1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিইসরায়েল

ইউএনআরডাব্লিউএ বন্ধের আবেদন নেতানিয়াহুর

১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি মানবাধিকার গোষ্ঠী গাজায় কাজ করছে। সেই গোষ্ঠীকেই বাতিল করার প্রস্তাব দিলেন নেতানিয়াহু।

https://p.dw.com/p/4buGU
গাজায় ইউএনআরডাব্লিউএর সদরদপ্তর
গাজায় কাজ করা জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডাব্লিউএ বাতিলের প্রস্তাব দিয়েছেন নেতানিয়াহুছবি: picture alliance/dpa/APA/ZUMA Press Wire

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু আগেই অভিযোগ করেছিলেন যে, ইউএন রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি ফর প্যালেস্টাইন রিফিউজিস (ইউএনআরডাব্লিউএ) সরাসরি হামাসকে সাহায্য করছে। তাদের বহু কর্মী ৭ অক্টোবরের আক্রমণের সঙ্গে যুক্ত ছিল। বস্তুত, নেতানিয়াহুর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ইউএনআরডাব্লিউএ তাদের ১২ জন কর্মীকে বরখাস্ত করেছে বলে মঙ্গলবারই জানিয়েছিল। তাদের বিরুদ্ধে তদন্তও শুরু হয়েছে।

বুধবার নেতানিয়াহু বলেছেন, গোটা ইউএনআরডাব্লিউএ ত্রুটিপূর্ণ। হামাসের সঙ্গে তারা সরাসরি জড়িত। তাই তাদের বাতিল করে দেওয়া উচিত। তাদের কাজ বন্ধ করে দেওয়া উচিত।

বুধবার জেরুসালেমে জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূত গেছিলেন। সেখানেই নেতানিয়াহু বলেছেন, ''আরো অনেক সংস্থা আছে, যারা মানবাধিকারের কাজ করে। জাতিসংঘের নিজের আরো অনেক সংস্থা আছে। তাদেরকে গাজায় নিয়ে আসা হোক। ইউএনআরডাব্লিউএ-কে বন্ধ করা হোক।''

নেতানিয়াহুর এই অভিযোগের পর জার্মানি, জাপান, অ্যামেরিকা-সহ একাধিক দেশের সাহায্যকারীরা গাজায় অর্থ পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছে। তাদের সঙ্গে নিউইয়র্কে বৈঠকে বসার কথা জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেসের। তার আগে আবারও ভয়াবহ অভিযোগ করলেন নেতানিয়াহু।

জাতিসংঘের অবস্থান

জাতিসংঘের বক্তব্য, গাজার পরিস্থিতি ভয়াবহ। এই অবস্থায় একমাত্র ইউএনআরডাব্লিউএ গোষ্ঠীটিই সেখানে কাজ করতে সক্ষম। কারণ তারা প্রতিটি এলাকা চেনে। কোথায় কতটা সাহায্য দেওয়া প্রয়োজন, তা তারা জানে। ইতিমধ্যেই ইসরায়েলের আক্রমণে তাদের বেশ কিছু কর্মীর প্রাণ গেছে। তার পরেও তারা কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। গুতেরেস জানিয়েছিলেন, নেতানিয়াহুর অভিযোগ পাওয়ার পর তিনি বেশ কিছু কর্মীকে বরখাস্ত করেছিলেন। তার নির্দেশেই তদন্ত কমিটি তৈরি হয়েছে।

গাজায় আরো সাহায্য প্রয়োজন

এদিকে বুধবার জাতিসংঘ আবার জানিয়েছে যে, গাজায় আরো বেশি মানবিক সাহায্যের প্রয়োজন। এই পরিস্থিতিতে সাহায্যকারী সংস্থাগুলি অর্থ দেওয়া বন্ধ করে দিলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবে। দ্রুত ওই সংস্থাগুলির সঙ্গে কথা বলা প্রয়োজন বলে মনে করছে জাতিসংঘ।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)