1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অধরাসহ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইন বন্ধের আহ্বান

১৪ জুলাই ২০২৩

আরটিভির সাংবাদিক অধরা ইয়াসমিনের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের জেরে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলার তদন্ত বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানিয়েছে ‘কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস' সিপিজে৷

https://p.dw.com/p/4TsWe
(ফাইল ফটো)ছবি: bdnews24.com

সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় সোচ্চার আন্তর্জাতিক সংগঠন সিপিজে একই সঙ্গে সাংবাদিকদের ভয়ভীতি দেখাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ব্যবহার বন্ধেরও আহ্বান জানিয়েছে৷ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এসব আহ্বান জানায় সিপিজে৷

চট্টগ্রামের সাইবার ট্রাইব্যুনালে গত ১৩ মে সাংবাদিক অধরা ইয়াসমিন ও তার সোর্সের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়৷

এর আগে গত ৩০ এপ্রিল আরটিভিতে অধরার একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রচার করা হয়৷ ওই প্রতিবেদনে তিনি রাজারবাগ দরবার শরীফ ও এর নেতা শাকেরুল কবিরের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের কথা প্রকাশ করেন৷ এ কারণে সংক্ষুব্ধ এক ব্যক্তি চট্টগ্রামের আদালতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন৷ এ বিষয়ে মামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত এক ব্যক্তি নাম গোপন রাখার শর্তে সিপিজের সঙ্গে কথা বলেন৷

মামলায় সাংবাদিক অধরা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের তিনটি ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে৷

অন্যদিকে তদন্তে অধরা ইয়াসমিন বলেছেন, শাকেরুল কবিরের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, জমি দখল ও নারীর প্রতি সহিংসতার অভিযোগ রয়েছে৷

সিপিজের বিবৃতিতে বলা হয়, ২০১৮ সালে বাংলাদেশেডিজিটাল নিরাপত্তা আইন  কার্যকর হয়৷ এর পর থেকে বিভিন্ন সময় সাংবাদিকদের হয়রানি করতে এই আইনের ব্যবহার দেখা গেছে৷ চলতি বছরের মার্চে প্রথম আলোর সাংবাদিককে (শামসুজ্জামান শামস) গ্রেপ্তার করে তার বিরুদ্ধে এই আইনের আওতায় একাধিক তদন্ত শুরু করা হয়৷ এই পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক সংবাদপত্রের নেতৃত্ব ও কর্মীদের ওপর এই আইনের ব্যবহার বন্ধে কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন৷

সিপিজে ও অন্যান্য অধিকার সংগঠনগুলোও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন স্থগিত করার আহ্বান জানিয়েছে৷

বিবৃতিতে সিপিজের প্রোগ্রাম পরিচালক কার্লোস মার্তিনেজ দে লা সেরনা বলেন, আতঙ্কের বিষয় এটা যে বাংলাদেশি সাংবাদিক অধরা ইয়াসমিনকে তার কাজের জন্য কঠোর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে৷ অবিলম্বে কর্তৃপক্ষকে অধরা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে চলা তদন্ত বন্ধ করতে হবে৷

সাংবাদিকদের  হয়রানি করতে এই আইনের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে৷ নিশ্চিত করতে হবে যে অধরা ইয়াসমিন তার কাজের জন্য রোষের শিকার হবেন না৷

সিপিজে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য রাজারবাগ দরবার শরীফ ও এর নেতা শাকেরুল কবির ও ইয়াসমিনের মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মুহাম্মদ রফিকুল ইসলামকে ফোন করেছে ও বার্তা পাঠিয়েছে৷ তবে তারা কোনো উত্তর দেননি৷

এনএস/জেডএইচ (প্রথম আলো)