1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিইউক্রেন

ইউক্রেনকে আরো মার্কিন অস্ত্র সাহায্য

১১ নভেম্বর ২০২২

ইউক্রেনকে আরো ৪০ কোটি ডলারের অস্ত্র সাহায্য করবে অ্যামেরিকা। এক শীর্ষ মার্কিন জেনারেলের দাবি, যুদ্ধে রাশিয়ার এক লাখ সেনা হতাহত হয়েছে।

https://p.dw.com/p/4JMhv
ইউক্রেনকে আরো অস্ত্র সাহায্য দিচ্ছে অ্যামেরিকা।
ইউক্রেনকে আরো অস্ত্র সাহায্য দিচ্ছে অ্যামেরিকা। ছবি: piemags/IMAGO

ইউক্রেনকে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সহ আরো কিছু সামরিক সরঞ্জাম দিচ্ছে অ্যামেরিকা। দেয়া হবে আর্থিক সহায়তাও। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, নতুন করে ৪০ কোটি ডলারের প্যাকেজ দেয়া হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভান বলেছেন, ইউক্রেনকে হক এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের জন্য ক্ষেপণাস্ত্র দেয়া হবে। তাদের অ্যাভেঞ্জার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমও দেয়া হবে। এই সিস্টেমের সঙ্গেও ক্ষেপণাস্ত্র থাকবে৷

পেন্টাগন জানিয়েছে, ইউক্রেনকে হাই মোবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেম ও অন্য অস্ত্রও দেয়া হবে। তার মধ্যে আছে, চারশ গ্রেনেড লঞ্চার, ঠান্ডা আবহাওয়ার জন্য প্রোটেকটিভ গিয়ার, একশটি হাই মোবিলিটি মাল্টিপারপাস হুইলড ভেহিকেল।

একদিন আগেই রাশিয়া জানিয়েছিল, তারা খেরসন থেকে নিপ্রো নদীর পূর্ব তীরে চলে যাচ্ছে। সালিভান জানিয়েছেন, তারাও খেরসন থেকে রুশ সেনা সরে যাওয়ার কিছু চিহ্ন দেখতে পাচ্ছেন। তবে তিনি বলেছেন, রাশিয়া কিছু এলাকা থেকে সেনা সরিয়ে নিচ্ছে বলে এটা ভাবা ভুল হবে যে, যুদ্ধ এবার শেষ হচ্ছে।

সালিভান বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে অবিলম্বে আলোচনায় বসার জন্য অ্যামেরিকা ইউক্রেনকে কোনো চাপ দিচ্ছে না।

‘এক লাখ রুশ সেনা মৃত বা আহত’

অ্যামেরিকার শীর্ষস্থানীয় জেনারেল মার্ক মিলি দাবি করেছেন, ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে রাশিয়ার এক লাখ সেনা হয় মারা গেছেন বা আহত হয়েছেন। সম্ভবত ইউক্রেনেরও সমপরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

তার মতে, সামরিক দিক থেকে কেউই জয়ী নয়। তাই এখন আলোচনার সম্ভাবনা বাড়বে। তবে তার আগে দুই পক্ষকেই স্বীকার করে নিতে হবে যে, যুদ্ধ করে কোনো পক্ষই জয় পাবে না। এখন অন্য রাস্তায় হাঁটতে হবে।  তাই আলোচনার একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

জেলেনস্কির দাবি

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি দাবি করেছেন, তার সেনা দক্ষিণ ইউক্রেনে সমানে এগিয়ে যাচ্ছে এবং তারা ৪১টি জনবসতিকে মুক্ত করেছে।

ভিডিও বক্তৃতায় জেলেনস্কি বলেছেন, ''আজ দক্ষিণ প্রান্ত থেকে ভালো খবর এসেছে। আমরা আনন্দিত। তবে  আমাদের এটাও মনে রাখতে হবে,  ইউক্রেনের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য প্রচুর নাগরিক প্রাণ দিয়েছেন।'' ইউক্রেনের সেনা এখন খেরসনের কাছে পৌঁছে গেছে।

বৃহস্পতিবার রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, রাশিয়ার সেনা খেরসন থেকে সরে এসে নিপ্রো নদীর পূর্ব তীরে চলে যাবে।

জেলেনস্কি বলেছেন, ‘‘শত্রুরা আমাদের জন্য উপহার নিয়ে আসেনি। তারা সৌজন্যমূলক কোনো ব্যবহার করছে না এটা মনে রাখতে হবে।  ইউক্রেনের অসংখ্য মানুষ প্রাণ দিয়েছেন। ইউক্রেন যদি কোনো সুবিধা পায়, তাহলে তাদের জীবনের বিনিময়ে পাবে।’’

জেলেনস্কির পরামর্শদাতা বলেছেন, ‘‘রাশিয়া খেরসনকে মৃতের শহরে পরিণত করতে চেয়েছে। সর্বত্র রাশিয়া মাইন পেতে রেখেছে। আবাসন, নিকাশি নালা, রাস্তাঘাট সর্বত্র মাইন পাতা। আর নদীর পূর্ব তীর থেকে রাশিয়ার কামান সমানে গোলা মেরে শহর ধ্বংস করে দিতে পারবে।’’

তবে যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দাদের মতে, ইউক্রেন যেভাবে রাশিয়ার সাপ্লাই রুট বন্ধ করে দিচ্ছে, তাতে রুশ সেনা বাধ্য হয়ে খেরসন ছেড়েছে। তবে ইউক্রেনের সেনা যাতে দ্রুত খেরসন আসতে না পারে, তার জন্য মাইন পাতা হয়েছে, রাশিয়ার সেনা  ব্রিজও ধ্বংস করেছে।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বৃহস্পতিবার জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। তিনিও মনে করেন, খেরসনে খুব সাবধানে যেতে হবে ইউক্রেনের সেনাকে।

কিয়েভ থেকে ডিডাব্লিউর প্রতিনিধি লিক কনোলি বলেছেন, ‘‘রাশিয়া তাদের কৌশল বদল করেছে। রাশিয়া অন্য জায়গায় যে কৌশল নিয়েছে, তার সঙ্গে খেরসনের কৌশল মিলছে না। তাই ইউক্রেনের মানুষ মনে করছেন, রাশিয়া নতুন করে একটা ফাঁদ পেতেছে।’’

জিএইচ/এসি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)