1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘যারা স্বতন্ত্র হয়ে এসেছেন, তারা নিজেরাই একেকজন বিরোধী দল'

১২ জানুয়ারি ২০২৪

দ্বাদশ জাতীয় সংসদে সরকারের জবাবদিহিতার যথেষ্ট সুযোগ থাকবে বলে দাবি করেছেন নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন৷ স্বতন্ত্র ও জাতীয় পার্টি মিলে নতুন সংসদকে প্রাণবন্ত করে তুলবে বলে মনে করেন তিনি৷

https://p.dw.com/p/4bBfb
‘ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়' টকশো-তে জোনায়েদ সাকি ও ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন৷
জোনায়েদ সাকি জানিয়েছেন সরকারবিরোধীদের ‘আন্দোলন চলমান আছে এবং সামনে তা আরও বেগবান হবে৷''ছবি: DW

‘ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়' টকশো-তে, ‘কে সরকারি কে বিরোধী?' বিষয়ক আলোচনায় ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি এবং নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন৷

দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে ফেসবুক লাইভে কথা বলে জনপ্রিয় হয়েছেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৪ আসনে বিপুল ভোটে জয়ী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন৷সংসদ সদস্য হয়েও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের এই ধারা অব্যাহত রাখবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘সংকট কি এই দেশ থেকে চলে গেছে নাকি? ফেসবুক লাইভতো আমার একটা প্রতিবাদের ভাষা৷ হয়ত আমার প্রতিবাদের মধ্যে কিছুটা ভিন্নতা আসবে যেহেতু আমি সংসদে কথা বলব৷ কিন্তু এটা চলতে থাকবে৷''

একাদশ সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে মাত্র ১১ টি আসন পাওয়ায় জাতীয় সংসদে কে বিরোধী দল হবে তা নিয়ে আলোচনা চলছে নির্বাচনের পর থেকেই৷ ৬২ জন প্রার্থী স্বতন্ত্র হিসেবে জয় লাভ করায় ব্যারিস্টার সুমন মনে করেন,  ‘‘যারা এবার স্বতন্ত্র হয়ে এসেছেন, তাদের একেকজনকে আমার মনে হয়েছে একেকটা বিরোধী দলের মতো৷''  

তার মতে, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের কারণে সদস্যরা সংসদে নিজ দলের বিরোধিতা করতে পারে না৷ স্বতন্ত্রদের সেই বাধ্যবাধকতা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘জাতীয় পার্টি ছোট আঙ্গিকে হলেও সাথে যদি স্বতন্ত্ররা থাকেন তাহলে আপনারা একটি প্রাণবন্ত সংসদ দেখতে পাবেন বলে আমার বিশ্বাস৷'' এতে সরকারেরজবাবদিহিতার যথেষ্ট সুযোগ থাকবে বলে মনে করেন এই আইনজীবী৷

সরকার কি সব দলকেই জাতীয় দলে পরিণত করতে চায় কিনা এই প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, বিএনপি বা এমন বড় দলগুলো যখন নির্বাচনে আসে না তখন স্বাভাবিক ভাবে অন্য দল তৈরি হবে৷ তবে এই সংসদে একটা শক্ত বিরোধী দেখবে সবাই৷

অন্যদিকে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি মনে করেন এই নির্বাচনকেই মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশের মানুষ এইবার বিরোধী দলের ডাকে যেই সাড়া দিয়েছেন, তা একেবারে নজিরবিহীন৷ নির্বাচনটি শুরু থেকেই ছিলো ডামি৷ সেখান থেকে ডামি প্রার্থী, ডামি ভোট, ডামি লাইন৷''  

সরকার ‘প্রহসনমূলক নির্বাচন' করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘এই নির্বাচনের মধ্যমে আওয়ামী লীগ শুধু পরাজিত-ই হয়নি, মৃত্যুর দিকে চলে গেছে৷ আওয়ামী লীগ যাকে বিজয় বলছে, তাকে আমরা বিশাল পরাজয় বলছি৷'' 

অন্যদিকে নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন আয়োজন করতে পেরেছে বলে মনে করেন ব্যারিস্টার সুমন৷ তিনি বলেন, ‘‘ভোট সুষ্ঠু না হলে আমি পাশ করতে পারতাম না৷'' 

বিরোধীদের আন্দোলন স্তিমিত হয়ে পড়েছে কিনা এমন প্রশ্নে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘‘আন্দোলন চলমান আছে এবং সামনে তা আরও বেগবান হবে৷'' তবে বিরোধী দলের উপরে সরকারের দমন নিপীড়নের সমালোচনা করে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘‘বিরোধী দলগুলো কখনো এটা ভাবতে পারেনি যে সমাবেশের উপর এভাবে স্যাবোটাজ হবে৷  ২৭,০০০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ যে দমনপীড়ন হয়েছে তা ৭১ এর গণহত্যা ছাড়া অন্য সকল কিছু হার মানিয়েছে৷ আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের উপরে চাপ তৈরি করতে চেয়েছিলাম৷''  

প্রতিটি ঘটনাকে 'স্যাবোটাজ' বলা হলে বারবার হরতাল কেন দিতে হয় ব্যারিস্টার  ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের এই প্রশ্নের জবাবে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘‘আমরা শান্তিপূর্ণ ভোট বর্জনের জন্য হরতাল ডেকেছি৷'' 

বিরোধীরা আন্দোলনের মধ্যেই আছে উল্লেখ করেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক৷ তবে ‘প্রবল রাষ্ট্রশক্তির বিরুদ্ধে নিরস্ত্র জনগণ' কীভাবে লড়াই করবে তা নিয়ে আবার নতুন করে পরিকল্পনা করতে হবে বলে মনে করেন জোনায়েদ সাকি৷

এসএইচ/এফএস  

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য