তখনই এই বাজার সম্পর্কে একটা ধারণা করে নিয়েছিলাম৷ দেখলাম যা ভেবেছিলাম, এই বাজারের ব্যাপ্তি তার চেয়েও অনেক ব্যাপক৷ জানলাম এই বাজারের ইতিহাস; প্রথম শুরু হয় প্যারিসে ১৮৯০ সালে, আর জার্মানিতে প্রথম হয় হ্যানোফার শহরে ১৯৭৬ সালে৷ অনেক দুষ্প্রাপ্য জিনিস যে এই বাজারে মিলবে, সেটাই স্বাভাবিক৷ তবে শতকরা দশ জন জার্মানের এই বাজার মাসে দু-তিন বার যাওয়া এর ব্যাপক জনপ্রিয়তারই প্রমাণ৷ অবাক হলাম এই তথ্য জেনে যে, এশিয়ার বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের স্ত্রীরাও বন শহরের ফ্লো মার্কটে কেনাকাটা করতেন৷
-
অল্প মূল্যে অনেক ইচ্ছেই পূরণ করা সম্ভব
পুরানো জিনিসের কদর
পুরানো জিনিস কেনার কথা শুনলে যেমন মনে হয়, ব্যাপারটা কিন্তু আসলে সেরকম নয়৷ ব্যবহারযোগ্য জিনিস ফেলে না দিয়ে অল্প পয়সায় বিক্রি করলে অন্য কেউ তা আবার ব্যবহার করতে পারে – সেই ভাবনা থেকেই এই বাজারের আয়োজন৷ জার্মানিসহ বিশ্বের বহু দেশেই পুরনো জিনিস বিক্রির বাজার বসে নিয়মিত৷
-
অল্প মূল্যে অনেক ইচ্ছেই পূরণ করা সম্ভব
আগের ঐতিহ্য তেমন বদলায়নি
ফ্লি মার্কেট বা পুরানো জিনিসের বাজারের উৎপত্তি ফ্রান্সের প্যারিস-এ ১৮৯০ সালে৷ আর জার্মানিতে শুরু হয় প্রথম ১৯৭৬ সালে হানোফার শহরে৷ এতো বছরেও এর ঐতিহ্য তেমন একটা বদলায়নি৷ শুধু পুরানো জিনিসের সাথে যোগ হয়েছে কিছু নতুন জিনিসও৷ ৭০-এর দশকে জার্মানির ফ্লোমার্কট ছিলো অনেকটা ফ্যাশনের মতো, যার ফলে প্রতিটি শহরেই সপ্তাহান্তে এই বাজার বসতো৷
-
অল্প মূল্যে অনেক ইচ্ছেই পূরণ করা সম্ভব
আপনি কি ডাকটিকিট, মুদ্রা অথবা গাড়ির মডেল সংগ্রহ করেন?
যে দেশের মুদ্রা বা ডাকটিকিট অনেকদিন থেকে খুঁজেও কোথাও পাননি – চলে যান এই বাজারে – খানিকটা ঘুরলেই হয়তো পেয়ে যাবেন৷ একটাতে না পেলে নিরাশ হবেন না, কারণ শহরের অন্য এলাকাতেও বসেছে এই খোলা বাজার৷ জার্মানিতে শতকরা ১০ জন মানুষ মাসে দুই থেকে তিনবার – এই বাজারে যায়
-
অল্প মূল্যে অনেক ইচ্ছেই পূরণ করা সম্ভব
বহুদিনের স্বপ্ন পূরণ
আপনার হয়তো অনেকদিনের সখ কোনো বাদ্যযন্ত্র শেখার, কিন্তু ইচ্ছে থাকলেই তো আর হয়না, বাদ্যযন্ত্রের যে প্রচণ্ড দাম! চলে যাওয়া যাক ফ্লোমার্কট-এ, কম পয়সায় সখ মেটানোর সহজ উপায় ৷
-
অল্প মূল্যে অনেক ইচ্ছেই পূরণ করা সম্ভব
মূল লক্ষ্য জ্ঞান অর্জন
জ্ঞান তো আর বেচাকেনা হয়না, অর্জন করতে হয়৷ জ্ঞান অর্জনের সবচেয়ে বড় মাধ্যম বই৷ আর সে বই পুরানো বা নতুন যাই হোক না কেন৷ জ্ঞানের ভাণ্ডার বাড়াতে খুবই কম দামে যত খুশি বই কেনা যায়৷
-
অল্প মূল্যে অনেক ইচ্ছেই পূরণ করা সম্ভব
নতুন জিনিসও পাবেন
আগে ফ্লোমার্কট বলতে শুধু পুরনো জিনিসের বাজার বোঝালেও আজকাল প্রচুর নতুন জিনিস থাকে সেখানে৷ বেশিরভাগ জিনিসই তুরস্ক, পোল্যান্ড বা অন্যান্য দেশ থেকে বিক্রেতারা নিয়ে আসেন৷
-
অল্প মূল্যে অনেক ইচ্ছেই পূরণ করা সম্ভব
সপ্তাহান্তের মিলনমেলা
আসলে এই বাজারকে মিলনমেলাও বলা চলে৷ সবাই যে শুধু কিনতেই যায় তাও কিন্তু নয়৷ থাকে নানা ধরণের খাবারের আয়োজনও৷ আবহাওয়া সুন্দর থাকলে শুধু ঘুরে বেড়ানোতেও অনেক আনন্দ৷ তাছাড়া হঠাৎ পছন্দের কোনো জিনিস ৫০ ইউরোর বদলে ৫ ইউরোতে পাওয়া গেলে মন্দ কি? হলোই বা না হয় একটু পুরানো৷
-
অল্প মূল্যে অনেক ইচ্ছেই পূরণ করা সম্ভব
দুই বান্ধবী
নিয়মিত বাজারে অংশ গ্রহণ করেন এঁরা দু’জন৷ লক্ষ্য শুধু বেচাকেনা নয়, খানিকটা আনন্দও৷ নিজেদের হাতে গড়া গহনা অন্যের হাতে তুলে দিতে আনন্দ হবারই কথা৷ দুই বান্ধবী মিলে ৩০ বছর যাবত এই কাজটিই করছেন অত্যন্ত আনন্দের সাথে৷
-
অল্প মূল্যে অনেক ইচ্ছেই পূরণ করা সম্ভব
কারণ-অর্থনৈতিক মন্দা
ছবিতে দেখা যাচ্ছে, প্রতিটি পোশাকের মূল্য মাত্র ১ ইউরো৷ সারা বিশ্বের অর্থনৈতিক মন্দার কারণে অনেকেই আজকাল ফ্লোমার্কট-এর রীতিমত নির্ভরশীল হয়ে পড়ছেন৷ বিশেষ করে জার্মানিতে থাকা বড় পরিবারের অভিবাসীরা৷
-
অল্প মূল্যে অনেক ইচ্ছেই পূরণ করা সম্ভব
বন-এর ফ্লোমার্কট
এই বাজারটি বন শহরের রাইন নদীর তীরে, যা জার্মানির বড় ফ্লোমার্কটগুলোর একটির মধ্যে পড়ে৷ জার্মানির রাজধানী যখন বন-এ ছিলো, তখন এশিয়ার দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের স্ত্রী’দের এই বাজারে লোভনীয় ক্রিস্টালের জিনিস কিনতে মাঝে মধ্যেই দেখা যেতো৷
-
অল্প মূল্যে অনেক ইচ্ছেই পূরণ করা সম্ভব
বার্লিনের ফ্লোমার্কট
জার্মানির রাজধানী বার্লিন-এর ফ্লোমার্কট দেখে মনে হয় রাজধানীবাসীদের একটু বড় সাইজের জিনিসই বেশি পছন্দ৷
-
অল্প মূল্যে অনেক ইচ্ছেই পূরণ করা সম্ভব
পুরানো স্মৃতি নিয়ে পুরনো জিনিসের বাজারে
কিছুদিন আগেই মারা গেছেন বৃদ্ধের প্রিয়তমা স্ত্রী, রেখে গেছেন তাঁর বহুদিনের সাজানো সংসারের বহু মূল্যবান জিনিস৷ এসব দিয়ে আর কী হবে? বরং নিয়ে যাওয়া যাক ফ্লোমার্কটে – অল্প পয়সায় এসব কিনে অন্য কেউ হয়তো সাজাবেন, তাদেরই মতো সুখের সংসার৷
-
অল্প মূল্যে অনেক ইচ্ছেই পূরণ করা সম্ভব
দাদীর গহনা
এদেশে বৃদ্ধ, বৃদ্ধারা মারা যাওয়ার পর তাদের ছেলেমেয়ে, নাতি-নাতনি বা আত্মীয়-স্বজনরা বাড়ি খালি করতে সাহায্য নেন ফ্লোমার্কট বা ট্র্যোডেল মার্কট-এর৷ এমনও দেখা গেছে, প্রিয় কিশোরী নাতনিটি দাদীর ৩,০০০ ইউরো মূল্যের মুক্তোর মালা ইমিটেশন ভেবে ১০ ইউরোতে বিক্রি করতে পেরেই দারুণ খুশি৷
লেখক: নুরুননাহার সাত্তার
খারাপ লাগল এখানে নতুন জিনিসও বিক্রি শুরু হওয়ার খবরে৷ ভয় হয়, এর ফলে শেষ পর্যন্ত ফ্লো মার্কটের চরিত্রটাই না বদলে যায়৷ আপনাদের সকলকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে শেষ করছি৷ গঙ্গাজলঘাটী, বাঁকুড়া, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত থেকে এই ই-মেলটি পাঠিয়েছেন পাঠক বন্ধু সুখময় মাজী৷
‘দাঁতের মাজন হতে হবে আকর্ষণীয়' – এই প্রতিবেদনটি পড়ে ভালো লাগলেও ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রাশ ব্যবহারকারী মানুষগুলোর কথা মনে পড়ে গেল৷ বেশ কিছুজনের ক্ষেত্রে দাঁতের মধ্যে ঠান্ডা জল লাগলেই অসম্ভব যন্ত্রণা হয়৷ আর দাঁতের ডাক্তারের কাছে দেখালে, তিনি যন্ত্রণা উপশমের ওষুধ দিলে সাময়িকভাবে যন্ত্রণা উপশম হয়ে আবারো আরম্ভ হয়৷ আবার ব্রাশ ব্যবহার না করার জন্য দাঁত মেজে শান্তিও হয় না৷ ফলে অচিরে ভালো দাঁত তুলে ফেলতে হয়৷ আমার প্রশ্ন, এই মাজনের উৎপাদনের সময় কিছু যন্ত্রণা উপশমের ভেষজ প্রয়োগ করা গেলে ব্রাশ ব্যবহারকারীরা স্বচ্ছন্দে ব্রাশ ব্যবহার করতে পারেন৷ আশা রাখি উৎপাদনকারীদের একটু ভাবনা-চিন্তা করতে বলবেন৷ আপনাদের কুশল কামনায় সুহৃত ব্যানার্জী, জৌগ্রাম,বর্দ্ধমান থেকে লিখেছেন৷
১৪ই এপ্রিল রবিবার বাংলাদেশে ও ১৫ই এপ্রিল সোমবার আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে বাংলা নববর্ষের সূচনা৷ এপার বাংলা ও ওপার বাংলা দুই বাংলায় আমাদের সবার প্রিয় ‘পয়লা বৈশাখ'৷ ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগের সকলকে আমার ও আমার পরিবারের পক্ষ থেকে জানাই বৈশাখী শুভেচ্ছা৷
‘পাগলা মনে রঙ্গিন চোখে, নাগরদোলায় বছর ঘুরে/আসলো বছর নতুন বেশে: এসো হে বৈশাখ, এসো এসো' – আপনাদের প্রতিবেদন পড়ে জানতে পারলাম বাংলাদেশে বাঙালির প্রাণের উত্সব বাংলা নববর্ষ উদযাপনে নিরাপত্তার কথা ভেবে সময়ের নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছেন৷ আমার মনে হয়, বাংলাদেশ সরকারের এই সিদ্ধান্ত বাঙালির আবেগের বিচারে সঠিক নয়৷ পান্তা-ইলিশ খেয়ে রাজধানী ঢাকার ঐতিহাসিক রমনা বটমূলে খুশির জোয়ারে মন থেকে বাঙালি বরণ করুক বাংলা নববর্ষ -১৪২০! সুদেষ্ণা বসু, বমনগর, আঁটপুর, রাজবলহাট পোস্ট অফিস, হুগলী, ভারত থেকে৷
- মতামতের জন্য ধন্যবাদ৷ আপনাদের সবাইকে আবারও জানাই নববর্ষের অনেক অনেক শুভেচ্ছা৷
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ