ডয়চে ভেলে’র একজন গুণমুগ্ধ শ্রোতা হিসেবে গত ইনবক্স’এ ভারত-বাংলাদেশের কয়েকজন শ্রোতার কথোপকথন ভীষণ ভালো লাগলেও তাই একটু হলেও চমকিত হয়েছি৷
আশরাফুল ইসলাম, অন্বেষা বেতার শ্রোতা সংঘ, জয়সিদ্ধি, কিশোরগঞ্জ, বাংলাদেশ থেকে লিখছেন, ডয়চে ভেলে'র অনুষ্ঠানের মান এখন এতটাই ভালো হয়েছে যে, আগে যেখানে আমরা শ্রোতারা নিজের গাঁটের পয়সা খরচ করে হৃদয়ের টানে টেলিফোন করে অনুষ্ঠানের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করতাম, ভয়েস মেল'এ নিজেদের মতামত জানাতাম কিংবা ভারত-বাংলাদেশের শ্রোতারা একসঙ্গে মোবাইল কনফারেন্সে অনুষ্ঠানকে ঘিরে নিজেদের আবেগ-অনুভূতি প্রকাশের উন্মাদনায় মত্ত হতাম, সেখানে আজ ডয়চে ভেলে'কেই শ্রোতাদের ফোন করে অনুষ্ঠান সম্পর্কে মতামত নিতে হচ্ছে৷
এছাড়া আগের ইনবক্স'এ এক ডি-এক্সার বন্ধুর প্রশ্নের জবাবে ডয়চে ভেলে'র ওয়েবসাইট থেকে পুরনো ক্লাবের ছবিগুলো সরানোর কথা জানানো হলো৷ এমন জবাবে অবাক না হয়ে পারলাম না৷ যে শ্রোতাক্লাবগুলোর নিরলস পরিশ্রম আর ভালোবাসা ডয়চে ভেলে'কে নিরন্তর পথচলায় অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে, সেসবের স্মারক হিসেবে তাদের কর্মকাণ্ডের ছবিগুলো ওয়েবসাইটে স্থান দেওয়া হয়৷ সেসব ছবি অপসারণের উদ্যোগ গ্রহণের ঘোষণা ডয়চে ভেলে দিতে পারলো! ডয়চে ভেলে যেন ভুলেই গেছে, শ্রোতাদের জন্যই অনুষ্ঠান, অনুষ্ঠানের জন্য শ্রোতা নয়৷
- ব্যাপারটি ঠিক বুঝলাম না৷ আগে ফোন করা হয়ে উঠতো না বলে এখন যদি আমরা কষ্ট করে ফোন করি, শ্রোতাদের মতামত নেয়ার চেষ্টা করি, তাহলে সেটা খারাপ? তাছাড়া, পুরনো ছবির বদলে নতুন ছবির দেয়ার কথা বলা হয়েছিল৷ যাতে সকলের ছবিই ওয়েবসাইটে জায়গা পায়৷ পুরানোকে অস্বীকার করার কথা কিন্তু কখনই বলা হয় নি৷
সংকলন: দেবারতি গুহ
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন