1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যৌন মিলনের বিনিময়ে পুরস্কার?

১৮ নভেম্বর ২০১৮

ব্রিটেনের হাউজ অফ লর্ডসের সদস্য লর্ড লেস্টারের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছেন স্বনামধন্য এক অধিকার কর্মী৷ অভিযোগ, ১২ বছর আগে তাঁকে যৌন মিলনের আমন্ত্রণ জানিয়ে ‘ব্যারোনেস' উপাধি দেয়ার অঙ্গীকার করেছিলেন ঐ লর্ড৷

https://p.dw.com/p/38Nb9
Symbolbild Missbrauch
ছবি: picture alliance/Photoshot

নারী অধিকার কর্মী জাসবিন্দর সাংঘেরা তাঁর অভিযোগে জানিয়েছেন, কেবল যৌন হয়রানি করেই ক্ষান্ত হননি লেস্টার৷ পাশাপাশি তাঁর সাথে যৌন মিলনেলিপ্ত হতে বলেছিলেন এবং তা না হলে এর ফলাফল ভয়াবহ হবে বলে হুমকিও দিয়েছিলেন লেস্টার৷

পার্লামেন্টারি তদন্তে এ অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে৷ লেস্টারের বয়স এখন ৮২ বছর৷ সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি৷ পার্লামেন্টারি কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত তাঁকে পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হবে৷ আধুনিক ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ইতিহাসে এর আগে এত দীর্ঘ সময়ের জন্য কাউকে অব্যাহতি দেয়া হয়নি৷

জনপ্রিয় লেখক এবং কার্মা নির্ভানা চ্যারিটির প্রতিষ্ঠাতা সাংঘেরা নারীদের জোরপূর্বক বিয়ের বিরুদ্ধে মূলত প্রচারণা চালান৷ ১২ বছর আগে লেস্টারের সঙ্গে আইনের খসড়া নিয়ে কাজ করছিলেন তিনি৷ একদিন পার্লামেন্টের বৈঠক শেষ হতে অনেক রাত হয়ে যাওয়ায় তিনি শেষ ট্রেনটি মিস করেন৷ লেস্টার তাঁকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার প্রস্তাব দিলে তিনি গাড়িতে ওঠেন৷ সামনে ড্রাইভার আর পেছনে তাঁরা দু'জন ছিলেন৷ এসময় লেস্টার তাঁর শরীরের স্পর্শকাতর অংশে ক্রমাগত স্পর্শ করতে থাকেন৷ বার বার প্রতিবাদ করেও কোন লাভ হয়নি৷

এরপর তাঁকে বাসায় নিয়ে যান লেস্টার৷ সেখানে তার স্ত্রী ছিলেন৷ কিন্তু পরদিন সকালে লেস্টারের স্ত্রী অফিসে চলে গেলে তাঁকে নানাভাবে যৌন হয়রানি করেন লেস্টার এবং তাঁর সঙ্গে বিছানায় যাওয়ার আমন্ত্রণ জানান৷ সাংঘেরাকে প্রস্তাব দেন, যদি তিনি তার সাথে যৌন মিলন করেন, তবে এক বছরের মধ্যে তাঁকে ‘ব্যারোনেস' বানিয়ে দেবেন লেস্টার৷ আর যদি তা না করেন, তবে হাউজ অফ লর্ডসে যাতে কোনোদিন কোনো আসন না পান, সেটা নিশ্চিত করবেন৷

সাংঘেরা জানান, এই ঘটনা তাঁকে ভীষণভাবে বিধ্বস্ত করলেও কাউকে জানাতে সাহস পাননি, কেননা, তাঁর ধারণা ছিল, লেস্টার উচ্চ পদস্থ এবং মান-মর্যাদায় তার অবস্থান উঁচুতে হওয়ায় অভিযোগগুলো কেউ বিশ্বাস করবে না৷

কিন্তু পরে তাঁর মনে হয়েছে এই কথাগুলো সবার জানা দরকার৷ তাই ২০১৭ সালে লেস্টারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন তিনি৷

স্বতন্ত্র তদন্তের পর তদন্ত কমিটি একটি প্রতিবেদন জমা দেয়৷ এছাড়া ব্রিটিশ আইনপ্রণেতারা মঙ্গলবার আলাদা তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন, সেখানে কর্মীরা খুব সহজেই তাঁদের বিরুদ্ধে হওয়া যৌন হয়রানির ঘটনা নির্ভয়ে বলতে পারে৷

এপিবি/এসিবি (থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশন)

বন্ধু, প্রতিবনেদনটি সম্পর্কে আপনার মন্তব্য জানান, নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান