1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জর্জিয়ায় সমকামীবিরোধী সহিংসতা, চাপের মুখে প্রধানমন্ত্রী

১৩ জুলাই ২০২১

সহিংসতায় ক্যামেরাম্যান আলেক্সান্ডার লাশকারাভার মৃত্য়ুর পর বিরোধী দলের আইনপ্রণেতারা জর্জিয়ার প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি জানান৷ নিহতের সহকর্মীরা ডয়চে ভেলের সঙ্গে ঘটনাটি নিয়ে কথা বলেছেন৷

https://p.dw.com/p/3wPhr
ছবি: Sputnik/dpa/picture alliance

আলেক্সান্ডার লাশকারাভার সহকর্মীরা জানিয়েছেন, জর্জিয়ায় এলজিবিটিকিউ অধিকারকর্মীদের প্রাইড প্যারেড এবং এ নিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়া সাংবাদিকদের নিরপত্তার কোনো ব্যবস্থা ছিল না৷ ফলে যখন সমকামীবিরোধী ডানপন্থি অ্যাক্টিভিস্টরা প্যারেডে হামলা চালায়, তাদের রক্ষা করার জন্যও কেউ এগিয়ে আসেনি৷

হামলার শিকার হন টিভি পিরভেলির ক্যামেরাম্যান আলেক্সান্ডার লাশকারাভা৷ কদিন পর নিজের বাসায় তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়৷

টিভি পিরভেলির নির্বাহী নানা আবুরজানিদজে ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ‘‘সরকার কেবল দায় অস্বীকারই করছে না, তারা এই সহিংসতাকে ন্যায্যতা দেয়ার চেষ্টা করছে৷ তারা জানতো যে সেখানে ভয়াবহ সহিংসতা হতে পারে, তারপরেও এলজিবিটিকিউ দপ্তর রক্ষায় কোনো আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন ছিল না৷’’

তিনি বলেন, ‘‘আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সেখানে তো কারো থাকা উচিত ছিল, তাই না? কিন্তু সাংবাদিক বা আয়োজকদের সুরক্ষা দেয়ার জন্য কেউই সেখানে ছিল না৷’’

জর্জিয়ায় এলজিবিটিকিউ-বিরোধী সহিংসতা

লাশকারাভাকে যেদিন পেটানো হয়, সেদিন পঞ্চাশ জনেরও বেশি সাংবাদিক সমকামীবিরোধীদের হামলায় আহত হন৷ সহিংসতার কারণে শেষ পর্যন্ত প্রাইড প্যারেড বাতিল করতে হয়৷

আবুরজানিদজে জানিয়েছেন, লাশকারাভা এবং আরেকজন সাংবাদিক একটি ভবনের ওপরের তলায় আয়োজনের নানা দিক ভিডিও করছিলেন৷ এমন সময় হঠাৎ কিছু মানুষ জোর করে ভেতরে ঢুকে পড়ে৷ তিনি বলেন, ‘‘তারা সাংবাদিকদের আক্রমণ করা শুরু করে৷ তখন লাশকারাভা এর প্রতিবাদ জানান৷ এরপরই ৩০ জনের মতো মানুষ তাকে পেটাতে শুরু করে, এবং এ কারণেই তার মৃত্যু হয়৷’’

চাপের মুখে প্রধানমন্ত্রী

রাজধানী ডিবিলিসিতে দ্বিতীয় দিনের মতো কয়েক হাজার মানুষ মিছিল করেছেন৷ তারা সাংবাদিকের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ীদের বিচার এবং প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি তুলেছেন৷

পার্লামেন্টের অধিবেশন চলাকালে সেখানে বিরোধী দলের আইনপ্রণেতাদের বিক্ষোভের মুখে কিছুক্ষণের জন্য অধিবেশন স্থগিত করতে হয়৷ তাদের অভিযোগ, ক্ষমতাসীন জর্জিয়ান ড্রিম পার্টিই সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণের জন্য দায়ী৷

জর্জিয়া পুলিশ জানিয়েছে, গণমাধ্যম এবং সংবাদকর্মীদের ওপর সহিংসতার অভিযোগে ২০ জনকে আটক করা হয়েছে৷

এডিকে/এসিবি (এএফপি, রয়টার্স)

গত সেপ্টেম্বরের ছবিঘরটি দেখুন...

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য