‘মিয়ানমারে দৈনিক পত্রিকা ছিল না’ | পাঠক ভাবনা | DW | 03.04.2013
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

পাঠক ভাবনা

‘মিয়ানমারে দৈনিক পত্রিকা ছিল না’

এতদিন অন্যের ই-মেইল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে লিখছিলাম৷ আজ শুধু ডয়চে ভেলের সাথে যোগাযোগ করার জন্যই নিজের ই-মেইল অ্যাকাউন্ট খুললাম৷ এই অ্যাকাউন্ট থেকে এটাই প্রথম চিঠি৷

মিয়ানমারে যে দৈনিক পত্রিকা ছিলো না, এই তথ্যটিই আমার অজানা ছিল৷ আপনাদের সাইটের মাধ্যমেই এ তথ্য অবগত হলাম৷ যাই হোক মিয়ানমারের ইতিহাসে গতকালের দিনটি ‘রেড লেটার ডে' হিসাবেই চিহ্নিত থাকবে৷ তবে এটা অবশ্যই একটা ধাপ মাত্র৷ সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে সে দেশের সামরিক জুন্টা সরকারের মানসিকতার মধ্যেও পরিবর্তন আসছে৷ তাই আগামী দিনে সংবাদমাধ্যম অনেক স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে, মানুষও নিজ দেশের মিডিয়ায় সেন্সরমুক্ত খবরের স্বাদ আস্বাদন করতে পারবেন, এই আশা করা যেতেই পারে৷ আপাতত দৈনিক সংবাদপত্রের স্টলগুলোতে যে বিরাট লাইন পড়বে একথা হলফ করে বলাই যায়৷

‘পোপ ফ্রান্সিস নিজস্ব ধারায় ইস্টার উদযাপন করলেন' নিবন্ধ থেকে বর্তমান পোপের ইস্টার উদযাপনের বিস্তৃত খবর পেয়ে ভালো লাগল৷ নিবন্ধ থেকে পোপের মধ্যে এক সুন্দর মানুষকে আবিষ্কার করা গেল, যিনি হাস্যমুখে কখনো কোলের শিশুদের চুম্বন করেন, কখনো কচিকাঁচাদের মাথা চাপড়ে আদর করে দেন, আবার কখনো নিজ দেশের ফুটবল টিমের জার্সি গ্রহণ করে তা তুলে ধরেন৷ ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের প্রতি শান্তি আলোচনার আহ্বান, সিরিয়ায় ‘রাজনৈতিক সমাধান' এবং কোরিয়া উপদ্বীপে ‘সম্প্রীতির' জন্য প্রার্থনা, নাইজেরিয়ায় জঙ্গিদের হাতে অপহৃত ফরাসি পর্যটকদের কথা স্মরণ, মানুষ পাচারের ব্যবসার নিন্দা, প্রভৃতির মধ্য দিয়ে বিশ্বশান্তির পক্ষে তিনি এক জোরালো সওয়াল করলেন৷

পোপ ফ্রান্সিসকে ধন্যবাদ জানাই, ধন্যবাদ জানাই আপনাদেরও সুন্দর নিবন্ধটির জন্য৷ নিবন্ধের সাথে ভ্যাটিকান প্রাসাদের ছবিটি অসাধারণ৷ সবাই ভালো থাকবেন৷ নমস্কার নেবেন৷ বিস্তারিত মতামত জানিয়ে এই ই-মেলটি পাঠিয়েছেন আমাদের নতুন পাঠক বন্ধু কেকা প্রধান, পাথরডিহি বিপিএইচসি, পুরুলিয়া, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত থেকে৷

গতকাল এলটা রেডিও পেলাম, রেডিওটি হাতে পেতে আমাকে কোন শুল্ককর দিতে হয়নি৷

আমি প্রতিদিন ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগের ওয়েবসাইট ভিজিট করি৷ ডয়চে ভেলের ওয়েবসাইট যেন জ্ঞানের ভান্ডার৷ এ মাসের ১৩ তারিখ থেকে যে টিভি অনুষ্ঠান হতে যাচ্ছে তা প্রতি শুক্রবার প্রচার করার অনুরোধ করছি৷ দেওয়ান রফিকুল ইসলাম, পাটালির মোর, নওগাঁ, বাংলাদেশ৷

মহাশয়/মহাশয়া, উত্তর কোরিয়া নেতৃত্বের কূটনৈতিক ব্যর্থতাও বটে৷ উত্তর কোরিয়া ক্রমশই একঘরে হয়ে পড়েছে৷ অথচ কমবয়সী প্রেসিডেন্টের তাতে খুব একটা হেলদোল নেই৷ একদিকে দক্ষিণ কোরিয়া এবং আমেরিকার সেনাবাহিনীর যৌথ মহড়া, অপরদিকে উত্তর কোরিয়ার একের পর এক হুমকি – দুয়ে মিলে কোরিয়া উপদ্বীপে উত্তেজনার পারদ চড়চড় করে চড়ছে৷ কেউ বুঝছে না, যুদ্ধ বাধলে সবার বিপদ, সবার ক্ষতি৷ পৃথিবী দু দু'টো মহাযুদ্ধের ধ্বংসলীলার সাক্ষী, হিরোশিমার বীভৎসতার সাক্ষী, তাই আর যুদ্ধ চাই না৷ সবার মধ্যে সুচেতনা জাগ্রত হোক, এই কামনা করি৷

‘উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে টানটান উত্তেজনা' প্রতিবেদনটি পড়ে শঙ্কিত বোধ করছি৷ উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট সম্বন্ধে যেটুকু জেনেছি, তাতে তাঁকে খুব উদ্ধত প্রকৃতির হঠকারী যুবক বলেই মনে হয়েছে৷ বন্ধু রাষ্ট্র চীনের কথাও খুব একটা শুনতে তিনি আগ্রহী বলে মনে হয় না৷ তাই চীন এবার উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের বিরোধিতা না করে সমর্থন করেছে৷ রাশিয়ার অবস্থানও একই রকম৷

‘পশ্চিমবঙ্গে জার্মান সংসদের ভাইস প্রেসিডেন্ট' প্রতিবেদন থেকে জার্মান প্রতিনিধিদলের পশ্চিমবঙ্গ সফরের খবর জানতে পেরে খুশি হলাম৷ স্থানীয় সংবাদপত্রে যদিও এ সম্বন্ধে খবর প্রকাশিত হয়েছে, কিন্তু সমস্ত দিক কভার করা এই প্রতিবেদনটি পড়ে ভালো লাগল৷ আপনারা আমার অনেক অনেক প্রীতি ও শুভেচ্ছা নেবেন৷

১লা এপ্রিল ‘ম্যার্কেলের দাদা জার্মানির বিরুদ্ধে লড়েছিলেন' প্রতিবেদনটি চমকপ্রদ লাগল৷

যিনি একদিন জার্মানির বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেছিলেন, তাঁরই নাতনি আজ জার্মানির কর্ণধার৷ ব্যাপারটা কম মজাদার নয়৷ তবে ভারতবর্ষে বা বাংলাদেশে এমন ঘটনা ঘটলে ব্যাপক আলোড়ন পড়ে যেত, এমনকি চ্যান্সেলরের গদি নিয়ে টানাটানি হওয়াও অসম্ভব কিছু ছিল না৷ জার্মান জনগণ বিষয়টি কী চোখে দেখছে, জানার ইচ্ছা রইল৷ নমস্কারান্তে ইতি, সুখময় মাজী, গঙ্গাজলঘাটী, বাঁকুড়া, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত থেকে৷

ধন্যবাদ সবাইকে৷

সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

নির্বাচিত প্রতিবেদন