়া হয়েছিল বাচ্চাদের একটি নেচার অ্যাক্টিভিটি ক্যাম্পের জন্য৷ সমাজের প্রান্তবাসী জনা দশেক বাচ্চা সেখানে মেতেছিল শৈশবের অমলিন আনন্দে৷ দুটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মধ্যে সমন্বয় ঘটিয়ে সমাজের প্রান্তবাসী বাচ্চাদের জীবনে একমুঠো আনন্দ এনে দেওয়ার জন্য জার্মান কনসাল জেনারেল রাইনার শ্মিডশেনকে কৃতজ্ঞতা জানাই৷ আশা রাখি আগামীদিনেও জীবনের ন্যূনতম সুযোগসুবিধা থেকে বঞ্চিত এইসব শিশুদের পাশে এভাবেই দাঁড়াবে জার্মান কনসুলেট৷ এই সুন্দর প্রতিবেদনটির জন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানাই৷ প্রতিবেদনটি যথার্থই একটি সুন্দর প্রতিবেদন৷ নমস্কারান্তে সুখময় মাজী, গঙ্গাজলঘাটী, বাঁকুড়া, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত থেকে৷

- অনেক ধন্যবাদ সবাইকে, আবারও আপনাদের মতামতের অপেক্ষায় রইলাম৷

সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

নির্বাচিত প্রতিবেদন