1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজচীন

কাশ্মীর নিয়ে চীন-পাকিস্তানের যৌথ বিবৃতি

৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২

বেজিংয়ে ইমরান খানের সঙ্গে শি জিনপিংয়ের দীর্ঘ বৈঠক। সামরিক সমঝোতার আলোচনা। কাশ্মীর নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব।

https://p.dw.com/p/46cba
চীন-পাকিস্তান
ছবি: Sheng Jiapeng/dpa/picture alliance

চীন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোর (সিপিইসি) নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই চিন্তিত ভারত। এবার সেই সিপিইসি-তে আরো ৬০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের কথা জানালো চীন। এই করিডোরটিকে আরো বাড়ানোর সিদ্ধান্তও হয়েছে। পাশাপাশি কাশ্মীর নিয়ে শান্তিপূর্ণ আলোচনার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। বস্তুত, শি জিনপিংয়ের কাছে কাশ্মীরের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ইমরান। রোববার ইমরান-শি-য়ের যৌথ বিবৃতি নিয়ে এখনো পর্যন্ত মুখ খোলেনি ভারত। তবে ভারত আগেই জানিয়ে দিয়েছিল কাশ্মীর এবং লাদাখ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। অন্য কোনো দেশ সে বিষয়ে নাক গলাক, ভারত তা চায় না। সিপিইসি নিয়েও ভারত নিজের অবস্থান আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছিল।

ইমরান খানের সঙ্গে শি জিনপিংয়ের বৈঠক হওয়ার পর চীন সরকারিভাবে বিবৃতি জারি করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, চীন এবং পাকিস্তান দুই দেশই চায় কাশ্মীর নিয়ে নানা স্তরে আলোচনা হোক। জাতিসংঘের চার্টার মেনে আলোচনার পরিবেশ তৈরি হোক। কাশ্মীর সমস্যার সমাধানসূত্র খুঁজে বার করা হোক।

বস্তুত এর আগেও কাশ্মীর নিয়ে প্রস্তাব দিয়েছিল চীন এবং পাকিস্তান। ভারতের বিদেশমন্ত্রণালয় কড়া ভাষায় তার জবাব দিয়েছিল। ভারত জানিয়েছিল, কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ফলে অন্য কোনো দেশের সে বিষয়ে কথা বলার অধিকার নেই। শুধু তা-ই নয়, লাদাখ নিয়েও অন্য কোনো দেশ নাক গলাক, ভারত তা চায় না। বস্তুত, ভারতের বক্তব্য, পাকিস্তান কাশ্মীরের একটি অংশ 'দখল' করে রেখেছে। ভারত চায় সেখানে স্টেটাস কো বজায় থাকুক।

চীন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোর অর্থাৎ সিপিইসি পাকিস্তানের কাশ্মীরের ভিতর দিয়ে গেছে। ভারতের তা নিয়ে তীব্র আপত্তি আছে। ওই অঞ্চলের ভিতর দিয়ে কোনো কিছুই ভারত বরদাস্ত করবে না বলে জানানো হয়েছে আগেই। এবার সেখানেই ৬০ বিলিয়ান ডলার খরচের কথা ঘোষণা করেছে চীন।

সম্প্রতি ভারতীয় পার্লামেন্টের বাজেট অধিবেশনে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, চীন এবং পাকিস্তান হাত মিলিয়ে ভারতকে 'ঘেরার' চেষ্টা করছে। ভারত সরকার এই বিষয়টিকে কূটনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে পারছে না। এর ফলে উপমহাদেশে ভারত একঘরে হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন রাহুল। রাহুলের ওই মন্তব্য নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছিল। বিজেপি রাহুলের বক্তব্যের সমালোচনা করেছিল। অ্যামেরিকাও জানিয়েছিল, রাহুল যেভাবে চীন এবং পাকিস্তানের প্রসঙ্গ এনেছেন, তা অভিপ্রেত নয়।

কিন্তু রাহুলের ওই বক্তৃতার কয়েকদিনের মধ্যেই পাকিস্তান এবং চীনের যৌথ বিবৃতি সামনে এলো। বিবৃতিতে পাকিস্তানের সঙ্গে সামরিক সমঝোতার কথাও বলেছে চীন। পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যেভাবে লড়াই করছে, তার প্রশংসা করেছে চীন। পাশাপাশি পাকিস্তানকে সামরিক সাহায্য দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। সিপিইসি-র কাজ করতে গিয়ে বেশকিছু চীনা কর্মী পাকিস্তানে সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হয়েছেন। পাকিস্তান জানিয়েছে ভবিষ্যতে যাতে এমন না হয়, সে দিকে নজর রাখা হবে।

বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, পাকিস্তান এবং চীন যেভাবে যৌথ বিবৃতি পেশ করেছে, উপমহাদেশের কূটনীতিতে তা যথেষ্ট প্রবাব ফেলতে পারে।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই, এনডিটিভি)