পাঠক ভাবনায় আমার বহুদিনের একটি পুরনো ছবি দেখলাম, যেটা হুগলি জেলার প্রয়াত শ্রোতা মদন গোপাল মুখার্জীর সাথে তার বাড়িতে তোলা৷ অনেক ধন্যবাদ ডয়চে ভেলেকে৷ এই ই-মেলটি লিখেছেন গোপালগঞ্জের বন্ধু বিধান চন্দ্র টিকাদার৷
ডয়চে ভেলে রেডিও থেকে হারিয়ে গেলেও হারিয়ে যাইনি ইন্টারনেট থেকে৷ যখন ইচ্ছে তখন ঘুরে আসি ডয়চে ভেলের আঙিনা থেকে৷ সেই প্রিয় কণ্ঠগুলো খুঁজি ওয়েবসাইট এবং ফেসবুকের তথ্যমূলক প্রতিবেদনের ভিড়ে৷
৮ তারিখের পুরো অনুষ্ঠানটি মোবাইলে রেকর্ড করে রেখেছি৷ যখনই তোমাদের অনুষ্ঠান শুনতে ইচ্ছে করে, তখনই রেকর্ডিং ফাইলটি প্লে করে মন ভরে শুনে একটু হলেও সান্ত্বনা খুঁজি৷ তবে আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকবে আগে ডয়চে ভেলেতে যে কুইজ প্রতিযোগিতাগুলো ছিলো, তা ভবিষতে বহাল রাখার জন্য৷ এতে শ্রোতারা ডয়চে ভেলের সাথে থাকার আরো আগ্রহ এবং উৎসাহ পাবে৷
-
‘ফিরে দেখা – ডাকে আসা চিঠির যুগ’
মূল লক্ষ্য ডয়চে ভেলে
দুই প্রজন্মের দুই দেশের দু’জন শ্রোতাবন্ধু৷ ডয়চে ভেলের অনুষ্ঠান শোনার মধ্য দিয়ে যাদের বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে৷ হুগলি জেলার প্রয়াত বন্ধু মদন গোপাল মুখার্জী , যিনি বাংলা অনুষ্ঠানের শুরুর সময় থেকেই ডয়চে ভেলের সাথে ছিলেন৷ যার চিঠির প্রায় পুরোটা জুড়েই থাকতো অনুষ্ঠান বিষয়ে গঠনমূলক সমালোচনা৷ যা কর্মীদের অনুষ্ঠান সাজাতে ভাবাতো৷ মদনের বাড়িতে গোপালগঞ্জের বন্ধু বিধান চন্দ্র টিকাদার অনুষ্ঠান বিষয়ে আলোচনা করছেন৷
-
‘ফিরে দেখা – ডাকে আসা চিঠির যুগ’
একসাথে রেডিও শুনবো
প্রায় ১৫ বছর আগে পাঠানো একটি ছবি, তখন এভাবেই ডয়চে ভেলে অনুষ্ঠানের ভক্ত বন্ধুরা গ্রামে সাত সকালে ঘুম থেকে উঠে একসাথে শর্টওয়েভ-এ তাদের প্রিয় অনুষ্ঠান শুনতেন৷
-
‘ফিরে দেখা – ডাকে আসা চিঠির যুগ’
ক্লাবগুলোর মধ্যে একতা
কপিলমুনি, খুলনার সুন্দরবন ইন্টারন্যাশনাল যে ক্লাবটি গঠিত হয়েছিলো প্রায় ২২ বছর আগে৷ ছবিতে ক্লাবের সভাপতি আরশাদ আলী বিশ্বাস, বিকাশ রঞ্জন ঘোষকসহ অন্যান্যদের দেখা যাচ্ছে৷ ক্লাবের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে করা হয়েছিলো বিশাল আয়োজন যাতে অংশ নিয়েছিলো সে সময়ের বেশ কয়েকটি সক্রিয় ক্লাব৷
-
‘ফিরে দেখা – ডাকে আসা চিঠির যুগ’
ডয়চে ভেলেকে চিঠি লিখতে চাই নীরবতা
১৯৯৪ সালে পাঠানো ছবিতে দেখা যাচ্ছে কুড়িগ্রামের শাপলা শর্টওয়েভ শ্রোতাসংঘের সভাপতি আবদুল কুদ্দুস মাষ্টারকে৷ যিনি নিয়মিত অনুষ্ঠান শুনে আমাদের কাছে তার মূল্যবান মতামত পাঠাতেন লম্বা লম্বা চিঠিতে৷ শর্টওয়েভ বন্ধ হয়ে যাবার পর তাঁকে আমরা সেভাবে আর না পেলেও একেবারে হারিয়ে যাননি ডয়চে ভেলে থেকে৷ মাঝে মধ্যে ছোট্ট করে এসএমএস-এ জানিয়ে দেন তিনি আছেন আমাদের সাথে৷
-
‘ফিরে দেখা – ডাকে আসা চিঠির যুগ’
মনে পড়ে ছাত্র জীবনের কথা
কুষ্টিয়ার ফ্রেন্ডস রেডিও লিসনার্স ক্লাব, বর্তমানে যে ক্লাবটি ফ্রেন্ডস ডি-এক্সিং ক্লাব ঢাকা নামে পরিচিত৷ প্রায় ১৩ বছর আগে ক্লাবের সভাপতি সোহেল রানা হৃদয় যখন ছাত্রাবস্থায় ছিলেন তখন ক্লাবের সদস্যদের নিয়ে তোলা এই ছবিটি পাঠিয়েছেন৷
-
‘ফিরে দেখা – ডাকে আসা চিঠির যুগ’
যানবাহনেও ডয়চে ভেলে
সুর সংলাপ রেডিও ক্লাব, যশোরের বন্ধু মো.মুজিবুল হক এই ছবিটি পাঠিয়েছেন ১৯৯৯ সালে৷ রাস্তায় গাড়িতে গাড়িতে ডয়চে ভেলের স্টিকার লাগিয়ে এভাবেই ক্লাবের সদস্যরা ডয়চে ভেলেকে আরো পরিচিত করিয়েছেন, জনপ্রিয় করেছেন৷
-
‘ফিরে দেখা – ডাকে আসা চিঠির যুগ’
ডয়চে ভেলে থেকে পাওয়া উপহার
কালিগঞ্জ, ঝিনাইদহের দিশারী রেডিও শ্রোতাসংঘের পক্ষ থেকে শ্রোতাবন্ধু শামীম উদ্দিন ডয়চে ভেলেকে জনপ্রিয় করতে আয়োজন করেছিলেন একটি প্রতিযোগিতার৷ বিজয়ীদের অন্যান্য পুরস্কারের পাশাপাশি ডয়চে ভেলে থেকে পাঠানো উপহারও তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়৷
-
‘ফিরে দেখা – ডাকে আসা চিঠির যুগ’
সবকিছুতেই ডয়চে ভেলে
মুর্শিদাবাদের কয়েকটি ক্লাব মিলে আন্তর্জাতিক বেতার প্রদর্শনী ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিলো, লক্ষ্য ডয়চে ভেলেকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া৷ ছবিতে বিজয়ী বন্ধু আরতি মজুমদার, ( যিনি ডয়চে ভেলেকে নিয়ে বিস্মৃত ডাক নামে বইও লিখেছেন৷ সহিদুল হকও অন্যান্যদের দেখা যাচ্ছে৷ ছবিটি পাঠিয়েছেন শ্রোতাবন্ধু বিশ্বনাথ মণ্ডল ১০৯৯ সালে৷
-
‘ফিরে দেখা – ডাকে আসা চিঠির যুগ’
পুরানো সেই দিনের কথা
এ ছবিটিও ১৯৯৯ সালে তোলা ডয়চে ভেলের চিঠিপত্র বিভাগে কর্মীদের নিয়ে৷ তখন এভাবেই ডাকে শ্রোতাবন্ধুদের চিঠি এসে পাহাড় জমে যেতো৷ ছবিতে নুরুননাহার সাত্তার সহ হিন্দি, ইংরেজি এবং ইন্দোনেশীয় ভাষার কর্মীদের দেখা যাচ্ছে চিঠিপত্র বিভাগের প্রধান ড.অলিভার স্যোলনারকে৷
-
‘ফিরে দেখা – ডাকে আসা চিঠির যুগ’
আজকের প্রযুক্তি
আগের ছবিগুলো ১০ থেকে ২০ বছরের পুরনো৷ দেখাই যাচ্ছে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানাতে কলকাতার বন্ধু স্বপন চক্রবর্তী প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়েছেন৷ ছবিতে এই মিষ্টি মেয়েটি শ্রোতাবন্ধু স্বপনের ‘সৃষ্টি’৷
লেখক: নুরুননাহার সাত্তার
ডয়চে ভেলের ওয়েবসাইট থেকে জানতে পারলাম ফেসবুক ও ব্লগে ইসলাম অবমাননাকারী শনাক্ত করার জন্য সরকার একটি কমিটি গঠন করেছে৷ এটা খুবই ভালো খবর৷ ধর্ম অবমাননার যথাযথ শাস্তি আমরা সবাই চাই৷ আরেকটি প্রতিবেদন থেকে জানতে পারলাম শি চিনপিং চীনের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছে৷ অভিনন্দন তাঁকে৷ আশাকরি তিনি বাংলাদেশের সাথে সব সময় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখবেন৷ শুভেচ্ছান্তে মো. রাসেল শিকদার (সভাপতি) জ্ঞান বিকাশ কেন্দ্র রেডিও ক্লাব, শ্রীনাথদী, কেন্দুয়া-৭৯০১, মাদারীপুর৷
প্রিয় ডয়চে ভেলে, অনেক কষ্টের পর শেষ পর্যন্ত আমি আমার পুরস্কার রেডিওটি হাতে পেলাম৷ আমি যা পুরস্কার আশা করেছিলাম, তারও থেকেও আপনারা আমাকে বেশি দিয়েছেন৷ আপনাদের অনেক ধন্যবাদ৷ শেখ আবদুল রশীদ, গেওখালী, শুকলারপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, ভারত৷
আগুন চেনেনা ধর্মগ্রন্থ, চেনেনা শিশু, বোঝেনা সংগীতের কদর প্রতিবেদনটি পড়ে একটি কথাই মনে হয় যে, যে রাজনৈতিক দল ধর্মান্ধতার আবেগে আবেগ প্রণোদিত হয়ে মানবিকতা, সহিষ্ণুতা ভুলে হিংসায় উন্মত্ত হয়ে ওঠে৷
বিশেষ রাজনৈতিক মতাদর্শে বিশ্বাসী সেই মানুষ কখনো তাঁদের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে সফল হতে পারেনা৷ তারা বোঝেনা এই সত্যটি, যে মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য৷ এই ই-মেলটি পাঠিয়েছেন সুভাষ চক্রবর্তী, নতুন দিল্লি থেকে৷
আমার পুরস্কার এলটা রেডিও পেলাম, তবে আশ্চর্যের বিষয় কোনো শুল্ক দিতে হয়নি৷ দেওয়ান রফিকুল ইসলাম রানা, হাট নওগাঁ, পাটালীর মোর, নওগাঁ৷
প্রিয় ডয়েচে ভেলে, মার্কিন মুল্লুকে ‘ফিটনেস পার্টির হুজুগ' প্রতিবেদন থেকে জানলাম মার্কিন মুল্লুকে বিশ থেকে ত্রিশ বছর বয়সের মহিলারাই এই পার্টি করার সঙ্গে ফিটনেসে যোগ দেওয়ার সপক্ষে৷ তার মধ্যে নাইট ক্লাবের নর্তকী সুলভ ‘পোল ড্যান্সিং'ও পড়ে৷ এর সুবিধা নাকি একদিকে বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে মিলে সব রকমের বাধা নিষেধকে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখিয়ে মজা করা, অন্যদিকে ঘাম ছোটানো নাচা কোঁদার ফলে এক্সারসাইজ তো হলোই৷ ফিচারটি খুবই মজার৷
কেমন হবে ২৫ বছর পর জার্মানির চিত্র? অসাধারণ! অসাধারণ লেগেছে ২০৩৭ সালের দুনিয়ার কাল্পনিক চিত্র দেখতে৷ তথ্যে ভরপুর ছিল প্রতিবেদনটি৷ এ ধরণের প্রতিবেদন আরো প্রত্যাশা করছি ডয়েচে ভেলের কাছে৷ লিখেছেন মিসেস শাহিনুর খাতুন শিল্পী, প্র/আলহাজ্ব আব্দুল হালিম মাস্টার, সয়াধানগড়া (উত্তর পাড়া) মোল্লাবাড়ী মসজিদ এর কাছে, সিরাজগঞ্জ, বাংলাদেশ থেকে৷
অনেক অনেক ধন্যবাদ সবাইকে মতামত জানানোর জন্য ই-মেল এবং ফেসবুকে৷
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন