1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রবাল প্রাচীরের অবক্ষয় তুলে ধরছেন দুই শিল্পী

৬ মে ২০২২

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে জীবজগতের কত ক্ষতি হচ্ছে, প্রবাল প্রাচীরের অবক্ষয় তা স্পষ্ট দেখিয়ে দিচ্ছে৷ দুই শিল্পী অভিনব পদ্ধতিতে সমুদ্রের নীচের সেই বিপর্যয় সাধারণ মানুষের সামনে ফুটিয়ে তুলছেন৷

https://p.dw.com/p/4Ats4
ছবি: DW

দূর থেকে মার্গারেট ও ক্রিস্টিনে ভেয়ার্টহাইমের ইনস্টলেশন দেখলে খাঁটি প্রবাল প্রাচীর মনে হতে পারে৷ তাতে রংবেরংয়ের কোরাল, অ্যালজি ও ঝিনুক শোভা পাচ্ছে৷ কাছে এলে তবেই বোঝা যাবে সবই হাতে করে বসানো৷ বাডেন-বাডেন শহরের ফ্রিডার বুর্ডা মিউজিয়ামে সেই সৃষ্টিকর্ম শোভা পাচ্ছে৷ মার্গারেট বলেন, ‘‘আমরা এই সৃষ্টিকর্মকে যতটা সম্ভব জীবন্ত ও প্রাণবন্ত হিসেবে তুলে ধরতে চাই৷ বাডেন-বাডেনের কর্মীরা সত্যি সেই লক্ষ্য পূরণ করতে পেরেছে বলে মনে করি৷ এই জগত জীবনীশক্তিতে ভরপুর৷’’ ক্রিস্টিনে ভেয়ার্টহাইম মনে করেন যে চেষ্টাও করতে হয় নি৷ কর্মীরা এই সজ্জার জন্য প্রাণ উজাড় করে দিয়েছেন৷’’

‘ক্রকেট কোরাল রিফ’ নামের প্রদর্শনী প্রবাল প্রাচীরের রঙিন সৌন্দর্য্য ও বৈচিত্র্য তুলে ধরে৷ সমুদ্রের নীচে অসাধারণ এই জগতের বিপদ বেড়েই চলেছে, এমনকি অস্তিত্বের সংকটও দেখা দিচ্ছে৷ সেই হুমকির প্রাথমিক চিহ্ন ইতোমধ্যেই স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, যেমনটা অস্ট্রেলিয়ার ‘গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ’-এ টের পাওয়া যায়৷

প্রবাল প্রাচীরের দুঃখ তুলে ধরছেন দুই শিল্পী

সমুদ্রের পানির তাপমাত্রা সামান্য বাড়লেই মারাত্মক প্রভাব দেখা যায়৷ প্রবালের সঙ্গে পারস্পরিক নির্ভরতার ভিত্তিতে যে অ্যালজি বা শৈবাল বাস করে, সেগুলি তখন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে৷ সাদা চূনের মতো দেখতে কঙ্কাল থেকে যায়৷ দুই শিল্পী তাদের প্রদর্শনীতে সেই প্রবাল ব্লিচিংও তুলে ধরছেন এবং সবার প্রতি কাতর আবেদন জানাচ্ছেন৷ মার্গারেট ভেয়ার্টহাইম জানান, ‘‘গত প্রায় ২০ বছর ধরে বিশাল আকারে প্রবালের ব্লিচিং চলছে৷ বিশাল পরিমাণ কোরাল সাদা হয়ে যাচ্ছে৷ বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে এমনটা ঘটছে, সমুদ্রের তাপমাত্রা বাড়ছে৷ প্রবাল ক্ষুদ্র এবং অত্যন্ত সংবেদনশীল জীব৷ সেগুলি এক ডিগ্রির বেশি উত্তাপ বৃদ্ধি সহ্য করতে পারে না৷’’

১৭ বছর ধরে দুই বোন একাধিক দেশ ঘুরে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করে চলেছেন৷ যেখানেই যাচ্ছেন, সেই অঞ্চলের মানুষকে প্রবাল দিয়ে তথাকথিত ‘স্যাটেলাইট রিফ' ক্রচেট করতে আহ্বান জানাচ্ছেন৷ সান্ড্রা স্টাডলারের চারিপাশের নারীরাও প্রদর্শনীতে অবদান রাখতে চান৷ তিনি বলেন, ‘‘প্রকৃতি, প্রাণী ও প্রজাতি বিলুপ্তির প্রশ্নে আমি ও আমার কর্মীরা এক পায়ে খাড়া৷ আমাদের কাছেও বিষয়টির গুরুত্ব রয়েছে বলে শামিল হতে চাই৷’’

সব প্রবালের কিছু মৌলিক আকার রয়েছে৷ দুই শিল্পীর নির্দেশ অনুযায়ী সেগুলি তৈরি করা হয়৷ প্রকৃতির মতোই বিভিন্ন রং, সুতা ও সংযোগের মাধ্যমে নতুন সৃষ্টি গড়ে ওঠে৷ একদিকে প্রকৃত প্রবাল প্রাচীরের সজীব চরিত্র, অন্যদিকে সেগুলির অস্তিত্বের সংকট সম্পর্কে এভাবে সচেতন করে তোলার চেষ্টা চলে৷

পিয়ের প্রেচ/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য