1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নেদারল্যান্ডসে খুন ক্রাইম সাংবাদিক

৭ জুলাই ২০২১

অনুসন্ধানী খবরের জন্য একাধিক আন্তর্জাতিক সম্মান পেয়েছেন তিনি। প্রকাশ্য রাস্তায় পিটারকে গুলি করে হত্যা।

https://p.dw.com/p/3w8Kp
পিটার
ছবি: Hollandse Hoogte/ANP/imago images

টক শো শেষ করে আর বাড়ি ফেরা হলো না নেদারল্যান্ডসের বিশিষ্ট ক্রাইম সাংবাদিক পিটার আর ডে ভ্রাইসের। আততায়ীরা তাকে রাস্তাতেই গুলি করে খুন করে। কপাল লক্ষ্য করে পাঁচবার গুলি চালানো হয়। পিটারের খবরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে নেদারল্যান্ডসের সাংবাদিক মহলে। দেশের প্রধানমন্ত্রীও শোকবার্তা প্রকাশ করেছেন।

৬৪ বছরের পিটার সাংবাদিক মহলে কালো ঘোড়া হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ভয় বলে কোনো বিষয়ই তার ছিল না। লম্বা কেরিয়ারে বহু গুরুত্বপূর্ণ ক্রাইম স্টোরি করেছেন। যার জন্য প্রাণের হুমকিও এসেছে। এক সময় দেশের একটি টেলিভিশন চ্যানেলে নেদারল্যান্ডসের বড় বড় অপরাধীদের নিয়ে একটি অনুষ্ঠান করতেন পিটার। ওই সময়েই তিনি জানিয়েছিলেন, পুলিশ এবং প্রশাসন জানিয়েছে, তার জীবনের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। কিন্তু বিষয়টিকে কখনোই বিশেষ গুরুত্ব দেননি পিটার।

মঙ্গলবার অ্যামস্টারডমের সিটি সেন্টারের কাছে একটি টেলিভিশন চ্যানেলের লাইভে যোগ দিতে গেছিলেন পিটার। প্রায় প্রতিদিনই ওই শোয়ে যোগ দিতেন তিনি। সেখান থেকে বেরতেই তার উপর হামলা চালানো হয়।

অনুসন্ধানী সাংবাদিক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরেই নাম পিটারের। ১৯৯৫ সাল থেকে ২০১২ পর্যন্ত টানা একটি ক্রাইম শো পরিচালনা করতেন তিনি। ওই শো তাকে খ্যাতির শিখরে নিয়ে গেছিল। এছাড়াও ১৯৮৩ সালে ফ্রেডি হেইনিকেনের অপহরণের কাহিনি তিনি প্রথম তুলে ধরেছিলেন। পরবর্তীকালে যা নিয়ে বই হয়েছে এবং সিনেমা তৈরি হয়েছে। ২০০৮ সালে ইনটারন্যাশনাল এমি সম্মান পেয়েছেন তিনি।

পিটারের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর দেশের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে বিবৃতি প্রকাশ করেছেন। তিনি লিখেছেন, 'খুবই শকিং খবর। দেশের অন্ধকার দিন।' রুটে বলেছেন, সাংবাদিকতার স্বাধীনতার উপর কালো রং ছিটিয়ে দেওয়া হলো। এ বড় দুঃখের দিন। দেশের অন্য মন্ত্রীরাও পিটারের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পরে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার মধ্যে পিটারের খুনিও আছে। কিন্তু কারো নাম প্রকাশ করা হয়নি। খুনের কারণও এখনো জানায়নি পুলিশ।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি)