1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ক্রাইমিয়ার বন্দরে রাশিয়ার জাহাজে হামলা

২৭ ডিসেম্বর ২০২৩

ইউক্রেনের বিমানবাহিনী দাবি করেছে, ক্রাইমিয়ার বন্দরে রাশিয়ার একটি যুদ্ধজাহাজ সফলভাবে ধ্বংস করেছে তারা।

https://p.dw.com/p/4abGQ
ক্রাইমিয়া বন্দরে রাশিয়ার জাহাজ
রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজে ইউক্রেনের হামলাছবি: Ulf Mauder/dpa/picture alliance

রাশিয়া জানিয়েছে, ইউক্রেনের ফাইটার জেটের হামলায় জাহাজটির ক্ষতি হয়েছে।  ইউক্রেনের দুইটি যুদ্ধবিমান গুলি করে নামানো হয়েছে।

মঙ্গলবার মস্কো জানিয়েছে, ক্রাইমিয়ার ফিওদোসিয়া বন্দরে রাশিয়ার নৌসেনার একটি যুদ্ধবিমান নামার মতো জাহাজ দাঁড়িয়ে ছিল। যাকে মূলত ল্যান্ডিং শিপ বলা হয়। ইউক্রেনের যুদ্ধবিমান থেকে সেই জাহাজটির উপর হামলা চালানো হয়। ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। ইউক্রেন দাবি করেছে, জাহাজটিকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করা হয়েছে।

ক্রাইমিয়ার রুশ গভর্নর জানিয়েছেন, ঘটনায় দুইজন আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রাণালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, ওই হামলার পর রাশিয়ার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের সাহায্যে দুইটি ইউক্রেনীয় যুদ্ধবিমানকে নামানো হয়েছে। তবে সেই বিমানের পাইলটদের বিষয়ে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি। ইউক্রেন এখনো পর্যন্ত এবিষয়ে কোনো তথ্য দেয়নি।

খেরসনে ট্রেন স্টেশনে হামলা

ইউক্রেনের অভিযোগ, দক্ষিণ ইউক্রেনের শহর খেরসনে একটি ট্রেন স্টেশনে হামলা চালিয়েছে রাশিয়ার বাহিনী। ঘটনায় একজন পুলিশকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। অন্তত চারজন ব্যক্তি ওই হামলায় আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

ঘটনার সময় স্টেশনে একটি ট্রেন দাঁড়িয়ে ছিল। তাতে খেরসন থেকে ১৪০ জন বেসামরিক নাগরিককে উদ্ধার করে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। বস্তুত, খেরসনে রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের বাহিনীর এখনো তীব্র সংঘর্ষ চলছে। সে কারণেই বেসামরিক নাগরিকদের অন্যত্র সরানোর চেষ্টা চলছিল। সে সময়েই রাশিয়ার বাহিনী স্টেশনে হামলা চালায়।

ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, স্টেশনের বাইরে পুলিশ বাহিনী রাশিয়ার আক্রমণ প্রতিহত করে। ট্রেনটি সফলভাবে রওনা হতে পেরেছে। তবে ওই নাগরিকদের কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তা জানানো হয়নি।

ইউক্রেন যুদ্ধের গোড়ায় খেরসন শহরটি রাশিয়া দখল করে নিয়েছিল। পরবর্তীকালে ইউক্রেন শহরটি পুনরুদ্ধার করে। তবে এখনো সেখানে লাগাতার লড়াই চলছে। রাশিয়ার বাহিনী নিয়মিত সেখানে হামলা চালাচ্ছে বলে ইউক্রেনের অভিযোগ।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি)