1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরোপীয় পার্লামেন্টে ‘প্রকৃতি আইন' পাস

২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

কৃষক ও রাজনীতিবিদদের বিরোধিতার মুখে একটু শিথিল করেই ইউরোপের সংসদে পাস হলো প্রকৃতি আইন৷ আইনটি চূড়ান্তভাবে পাস হলে প্রকৃতি সংরক্ষণে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোকে এখন নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে বাড়তি উদ্যোগ নিতে হবে৷

https://p.dw.com/p/4czE6
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পতাকা
ইইউ সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে ২০৩০ সাল নাগাদ স্থল ও সমুদ্র অঞ্চলের কমপক্ষে ২০ ভাগ এলাকার প্রকৃতি ও প্রাণিবৈচিত্র্য ফিরিয়ে আনতে হবেছবি: Pond5 Images/IMAGO

বুধবার সংসদে বিলটি উত্থাপনের পর ৩২৯-২৭৫ ভোটে পাস হয়৷ ২৪ জন ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকেন৷

আইনটি ২৭ দেশের এই জোটের একটি ইউরোপীয় সবুজ চুক্তির মূল অংশ৷ এর লক্ষ্য উচ্চাভিলাষী৷ জলবায়ু ও জীববৈচিত্র্য সুরক্ষায় বড় বড় পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তৈরি এই আইনের আরেকটি উদ্দেশ্য হলো ব্লকটিকে জলবায়ু বিষয়ক সব রেফারেন্সের বৈশ্বিক কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করা৷

তবে এই আইনের বিরুদ্ধে কৃষকরা আন্দোলন করেছেন৷ এমনকি সোমবার ব্রাসেলসে এই আন্দোলন সহিংস হয়ে উঠেছিল৷ এছাড়া ইউরোপীয়ান সংসদের বৃহত্তম দল পিপলস পার্টি বিরোধিতা করে৷ তাই আইনটিকে কিছুটা দুর্বল করে সংসদে পাস করানো হয়েছে৷

পরিকল্পনার অধীনে ইইউ সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে ২০৩০ সাল নাগাদ স্থল ও সমুদ্র অঞ্চলের কমপক্ষে ২০ ভাগ এলাকার প্রকৃতি ও প্রাণিবৈচিত্র্য ফিরিয়ে আনতে হবে৷

ইইউ পরিবেশ কমিশনার ভার্জিনিউস সিনকেভিসিউস বলেন, নীতিটি ইইউ-র ‘জীববৈচিত্র্য, মূল্যবান বাস্তুতন্ত্র, পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ মাটি ও পানি'র জন্যই শুধু নয়, কৃষকদের জন্যও একটি বড় অবদান৷ ইউরোপের বাস্তুতন্ত্রকে পুনঃসংরক্ষণের জন্য এই নীতি অবদান রাখবে বলে মনে করেন তিনি৷

তবে আইনটি প্রথমবার ২০২২ সালে আলোচনায় আসার পর থেকে তা কট্টরপন্থিদের বাধার মুখে পড়ে৷ কৃষকরা এই আইনের বিরোধিতা করেন৷ তাদের বিরোধিতার কারণ হলো, আইনে কীটনাশক ব্যবহারে কড়াকড়ি আরোপ এবং আরো বেশি জমি প্রকৃতির জন্য ছেড়ে দেবার কথা বলা হয়৷ আইনের এই দুই অংশকে আপাতত শিথিল রেখেই তা পাশ করা হয়েছে৷

তবে তা চূড়ান্তভাবে কার্যকর করার জন্য সদস্যরাষ্ট্রগুলোকে এখন তার অনুমোদন দিতে হবে৷

জেডএ/এসিবি (এপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান