1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনে পরিণত'

২৭ আগস্ট ২০২২

‘ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়' টকশোতে এবারের আলোচনার বিষয় ছিল ইভিএম ভোটে আস্থা কার, অনাস্থা কেন৷ অনুষ্ঠানটিতে অতিথি হিসেবে ছিলেন সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ এবং বিএনপি নেতা মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম৷

https://p.dw.com/p/4G8MX
KMAsks121: Khaled Muhiuddin Asks 121
ছবি: DW

সাবেক চিফ হুইপআ স ম ফিরোজ বলেন, ‘‘অনেক সময়ইইভিএমে ভোট হয়েছে৷শুধু ২০১৮ সাল বললে হবে না৷ ভোটকেন্দ্রে ব্যালট  পেপারে ভোট হলে কারচুপির সম্ভাবনা থাকে৷ জোরপূর্বক ব্যালটে সিল করতে চায় অনেকে৷ জোর যার কেন্দ্র তার এমন ছিল৷ ২০০১ সালে নির্বাচনেও দেখেছি৷বর্তমান প্রেক্ষাপটেইভিএমে ভোট হলে সবথেকে স্বচ্ছ এবং দুর্নীতিমুক্ত নির্বাচন হবে৷ ব্যালট পেপারে সেভাবে হয়তো সম্ভব নয়৷''

ব্যালটে ভোট হলে প্রভাব বিস্তার করে ভোটকেন্দ্র দখলের চেষ্টা করাল যায়, অভিযোগ আনেন আ স ম ফিরোজ৷

তার কথায়, জোরপূর্বক ব্যালট পেপারে সিল দেয়ার চেষ্টা করা হয়৷ প্রিসাইডিং অফিসার অসহায় হয়ে পড়েন অনেক সময়৷ (ইভিএম থাকলে) আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব এটা শতভাগ নিশ্চিত করা যায়৷ ''

ভোটারের ছবির বিষয়টিও উল্লেখ করেন তিনি৷ নানা সময়ে ইভিএমে ভোট হয়েছে৷ কিন্তু কেউ কারচুপি প্রমাণ করতে পারেনি৷ পদ্ধতিগত ভুল-ত্রুটি থাকলে তা জানাতে কমিশনার সবাইকে আলোচনার জন্য ডেকেছিলেন৷ সন্দেহ এবং বাস্তবতা এক জিনিস নয় বলেও উল্লেখ করেন ফিরোজ৷ ইভিএমে ভোট হলে তা শতভাগ স্বচ্ছ হবে বলে দাবি তার৷

ডয়চে ভেলের বাংলা বিভাগের প্রধান খালেদ মহিউদ্দীন জানান, জার্মান আদালত এক নির্দেশনায় ইলেকট্রনিক ভোটিংকে অসাংবিধানিক বলেছে৷ প্রযুক্তির প্রতি অন্ধবিশ্বাসের কথাও উল্লেখ করেন খালেদ৷

নির্বাচনে না এসে বারবার বয়কট করে অপসংস্কৃতির চেষ্টা করেন বিরোধীরা, জানান ফিরোজ৷

রাজনীতিতে ডিজিএফআই-এর ব্যবহার কি জরুরি?

বিএনপি নেতা মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালামের কথায়, ‘‘কোন সরকারের অধীনে নির্বাচন সেটা আসলে গুরুত্বপূর্ণ৷ আমার এলাকায় ইভিএমে ভোট হয়েছিল৷ কী সমস্যা হয়েছিল জানি৷ চাইলেও মামলা করতে পারিনি, কারণ কোনো কাগজ পাইনি৷''

আবদুস সালামের অভিযোগ, ‘‘ভোট যাকে দিলাম সেখানেই যে গেল তার প্রমাণ নেই৷আমার প্রতিটা কেন্দ্রে একটা না একটা যন্ত্রে সমস্যা ছিল৷ ইভিএমে ভোগান্তি বেশি৷ থাম্ব দেয়ার পর প্রতীকে অন্যের লোক ভোট দিয়ে দিতে পারে৷ বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ অভ্যস্ত নন৷ ইভিএমে কারচুপি সম্ভব৷ দিল্লির পার্লামেন্টেও এই বিষয়টি দেখানো হয়েছে৷ এক জায়গায় ভোট দিলে অন্য জায়গায় পড়ছে৷আর বাংলাদেশের ইভিএম তো ভারতের অনেক পিছনে৷''

তার কথায়, কোনো দলীয় সরকারের অধীনে ভোট চায় না বিএনপি৷ কারণ তা নিরপেক্ষ হয় না৷ ইভিএম ত্রুটিপূর্ণ, আস্থা নেই৷ যন্ত্র হ্যাক করার প্রযুক্তি রয়েছে৷ নিজের মতো করে ইভিএম চালনা করে৷ বাংলাদেশের বেশিরভাগ দল ইভিএমে ভোট চায় না৷

সারা বিশ্বের অর্থনৈতিক মন্দার কথা উল্লেখ করে তিনি দাবি করেন, যন্ত্র কিনতে বিপুল পরিমাণ খরচ হবে৷ এই মুহূর্তে এটা বিলাসিতা৷

উন্নত বিশ্বে ইভিএমে ভোট চায় না কিন্তু আওয়ামী লীগ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেন ইভিএমে ভোট চান, খালেদ মুহিউদ্দীনের এমন প্রশ্নের উত্তরে আ স ম ফিরোজ বলেন, স্বাধীন সার্বভৌম কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে৷

আবদুস সালামের বক্তব্য, ‘‘বাংলাদেশের বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল গত নির্বাচনের অভিজ্ঞতা দেখে ইভিএমে ভোট চাইছে না৷ স্বাধীন নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনে পরিণত হয়েছে৷ প্রশাসন আর আমার প্রতিদ্বন্দ্বী৷ শুধু আওয়ামী লীগ নয়৷ নির্বাচনের দিনের আগে থেকেই বিষয়টা দেখছি৷ নালিশ জানিয়ে কোনো লাভ হয়নি৷''

আরকেসি/আরআর