1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এফআইআরে তাদের নাম, হাইকোর্টের দ্বারস্থ ইডি

১০ জানুয়ারি ২০২৪

রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে মার খেতে হয়েছিল তাদের। এবার তাদের নামেই এফআইআর। বিচার চেয়ে হাইকোর্টে ইডি।

https://p.dw.com/p/4b3D3
হাসপাতালে আহত ইডি অফিসার
সন্দেশখালিতে আক্রান্ত ইডি অফিসারছবি: privat

গত শুক্রবার রেশন দুর্নীতি মামলার গুরুত্বপূর্ণ নথি সংগ্রহ করতে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সন্দেশখালিতে গেছিলেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) কর্মকর্তারা। সেখানে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল তাদের। কিন্তু রাস্তাতেই তাদের উপর হামলা হয়। তাদের গাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়। শারীরিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হন ইডি অফিসারেরা।

এই ঘটনার পরেই পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হয়, যে ইডি কর্মকর্তারা ওই দিন সেখানে গেছিলেন, তাদের একজনের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত করছে। অর্থাৎ, তাকে ক্লিন চিট দেয়া যায় না। এরপরেই ওই ইডি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পাল্টা এফআইআর করা হয় রাজ্য পুলিশে।

বুধবার এই বিষয়টি নিয়েই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ইডি কর্মকর্তারা। তাদের অভিযোগ, ইডি-র তদন্তে বাধা দিতে রাজ্যে সবরকম ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তাদেরকেই মারা হচ্ছে, আবার তাদের বিরুদ্ধেই এফআইআর করা হচ্ছে। হাইকোর্ট এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করুক, এই আবেদন জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে ইডি।

বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত মামলাটি গ্রহণ করেছেন। চলতি সপ্তাহেই মামলাটির শুনানি শুরু হতে পারে বলে জানা গেছে।

কী হয়েছিল সন্দেশখালিতে

গত শুক্রবার সন্দেশখালিতে তৃণমূলের বাহুবলী নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে গেছিলেন ইডি-র পাঁচ কর্মকর্তা। বাড়ির সামনে পৌঁছে তারা দেখেন দরজা বন্ধ। এলাকায় মুহূর্তের মধ্যে লোক জমতে শুরু করে। সকলেরই দাবি, তারা শাহজাহানের অনুগামী। এরপর ইডি দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করতেই মারমুখী হয়ে ওঠে জনতা। তিনজন ইডি কর্মকর্তাকে শারীরিকভাবে আঘাত করা হয়। একজনের আঘাত গুরুতর। কোনোরকমে প্রাণ হাতে করে ঘটনাস্থল থেকে পালান ইডি অফিসারেরা। পরে তারা জানান, হাতাহাতির সময় তাদের মোবাইল এবং ল্যাপটপও খোয়া গেছে। মারমুখী জনতা তা ছিনিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ।

কেন সরকারি কর্মকর্তাদের গায়ে হাত উঠল, কেন স্থানীয় প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিল না, সে প্রশ্নও উঠেছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবিষয়ে রাজ্য সরকারের কাছে নোটিস পাঠিয়েছে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই সোমবার হাইকোর্ট ইডি-র মামলা গ্রহণ করল।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই)