মা-মেয়েকে ধর্ষকের বিচারের দাবি জানিয়ে সাখায়েত সুমন লিখেছেন, ‘‘ভিকটিম পরিবারের সম্মান ফিরিয়ে দিতে হবে, তুফান সহ সকল অপরাধীর সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে ভিকটিম পরিবারকে দিতে হবে৷ আদালত সাক্ষী হাজির নাটক করে সময় পার করা যাবে না৷ এক সপ্তাহের মধ্যে এমন রায় দিতে হবে, যাতে এই বর্বরতা নরপিশাচের মতো কাজ ভবিষ্যতে কেউ না করে৷'' এ ঘটনায় দেশ মধ্যযুগে ফিরে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র৷
গণজাগরণ মঞ্চকে জোর দাবি জানিয়ে এই অনুরোধ করেছেন পাঠক আনিসুর রহমান অনিক৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘গণজাগরণ মঞ্চ যেমন করে রাজাকারদের শাস্তির দাবিতে মাঠে নেমেছিল৷ ঠিক সেইভাবে আন্দোলনে নামবে গণজাগরণ মঞ্চ৷ কারণ মা ও মেয়ের উপর ধর্ষণ ও নির্যাতন – এটা পাকিস্তানি হানাদার বাহীনিকেও হার মানিয়ে দিয়েছে৷ অন্যায়কারী, ধর্ষণকারী, নির্যাতনকারী, যত বড় ক্ষমতাসীন দলের লোক হোক না কেন, এর উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে৷ বাংলার মাটিতে এদের বিচার করে প্রমাণ করতে হবে, বর্তমান সরকার অন্যায় কাজের সমর্থন করে না৷''
-
কেন এত ধর্ষণ? কী করলে কমবে এ জঘন্য অপরাধ?
নারী নির্যাতন সম্পর্কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট
নারী নির্যাতন সম্পর্কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নতুন রিপোর্ট বলছে, বিশ্বের প্রায় এক তৃতীয়াংশ নারী যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন অহরহ৷ তার ওপর পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধের যেসব পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে, সেটাও যথার্থ নয়৷ এছাড়া বিশ্বের মোট নারীর ৭ শতাংশ নাকি জীবনের যে কোনো সময় ধর্ষণের শিকার হয়েছেন৷
-
কেন এত ধর্ষণ? কী করলে কমবে এ জঘন্য অপরাধ?
উন্নত বিশ্বের নারীরাও রেহাই পান না
ধর্ষণ শব্দটি শুনলেই মনে হয় এ ধরণের অপরাধ হয়ে থাকে শুধু অনুন্নত বা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে৷ আসলে কিন্তু মোটেই তা নয়৷ সমীক্ষায় দেখা গেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে ১৫ বছর বয়স হওয়ার আগেই শতকরা ৩৩ জন মেয়ে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়৷ এমনকি জার্মানির মতো উন্নত দেশের নারীরাও যৌন নিগ্রহ বা ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত৷
-
কেন এত ধর্ষণ? কী করলে কমবে এ জঘন্য অপরাধ?
ধর্ষিতা নারীরা জানাতে ভয় পান
জার্মানিতে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত বা ধর্ষিত নারীদের সঠিক পদ্ধতিতে ‘মেডিকেল টেস্ট’-এর ব্যবস্থা করে, এমন একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত স্ত্রী বিশেষজ্ঞ ডা. সোনিয়া পিলস বলেন, ‘‘ধর্ষণের শিকার নারী লজ্জায় এবং আতঙ্কে থাকেন৷ তিনি পুলিশের কাছে গিয়ে সে অভিজ্ঞতা বা ধর্ষক সম্পর্কে তথ্য জানাতে ভয় পান, কুণ্ঠা বোধ করেন৷ অনেকদিন লেগে যায় ধর্ষণের কথা কাউকে বলতে৷
-
কেন এত ধর্ষণ? কী করলে কমবে এ জঘন্য অপরাধ?
ধর্ষককে ধরার জন্য দ্রুত ডাক্তারি পরীক্ষা
ধর্ষণের পর নারীদের কী করণীয় – এ বিষয়ে জার্মানির ধর্ষণ বিষয়ক নির্দেশিকায় কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে৷ যেমন ধর্ষণের পর একা না থেকে কারো সাথে কথা বলা৷ গোসল, খাওয়া, ধূমপান, বাথরুমে যাওয়ার আগে, অর্থাৎ ধর্ষণের চিহ্ন মুঝে না যাবার আগে ডাক্তারি পরীক্ষা করানো৷ এ পরীক্ষা করালে ধর্ষক কোনো অসুখ বা এইচআইভি-তে আক্রান্ত ছিল কিনা, তা জানা সম্ভব৷ নারীর শরীরে নখের আচড় বা খামচি থাকলে ধর্ষকের চিহ্ন সহজেই পাওয়া যায়৷
-
কেন এত ধর্ষণ? কী করলে কমবে এ জঘন্য অপরাধ?
যাঁরা ধর্ষণের শিকার, তাঁদের জন্য জরুরি বিভাগ
ধর্ষক যেসব জিনিসের সংস্পর্শে এসেছে, অর্থাৎ অন্তর্বাস, প্যাড এ সব তুলে রাখুন৷ ছবিও তুলে রাখতে পারেন৷ নিজেকে দোষী ভাববেন না, কারণ যে ধর্ষণের মতো জঘণ্যতম কাজটি করেছে – সেই অপরাধী, আপনি নন৷ জার্মানির বেশ কয়েকটি শহরের হাসপাতালে যৌন নির্যাতন বিষয়ক আলাদা জরুরি বিভাগ রয়েছে৷ তাছাড়া ধর্ষণ সংক্রান্ত নানা প্রশ্নের উত্তর জানতে রয়েছে ‘গেভাল্ট গেগেন ফ্রাউয়েন’, যেখানে ২৪ ঘণ্টাই টেলিফোন করা যায়৷
-
কেন এত ধর্ষণ? কী করলে কমবে এ জঘন্য অপরাধ?
গ্রুপ থেরাপি
যৌন নিগ্রহ বা ধর্ষণের শিকার নারীদের মানসিক ও শারীরিক সমস্যা সমাধানের জন্য জার্মানিতে রয়েছে গ্রুপ থেরাপি, যার সাহায্যে নারীরা আবার সমাজে সহজভাবে মিশতে পারেন এবং তাঁদের জীবনে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনাটি সহজে ভুলে যেতে পারেন৷
-
কেন এত ধর্ষণ? কী করলে কমবে এ জঘন্য অপরাধ?
সবচেয়ে বেশি যৌন অপরাধ হয় বাড়িতেই
ভারতের কোথাও না কোথাও প্রতি ২২ মিনিটে একটি মেয়ে ধর্ষণের শিকার হচ্ছে৷ তাই আদালতের নির্দেশে ভারতের পুলিশ বিভাগ এক সমীক্ষা চালিয়েছিল দিল্লির ৪৪টি এলাকায়৷ চলতি বছরের গত আট মাসে ২,২৭৮টি ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন এবং যৌন অপরাধের তদন্তের ফলাফলে দেখে গেছে: ১,৩৮০টি ক্ষেত্রে অভিযুক্তরা হলেন পরিবারের লোকজন এবং পরিচিতজনেরা৷ অর্থাৎ নিজের বাড়িতেও মেয়েরা নিরাপদ নয়!
-
কেন এত ধর্ষণ? কী করলে কমবে এ জঘন্য অপরাধ?
সঠিক বিচার চাই
২০১৩ সালের ১৬ই ডিসেম্বর দিল্লিতে গণধর্ষণ ঘটনার পর, ভারতে ঘটা করে বিচার বিভাগীয় কমিশন বসিয়ে ধর্ষণ, যৌন নিগ্রহ দমনে আইন-কানুন ঢেলে সাজানো হয়৷ শাস্তির বিধান আরো কঠোর করা হয়৷ কিন্তু তাতে যৌন অপরাধের সংখ্যা না কমে বরং বেড়েছে৷
-
কেন এত ধর্ষণ? কী করলে কমবে এ জঘন্য অপরাধ?
বাংলাদেশে ধর্ষণের শিকার
বাংলাদেশে জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশে ২০১১ সালে ৬২০ জন, ২০১২ সালে ৮৩৬ জন, ২০১৩ সালে ৭১৯ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন৷ চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত, অর্থাৎ মাত্র ছ’মাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৪৩১টি এবং এর মধ্যে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৮২ জন৷ তাছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে অপহরণ করে ধর্ষণ এবং পরে হত্যার ঘটনাও অনেক বেড়েছে৷
-
কেন এত ধর্ষণ? কী করলে কমবে এ জঘন্য অপরাধ?
নারীর পোশাকই কি ধর্ষণের জন্য দায়ী?
বাংলাদেশের একজন পুলিশ কর্মকর্তা একটি মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘‘বাংলাদেশের নারীরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বেপরোয়াভাবে, বেপর্দায় চলাফেলার কারণে ধর্ষণের শিকার হন৷’’ পুলিশের কর্মকর্তার দাবি, ধর্ষণের দায় প্রধানত নারীদের৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘বখাটে ছেলেরা তো ঘোরাফেরা করবেই৷’’ এ কথা শুধু পুলিশ কর্মকর্তার নয়, ভারত-বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থাই এরকম৷ ধর্ষণ বন্ধ করতে এই মধ্যযুগীয় চিন্তা, চেতনার পরিবর্তন প্রয়োজন৷
-
কেন এত ধর্ষণ? কী করলে কমবে এ জঘন্য অপরাধ?
ছোট বেলা থেকে সচেতন করতে হবে
ধর্ষণ সম্পর্কে ছোটবেলা থেকে সঠিক ধারণা দিলে স্বাভাবিকভাবে ধর্ষণের সংখ্যা কমবে৷ তাছাড়া পাঠ্যপুস্তকেও বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া উচিত৷ ধর্ষিতা নারীকে শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণার শিকার হতে হয়, সে সম্পর্কেও সচেতনতা দরকার৷ অনেকে যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন৷ গোটা সমাজও নারীকেই দোষ দিয়ে থাকে৷ ডাক্তারি বা মনস্তাত্ত্বিক সাহায্য ছাড়াও প্রয়োজন পরিবার, বন্ধুবান্ধব ও সমাজের বন্ধুবৎসল আচরণ৷
লেখক: নুরুননাহার সাত্তার
তবে পাঠক মো. আবদুল্লাহ আল-মাসুম গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারকে সরাসরি আক্রমণাত্বক মন্তব্য ছুড়ে দিয়েছেন এভাবে, ‘‘অনুরোধ করব পারলে তোমরা ইয়াবা বিরোধী আন্দোলন করে দেখাও, দেখি তোমার কেমন হিম্মৎ৷''
তবে আহমেদ শাহীনের মতে, ‘‘এরকম ধর্ষক আর পাক হানাদার বাহিনীর মধ্যে কোনো তফাৎ নাই৷''
পাঠক মিনারের ধারণা, এটা নাকি ১৯৭১ সালের প্রতিচ্ছবি৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘দেশে কোনো আইন নেই৷ বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা ও আইনি কাঠামো অনেক দূর্বল৷ অপরাধীর ক্ষমতা ও টাকা থাকলে সাত খুন মাফ হয়৷''
যদিও বাইজিদ হোসেন একটু ভিন্ন কথা বলছেন৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘আমি বলবো, এই মহিলাদেরকে এমন শাস্তি দেওয়া হোক, যেন জনগণ নিজের চোখে দেখে বুঝতে পারে যে অন্যায়ের পরিণাম কত ভয়ানক৷'' তাঁর কথায়, ‘‘ পুরুষ নামের জানোয়ারদেরকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হোক৷''
তবে সুষ্ঠু বিচার বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হয় না বলেই পাঠক রবিনহুড চৌধুরীর ধারণা৷ তিনি ফেসবুক পাতায় লিখেছেন, ‘‘মেয়েদের পোশাকের উপর দোষ চাপিয়ে উলটে ধর্ষিতাকে দোষী বানানোর চেষ্টা করার ফলে বিচার আদৌ হচ্ছে না৷ যার ফলে এইসব নোংরা লোকদের সাহস বেড়েই চলেছে৷''
-
যেসব জনপ্রিয় তারকারা যৌন হয়রানির শিকার
পামেলা অ্যান্ডারসন
‘বে ওয়াচ’ আর ‘প্লেবয়’ পত্রিকার অতি জনপ্রিয় নাম পামেলা অ্যান্ডারসন৷ ১০ বছর বয়সে তাঁর বেবি সিটার পামেলাকে যৌন নির্যাতন করে৷ এরপর মাত্র ১২ বছর বয়সে পামেলার বান্ধবীর এক বড় ভাই-ও তাঁকে ধর্ষণ করেছিল৷
-
যেসব জনপ্রিয় তারকারা যৌন হয়রানির শিকার
মেরিলিন মনরো
হলিউড অভিনেত্রী মেরিলিন মনরোর শৈশব কেটেছে একটি এতিমখানায়৷ আর সেখানেই বহুবার যৌন হয়রানির শিকার হতে হয়েছিল তাঁকে৷
-
যেসব জনপ্রিয় তারকারা যৌন হয়রানির শিকার
লেডি গাগা
জনপ্রিয় পপ সংগীত শিল্পী লেডি গাগা জানিয়েছেন, ১৯ বছর বয়সে ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন তিনি৷ এই ঘটনাকে নিজের গান ‘সোয়াইন’-এ তুলে ধরেছেন তিনি৷ তার চেয়ে ২০ বছরের বড় সেই ধর্ষণকারী একজন প্রখ্যাত সংগীত পরিচালক, যাকে পরবর্তীতে দেখলে গাগা একেবারে স্তব্ধ হয়ে যেতেন৷ অনেক থেরাপি নেয়ার পর এই সমস্যা থেকে মুক্তি পান লেডি গাগা৷
-
যেসব জনপ্রিয় তারকারা যৌন হয়রানির শিকার
অনুরাগ কাশ্যপ
না কেবল নারী তারকারাই নন, পুরুষ তারকারাও ছেলেবেলায় যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন৷ এমনই একজন বলিউডের বিখ্যাত চিত্র-পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপ৷ ১১ বছর ধরে টানা তাঁর উপর যৌন নির্যাতন চলেছিল বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তিনি৷ তবে সেই দুঃস্বপ্নকে পেছনে ফেলে অচিরেই সামনে এগিয়ে গেছেন অনুরাগ৷
-
যেসব জনপ্রিয় তারকারা যৌন হয়রানির শিকার
ম্যাডোনা
বিশ্বখ্যাত পপ শিল্পী ম্যাডোনা ১৯ বছর বয়সে ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন৷ প্রথমবারের মতো নিউ ইয়র্কে এসে তিনি যে অ্যাপার্টমেন্টটি ভাড়া নিয়েছিলেন, সেখানেই এক ব্যক্তি তাংর মুখের সামনে ছুরি ধরে তাঁকে ধর্ষণ করে৷ সেই দুঃসহ স্মৃ্তি আজও ভুলতে পারেন না তিনি৷
-
যেসব জনপ্রিয় তারকারা যৌন হয়রানির শিকার
অপরাহ উইনফ্রে
টিভি সেলিব্রেটি অপরাহ উইনফ্রে মাত্র ন’বছর বয়সে পরিবারের অতি ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তির দ্বারা ধর্ষিতা হয়েছিলেন৷ উইনফ্রেকে তাঁর ১০ থেকে ১৪ বছর পর্যন্ত টানা ধর্ষণ করেছে ঐ ব্যক্তি৷
-
যেসব জনপ্রিয় তারকারা যৌন হয়রানির শিকার
সোফিয়া হায়াত
অভিনেত্রী সোফিয়া হায়াতের শৈশবও খুব একটা সুখকর ছিল না৷ তিনিও যৌন হয়রানির শিকার হয়েছিলেন সেই শৈশবে৷ মাত্র ১০ বছর বয়সে তাঁর এক চাচা তাঁকে যৌন নির্যাতন করেছিল৷
-
যেসব জনপ্রিয় তারকারা যৌন হয়রানির শিকার
আনুষ্কা শংকর
প্রখ্যাত সেতার বাদক রবি শংকরের কন্যা আনুষ্কা শংকর সেতার বাজিয়ে আজ নিজেও বিশ্বনন্দিত৷ পরিবারের অতি ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তির দ্বারা সেই অনুষ্কাও যৌন হয়রানির শিকার হন৷ কিন্তু পরিবারের অতি বিশ্বস্ত হওয়ায় সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে পরিবারকে কিছু জানাতে পারেননি৷ এতে তাঁর শৈশবের দিনগুলো ছিল ভীষণ পীড়াদায়ক৷ এছাড়া তারকা হওয়ার কারণে অনেক খ্যাতিমান ব্যক্তিত্বই তাঁর স্পর্শকাতর অঙ্গ স্পর্শ করেছে বলে জানিয়েছেন আনুষ্কা৷
-
যেসব জনপ্রিয় তারকারা যৌন হয়রানির শিকার
কাল্কি কোচেলিন
এনডিটিভি-র এক অনুষ্ঠানে অনেক তারকা যখন নিজেদের ছোটবেলার মধুর স্মৃতি রোমন্থন করছিলেন, কাল্কি কোচেলিন তখন তুলে ধরেছিলেন নিজের জীবনের এক কষ্টদায়ক অভিজ্ঞতার কথা৷ ছোটবেলায় যৌন হয়রানির ভয়ঙ্কর স্মৃতি তাঁকে এখনো তাড়িয়ে বেড়ায় বলে জানিয়েছিলেন বলিউডের এই অভিনেত্রী৷ নারী অধিকার নিয়ে সর্বদা সোচ্চার কাল্কির অবশ্য স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে খোলাখুলি কথা বলতে কোনোদিনই কোনো সংকোচ ছিল না, আজও নেই৷
লেখক: অমৃতা পারভেজ
পাঠক নয়ন অবশ্য এ সব অন্যায়ের জন্য আওয়ামী লীগকেই দায়ী করছেন৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘বিগত কয়েক বছরে আওয়ামী লীগ থেকে বহু লম্পট তুফানের জন্ম হয়েছে৷ তাই শুধু তুফানের বিচার চাইলে হবে না৷ বরং তুফানের মতো ধর্ষকদের লালনকারী আওয়ামী লীগেরও বিচার চাইতে হবে, যাদের প্রশ্রয় আর নিয়ন্ত্রণহীনতার জন্য আজ সমাজের এই করুন দশা৷''
পারভেজ খান অভিযোগের সুরে প্রশ্ন করেছেন, ‘‘একাত্তরে এ সব কাজ রাজাকাররা করেছে৷ তাঁর প্রশ্ন, কিন্তু এখন কারা করছে?''
অন্যদিকে চিন্ময় রায়ের সোজা দাবি কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক অপরাধীদের৷ হাসিবুল আলম হাসিব ও তাহাবুর আরাফাত এ ব্যাপারে চিন্ময় রায়কে সমর্থন করেছেন৷
এছাড়া ডয়চে ভেলেকে ধন্যবাদ দিয়েছে পাঠক মীর রনি বগুরায় মা ও মেয়েকে ধর্ষণ বিষয়ক লেখা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করার জন্য৷
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ