1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আরো ডানদিকে ঝুঁকছে জার্মানি

১০ অক্টোবর ২০২৩

দু'টি রাজ্যের নির্বাচনে ধাক্কা খেয়ে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজের দল এসপিডি ও তাদের জোটসঙ্গীরা চিন্তিত৷ অভিবাসন ও রাজনৈতিক আশ্রয় বিষয়ে কড়াকড়ি বাড়াতে পারে তারা৷

https://p.dw.com/p/4XKjq
Landtagswahl Hessen - Wahlparty AfD Alice Weidel
ছবি: Helmut Fricke/dpa/picture alliance

রোববার জার্মানির দুটি রাজ্য হেসেন ও বাভারিয়ার নির্বাচনে হারের মুখোমুখি দেশের ক্ষমতাসীন দল এসপিডি বা সোশাল ডেমোক্র্যাট পার্টি ও তার জোটসঙ্গীরা৷ এটাই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে সবচেয়ে খারাপ নির্বাচনী ফলাফল এই দলের৷

অন্যদিকে, ডানপন্থি দল এএফডি (বা অল্টারনেটিভ ফর ডয়েচল্যান্ড), যাকে জার্মান গোয়েন্দা সংস্থা সংবিধানবিরোধী বলে থাকে, সেই দলটি এই দুই রাজ্যে তাদের প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা বাড়িয়েছে৷ বাভারিয়াতে ১৪ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট পেয়ে তারা তৃতীয় স্থানে, হেসেনে ১৮ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে৷

হেসেনে জয়ী হয়েছে সিডিইউ বা ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়ন, বাভারিয়াতে সিএসইউ বা ক্রিশ্চিয়ান সোশালিস্ট ইউনিয়ন৷ এই দুটি দলই এই রাজ্যে এৱ আগে থেকেই ক্ষমতায় রয়েছে৷ রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বিশেষজ্ঞ কার্ল -রুডল্ফ কোর্টে জার্মান সংবাদমাধ্যম জেডডিএফকে বলেন, ‘‘জার্মান রাজনীতিতে মধ্যপন্থি দলগুলি চিরকালই দাপিয়ে বেড়িয়েছে৷ কিন্তু এখন ডানদিকে ঝোঁকার চল শুধু মানুষের মননে নয়, ভোটের হিসাবেও ধরা পড়ছে৷''

অভিবাসন ইস্যুতে বিভক্ত জার্মানি

এএফডি তার নির্বাচনী প্রচারের কেন্দ্রে রাখে অভিবাসন ও রাজনৈতিক আশ্রয় নীতির কথা৷ যাদের আশ্রয়ের আবেদন খারিজ হয়েছে, এমন লাখ লাখ মানুষকে জার্মানি থেকে ফেরত পাঠাতে চায় তারা৷ তারা বছরের পর বছর ধরে ইসলাম ধর্মাবলম্বী ও অভিবাসীদের বিরুদ্ধে মত তৈরি করতে কাজ করে আসছে, বিশেষ করে যারা আফ্রিকা বা মধ্যপ্রাচ্য থেকে জার্মানিতে আসছে৷ দেশে দক্ষ কর্মীর অভাব থাকলেও অভিবাসনের ইস্যুতে এএফডি শক্ত অবস্থান নিয়েছে৷

এই অবস্থানেই তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন বহু ভোটার, জানাচ্ছে নির্বাচনী পরিসংখ্যান সংস্থা ইনফ্রাটেস্ট ডিম্যাপ৷ তরুণ ভোটাররাও এই শর্তেই তাদের ভোট দিচ্ছেন বলে জানাচ্ছে তারা৷

বর্তমান পরিস্থিতি অন্য দলের ভূমিকা

গত কয়েক মাসে জার্মান রাজনীতিতে নতুন করে চাঙ্গা হচ্ছে অভিবাসনের বিষয়টি৷ ইতিমধ্যেই যাদের আশ্রয়ের আবেদন খারিজ হয়েছে, তাদের ফেরত পাঠানোর জন্য চাপ বাড়ছে৷ একইসাথে, তাল মিলিয়ে বাড়ছে দেশে আসা মানুষের সংখ্যা৷

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর মাসে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ আশ্রয় আবেদন করেছেন, যা গত বছরের তুলনায় অনেকটাই বেশি৷

একাধিক দল থেকে উঠছে আশ্রয় দেবার সর্বোচ্চ সংখ্যা নির্ধারণের কথা৷ নির্বাচনের পরের দিনই সিডিইউ ও সিএসইউর তরফে শলৎজ সরকারকে তৎপর হতে বলা হয়৷ সংবাদমাধ্যম এআরডিকে এবিষয়ে সিডিইউ সচিব কারস্টেন লিনেমান বলেন যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় ব্যাপক চাপ পড়ছে৷ বেশি সংখ্যায় শরণার্থী ও অভিবাসী থাকার ফলে বেশ কিছু স্কুলেও চাপ পড়ছে শিক্ষকদের ওপর, কারণ তারাও সংখ্যায় অপর্যাপ্ত৷

এসপিডির পক্ষে সাসকিয়া এসকেন কথা দিয়েছেন যে এসব তারা খতিয়ে দেখছেন৷ সোমবার তিনি বলেন, ‘‘ইতিমধ্যেই চ্যান্সেলর শলৎজ বিভিন্ন রাজ্যগুলির সাথে কথা বলেছেন, তিনি সিডিইউ ও সিএসইউর সাথে মিলে কাজ করতে চান৷''

সমাজকর্মীদের মতে, অভিবাসী ও শরণার্থী বিষয়ে ভীতি না ছড়িয়ে বদলে ‘তথ্যসমৃদ্ধ ও গঠনমূলক' আলোচনার মাধ্যমে সমাধান আসুক জার্মানিতে৷

হান্স ফাইফার/এসএস