1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘গরিবদের জন্য শিক্ষা-চাকরিতে সংরক্ষণ বৈধ’

৭ নভেম্বর ২০২২

আর্থিকভাবে অত্যন্ত পিছিয়ে পড়া মানুষদের (ইডাব্লিউএস) জন্য উচ্চশিক্ষায় এবং সরকারি চাকরিতে ১০ শতাংশ সংরক্ষণকে বৈধ বলে ঘোষণা করল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট৷ শীর্ষ আদালতের সাংবিধানিক বেঞ্চ সোমবার এই রায় দিয়েছে৷

https://p.dw.com/p/4J8hV
সুপ্রিম কোর্টের একটি বেঞ্চের সংখ্যাগরিষ্ঠ রায়ে বলা হয়েছে, ইডাব্লিউএস সংরক্ষণ বৈষম্যমূলক নয় এবং সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর পরিপন্থি নয়৷
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট (ফাইল ফটো)ছবি: picture-alliance/NurPhoto/N. Kachroo

সুবিধাভোগীরা কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান ও কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণের সুবিধা পাবেন৷

সুপ্রিম কোর্টের একটি বেঞ্চের সংখ্যাগরিষ্ঠ রায়ে বলা হয়েছে, ইডাব্লিউএস সংরক্ষণ বৈষম্যমূলক নয় এবং সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর পরিপন্থি নয়৷ সমাজে পিছিয়ে পড়া মানুষদের ক্ষমতায়নের একটা দিকই হলো সংরক্ষণ ব্যবস্থা৷

এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিতের নেতৃত্বে গঠিত পাঁচ সদস্যের বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি দীনেশ মহেশ্বরী, বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট, বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী এবং বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা৷ বিচারপতি মহেশ্বরী, বিচারপতি ত্রিবেদী এবং বিচারপতি পারদিওয়ালা সম্মত হন যে সংশোধনীটি সংবিধানের মৌলিক কাঠামো লঙ্ঘন করে না৷ অন্যদিকে বিচারপতি ইউ ইউ ললিত এবং বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট এ নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করেন৷ 

ভিন্নমত পোষণকারী বিচারপতি রবীন্দ্র ভাট বলেন, তিনি অর্থনৈতিকভাবে অনগ্রসরদের জন্য সংরক্ষণ সমর্থন করেন, কিন্তু সংবিধানে সামাজিকভাবে অনগ্রসর শ্রেণির মানুষদের বাদ দেওয়ার অনুমতি নেই৷

কেন্দ্র ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে ১০৩তম সাংবিধানিক সংশোধনীর মাধ্যমে ইডাব্লিউএস সংরক্ষণ চালু করে৷ যদিও সঙ্গে সঙ্গে সেটিকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করা হয়৷ এই সংরক্ষণ ব্যবস্থা থেকে তফসিলি জাতি, তফসিলি উপজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির দরিদ্র মানুষের বাদ দেয়া নিয়ে প্রশ্ন ওঠে৷ ঘটনাচক্রে সে সময় মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং ছত্তিশগড়ের নির্বাচনে বিজেপি হেরে গিয়েছিল৷ রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা জানিয়েছিলেন, মূলত আরএসএসের চাপে নরেন্দ্র মোদী সরকার সংবিধান সংশোধন করে চাকরিতে ১০ শতাংশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করে৷

কংগ্রেসসহ বেশিরভাগ বিরোধী দল এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেনি৷ এই মামলার রায় দিতে গিয়ে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরীর পর্যবেক্ষণ, ‘‘ইডাব্লিউএস সংরক্ষণ আইন কোনোভাবেই (সংবিধানের) মূল কাঠামো অথবা সাম্যের নীতিকে লঙ্ঘন করে না৷''

এই মামলা নিয়ে গত সেপ্টেম্বরে শুনানির পর রায় সংরক্ষিত রেখেছিল শীর্ষ আদালত৷ সরকার যুক্তি দিয়েছিল যে সংরক্ষণের ফলে দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পাবেন এবং অনগ্রসর শ্রেণির জন্য থাকা সংরক্ষণ বা জেনারেলদের জন্য আসন কমবে না৷

আদালতে বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা বলেন, অনির্দিষ্টকালের জন্য সংরক্ষণ থাকা উচিত নয় যাতে এটি নির্দিষ্ট স্বার্থে পরিণত হয়৷ যারা জীবনে এগিয়ে গিয়েছেন, তাদের অনগ্রসর শ্রেণি থেকে সরিয়ে দেওয়া উচিত৷ ফলে সত্যি যাদের সংরক্ষণ প্রয়োজন, তাদেরও সাহায্য করা যাবে৷ অনগ্রসর শ্রেণি নির্ধারণের উপায়গুলি পুনর্বিবেচনা করা দরকার যাতে আজকের সময়ে উপায়গুলি প্রাসঙ্গিক হয়

আরকেসি/জেডএইচ (এনডিটিভি, টাইমস অফ ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস)