1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জেএমবির দুই সদস্যের কারাদণ্ড

১৫ মার্চ ২০২২

হোসাইনী দালানে শিয়া সমাবেশে বোমা হামলার ঘটনায় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ বা জেএমবির এক সদস্যকে দশ ও অন্যজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত৷

https://p.dw.com/p/48UHE
ছবি: bdnews24

মঙ্গলবার মামলার রায়ে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান আসামি আরমান ওরফে মনিরকে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং কবির হোসাইন ওরফে রাশেদ ওরফে আশিককে ৭ বছরের কারাদণ্ডসহ জরিমানাও করেছেন৷ তবে অভিযোগে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত না হওয়ায় বাকি ছয় আসামি রুবেল ইসলাম ওরফে সজীব, ওমর ফারুক মানিক, হাফেজ আহসান উল্লাহ মাহমুদ, শাহজালাল মিয়া, চান মিয়া, আবু সাঈদ রাসেল ওরফে সোলায়মান ওরফে সালমান ওরফে সায়মনকে খালাস দিয়েছেন৷

এই আটজনের মধ্যে কবির হোসাইন, সজীব ও আরমানকে কারাগার থেকে এজলাসে হাজির করা হয়৷ জামিনে থাকা বাকি পাঁচজনও রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন৷    

আলোচিত এ মামলার রায় শুনতে আদালতে আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সেন্টার ফর স্টেট কোর্টের সাত সদস্য৷ আদালত ভবনের প্রবেশপথে ও বারান্দায় কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়৷

২০১৫ সালের ২৩ অক্টোবর গভীর রাতে পবিত্র আশুরা উপলক্ষে তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতির সময় হোসাইনী দালানে বোমা হামলায় দুজন নিহত ও শতাধিক লোক আহত হন৷ পরে ঘটনাস্থল থেকে অবিস্ফোরিত দুটি বোমা (ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস- আইইডি) উদ্ধার করা হয়৷

এ ঘটনায় রাজধানীর চকবাজার থানায় এসআই জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের করেন৷  প্রথমে মামলাটি চকবাজার থানা পুলিশ তদন্ত করে এবং পরে তদন্তভার গোয়েন্দা পুলিশ- ডিবিকে দেওয়া হয়৷ তদন্ত শেষে ডিবি দক্ষিণের পুলিশ পরিদর্শক মো. শফিউদ্দিন শেখ ২০১৬ সালের এপ্রিল জেএমবির ১০ জঙ্গিকে আসামি করে অভিযোগপত্র অনুমোদনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠান৷ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন শেষে গত বছর নভেম্বরে ১০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়৷ তাদের মধ্যে দুজনের জন্মসনদ পরীক্ষা করে তারা শিশু বলে আদালত সিদ্ধান্ত দেয়৷ পরে এ মামলায় আলাদা দুটি সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা৷ এর মধ্যে আটজনের বিরুদ্ধে মামলাটির রায় হল মঙ্গলবার৷ বাকি দুই শিশুর বিরুদ্ধে আলাদাভাবে বিচার চলছে শিশু আদালতে৷

Bangladesch | Festnahme von Mitgliedern der verbotenen Gruppe JMB
ছবি: bdnews24

২০১৭ সালের ৩১ মে এ মামলার প্রাপ্তবয়স্ক আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ হয়েছিল৷ পরে মামলাটি ঢাকার অষ্টম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তরের পর ২০১৮ সালের ১৪ মে সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বদলি হয় এ মামলা৷  আসামিদের মধ্যে আরমান, রুবেল ও কবির আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন৷ মামলাটিতে ৪৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩১ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়৷ মামলার নথি অনুযায়ী, হোসাইনী দালানে হামলায় জেএমবির জড়িত ১৩ জঙ্গির মধ্যে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷ অভিযানের সময় তিনজন কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে' নিহত হন৷

অভিযোগপত্রে বলা হয়, ‘বন্দুকযুদ্ধে' নিহত আবদুল্লাহ বাকি ওরফে নোমান ছিলেন হামলার মূল পরিকল্পনাকারী৷  হামলার আগে ১০ অক্টোবর তারা বৈঠক করে পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেন৷

আরমান, কবির হোসেনসহ তিনজন বোমা হামলার সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন৷ এবং আরমান পর পর পাঁচটি বোমা নিক্ষেপ করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়৷ হামলার পর আশ্রয় নিতে কামরাঙ্গীর চরে আরমানই বাসা ভাড়া করেন৷ গত ১মার্চ মামলাটি রায়ের পর্যায়ে আসে৷

এনএস/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য